🔱শ্রীমদভগবদগীতার শ্লোক (৯/১১) নিয়ে কদাচারের জবাব।। পার্ট-১

 


শ্রীমদভগবদগীতার একটি শ্লোক নিয়ে অবিবেকীদের কদাচারীর শুরু। যারা কদাচার করছে তাদের আবার নিজস্ব কোন পরিচয় নেই, ফেইক আইডিতে সনাতন বিরোধী অপপ্রচার ছাড়া যাদের আর কোন কর্ম নেই এবং কিছু আছে সনাতন বিরোধী সংগঠন।
👉 অভিযোগ কি? অভিযোগ হলো SPS পরিবারের একটা স্টিকারে আমরা নাকি শ্রীমদভগবদগীতার ৯/১১ শ্লোকের ভুল অনুবাদ করেছি।
💢 স্বঘোষিত আত্মজ্ঞানী কদাচারদেরকে কোন জবাব দেওয়া হচ্ছে না এই পোস্টে কারণ উচ্ছিষ্টদের নিয়ে বাক্য ব্যয় অপ্রয়োজনীয়। এই পোস্টটি কেবল তাদের জন্য যারা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে সঠিক ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে।
⁉️ প্রশ্ন এসেছে অনুবাদ নিয়ে।। অনুবাদটি সঠিক নাকি ভুল।
🔘 শুরু করার আগে একটা উদাহরণ দেই। হিন্দিতে খুব জনপ্রিয় একটা প্রবাদ আছে।
"দ বহুত প্যাঁচিলা হোতা হে! 'দ' সে দিল হোতা হে, 'দ' সে দোস্ত হোতা হে, 'দ' সে দুশমিন বি হোতা হে!"
এখন এই বাক্যটাকে বাংলায় অনুবাদ করি। "দ খুবই জটিল, 'দ' তে হৃদয় হয়, 'দ' তে বন্ধু হয় আবার 'দ' তে শত্রুও হয়।"
‼️ এখন এসে কেউ প্রশ্ন করল যে 'দ' তে বন্ধু কিভাবে হয়! ব-তে বন্ধু হতে পারে।
⭕ এই সমস্যার সমাধান কি তবে? শব্দ ধরে ধরে অনুবাদ করেও ত বুঝানো গেলো না। যারা হিন্দি একদম বুঝেনা তারা কিন্তু প্রকৃত অর্থেই বিভ্রান্ত হবে যে দ-তে বন্ধু কিভাবে হয়!!
☑️ এই সমস্যা সমাধান কিন্তু ব্যাকরণেই পাওয়া যাবে৷
তার আগে জেনে নিতে হবে অনুবাদ কি এবং কিভাবে করা যায়।।
🟫 অনুবাদ/ভাষান্তরঃ ভাষান্তর বা অনুবাদ একটি ভাষা থেকে অন্য একটা ভাষায় পরিকল্পনাগত রূপান্তর প্রক্রিয়া। ভাষার অনুবাদে দুটি ভাষার মধ্যে যে ভাষা থেকে অনুবাদ করা হয় তাকে "উৎস ভাষা" তথা মূল ভাষা, এবং যে ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে তাকে "লক্ষ্য ভাষা" তথা অনুদিত ভাষা বলা হয়। অর্থাৎ উৎস ভাষা থেকে লক্ষ্য ভাষায় ভাষাগত উপাদান এবং যোগ্যতার (বিষয়, বক্তব্য, ভঙ্গি ইত্যদি) দ্বারা পাঠ নির্ণয় করার রূপান্তরের প্রক্রিয়াই ‘ভাষানুবাদ’।
🟩 ভাষানুবাদের কিছু নিয়মকানুন কিন্তু অবশ্যই আছে। ভাষানুবাদ করা যায় দুইভাবে। যথা- আক্ষরিক অনুবাদ (স্ট্যাটিক ট্রান্সলেশন) ও ভাবানুবাদ (ফিগারেটিভ ট্রান্সলেশন)। এখানে আক্ষরিক অনুবাদ হলো মূলানুগ ও ভাবানুবাদ হলো স্বাধীন। উপরের "দ" নিয়ে যে সমস্যার উদয় হয়েছে সেটা ভাবানুবাদ তথা স্বাধীন অনুবাদের মাধ্যমে সমাধান করা যায়।
অনুবাদের প্রকরণ কৌশলগুলিকে আবার কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথাঃ
১/শব্দের স্তর, ২/ অন্বয়ের স্তর, ৩/শব্দার্থের স্তর, ৪/ ছন্দ বা ধ্বনিঝংকারের স্তর, ৫/ অলংকারের স্তর।
🟪 এরপর কতকগুলো পদ্ধতি অবলম্বন করে অনুবাদের স্তরগুলো সম্পন্ন করা হয়।
🔹 প্রথমে কোন মূলপাঠ থেকে লক্ষ্য ভাষায় অনুবাদের বিষয় নির্বাচন করতে হয়।
🔹 লক্ষ্য ভাষা ও উৎস ভাষার পারস্পরিক যোগসূত্র নির্ণয় করতে হবে।
🔹 উভয় ভাষার ভাষাবিজ্ঞানের ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব্ব, শব্দার্থতত্ত্ব, অন্বয়তত্ত্বগত সহাবস্থান নির্ণয়।
🔹 উৎস ভাষার (মূল পাঠ্যের) ভাষিক পরিস্থিতি বা ভাষা প্রেক্ষিত লক্ষ্য ভাষায় যথাযোগ্য ভাবে তুলে ধরা।
🔹 শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধির প্রচেষ্টা।
শেষ পয়েন্টটা খেয়াল করলে দেখা যায় যে শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধির প্রচেষ্টা করতে বলা হয়েছে। এর কারণ কি হতে পারে! আমরা জানি সংস্কৃত ভাষা হলো সকল ভাষার জননী। সংস্কৃত ভাষায় খুব অল্প শব্দ দিয়েই বহু অর্থ ব্যাখ্যা করা যায় এবং একই শব্দের বহুমাত্রিক অর্থ করা যায়। হিন্দি ভাষায় আরও বহু শব্দ নতুন যুক্ত হয়েছে ভাষাকে সর্বজনগ্রহীত করার জন্য। বাংলা ভাষার মূলও সংস্কৃত এবং আরও বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রণে বাংলা ভাষার উৎপত্তি। অর্থাৎ বাংলা ভাষায় শব্দভাণ্ডার আরও বেশী বিস্তৃত। এখানে একটা বিষয় স্পষ্ট যে যতই নতুন নতুন ভাষার উৎপত্তি হচ্ছে শব্দভাণ্ডার ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাষার সহজবোধ্যতার জন্য।
এজন্যই সংস্কৃত ভাষা হতে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করার অনেক সময় আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ (ভাবার্থ) তথা স্বাধীন অনুবাদের আশ্রয় নেওয়া হয়। ভাবানুবাদের উৎস ভাষার মূল অর্থ ঠিক রেখে সহজবোধ্যতার সাথে অনুবাদ করা হয়। এই অনুবাদে যেন কোন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সেজন্যই উভয় ভাষার মধ্যে পারস্পরিক যোগসূত্রের কথা উপরে বলা হয়েছে।
🔺🔻 এবার মূল বিষয়ে আসি।। SPS পরিবারের পক্ষ থেকে একটি স্টিকারে শ্রীমদভগবদগীতার ৯/১১ শ্লোকের অনুবাদ নিম্মরূপ করা হয়।
"আমি যখন মনুষ্যরূপে অবতীর্ণ হই, তখন মুর্খেরা আমাকে অবজ্ঞা করে। তারা আমার পরম ভাব সম্বন্ধে অবগত নয় এবং তারা আমাকে সর্বভূতের মহেশ্বর বলে জানে না।"
▪️ প্রথমে প্রশ্ন আসে এখানে শরীর ও মনুষ্যরূপ কোথায় আছে। গীতা প্রেসের শ্রীমদভগবদগীতা সংকলন হতে নিচে সেটার স্ক্রিনশট দেওয়া হলো।


▪️দ্বিতীয় প্রশ্ন এলো অন্বয় ভেঙে ভেঙে অনুবাদ (যদিও অনুবাদের অনেকগুলো স্তর আছে যেগুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে) করলে অবতীর্ণ শব্দটা কিভাবে এলো। এই প্রশ্নটা খুবই হাস্যকর। কেউ আমাকে উত্তর দিন যে "আমি মনুষ্যরূপ ধারণ করে আসি" এবং "আমি মনুষ্যরূপে অবতীর্ণ হই" এই দুইটা বাক্যের মধ্যে অর্থগত কি পার্থক্য আছে! বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে কিন্তু আসলে নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করা যায় না।
▪️ তৃতীয় প্রশ্ন এলো যে এই অনুবাদে নাকি অর্থ বদলে দেওয়া হয়েছে। কিভাবে বদলে দেওয়া হলো? এই বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হবে।
🔴 উপরোক্ত অনুবাদের মূল অর্থ দাঁড়ায় যে পরমেশ্বর যখন মনুষ্যরূপ তথা মানুষের ন্যায় শরীর (ঈশ্বরের জন্ম-মৃত্যু ও শরীর উভয়ই দিব্য) ধারণ করে পৃথিবীতে আসেন অথবা অবতীর্ণ হন তখন অবিবেকীরা তাঁর পরমতত্ত্ব না বুঝতে পেরে তাঁকে কেবল একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে অবজ্ঞা করে। মহাভারতের বিশ্লেষণ করলেই এই বিষয়টা স্পষ্ট হয়। পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে ত স্বয়ং অর্জুনই চিনতে পারে নি গীতা জ্ঞান প্রদানের আগে। পিতামহ ভীস্ম, যুধিষ্ঠির, দুর্যোধন এরাও ত অনেক পরে জেনেছে। শিশুপাল, জরাসন্ধ, কংসরা ত সামান্য মানবই মনে করেছিল সংহার হওয়ার আগ অব্দি।
🔳 বিভিন্ন ভাষ্যকার ও টিকাকারদের বিশ্লেষণঃ
সনাতনী পরম্পরায় সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য গীতাভাষ্য হলো সাধক সঞ্জিবনী গীতাভাষ্য, শ্রী জগদীশ চন্দ্র গীতাভাষ্য, গীতাপ্রেসের সংকলন।
🔹 সাধক সঞ্জিবনী গীতাভাষ্যঃ
ভাবানুবাদঃ
"অবিবেকী ব্যক্তিগণ সর্বপ্রাণীর মহেশ্বর স্বরূপ আমার পরমভাব না জেনে আমাকে মনুষ্যদেহধারী (সাধারণ মানুষ) মনে করে আমাকে অবজ্ঞা করে থাকে।"
এই অনুবাদের বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় যে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ বলছেন তাঁকে কেবলমাত্র সাধারণ মনুষ্যদেহধারী ভেবে অনেক অবজ্ঞা করে যেমন শিশুপাল, জরাসন্ধ, শকুনি। অথচ তিনি যে সকল প্রাণীর মহেশ্বর এই পরম ভাব সম্পর্কে তারা অবগত নয়।

🔹 শ্রী জগদীশ চন্দ্রের গীতাভাষ্যঃ
ভাবানুবাদঃ
"অবিবেকী ব্যাক্তিগণ সর্বভূতের মহেশ্বর স্বরূপ আমার পরমভাব না জানিয়া মনুষ্যদেহদারী বলিয়া আমাকে অবজ্ঞা করে।"
এই ভাবানুবাদও সাধক সঞ্জিবনী গীতাভাষ্যের অনুরূপ তাই ব্যাখ্যাও অনুরূপ।

এক্ষেত্রে আবার কেউ প্রশ্ন করছে যে উক্ত ব্যাখ্যায় তিনি শ্লোক ৭/২৪ দ্রষ্টব্য লিখেছেন।
❓ কি আছে শ্লোক ৭/২৪ এ?


⏩ শ্লোক ৭/২৪ এর ব্যাখ্যায় শ্রী জগদীশ চন্দ্র স্পষ্ট অবতারবাদই ব্যাখ্যা করেছেন। ওখানে তিনি স্পষ্ট ব্যাখ্যা করেছেন যে, ব্যাক্ত ও অব্যাক্ত উভয়ই রূপেই তিনি পূর্ণ এবং ব্যাক্ত হলেও তাঁর পূর্ণতার হানি হয় না। এখানে তিনি বৃহদারণ্যক উপনিষদের একটি শান্তিমন্ত্র কোট করে যেখানে পূর্ণতার পূর্ণ ব্যাখ্যা আছে।

⭕ যখন পরব্রহ্ম সাকার রূপ ধারণ করে প্রপঞ্চে আসেন তখনই তাঁকে অবতার বলে। অবতারকে সিদ্ধাত্মা ছাড়া কেউ চিনতে পারেন না। সাত্ত্বিক ব্যক্তি অবতারকে অবতার বলে ধারণা করে মাঝে মাঝে। এজন্যই দ্বাপরে শ্রীকৃষ্ণকে পরব্রহ্ম বলে মাত্র কয়েকজন চিনতে পেরেছিলেন।
⭕ আর অধিকাংশ মানবের মধ্যে রজোস্তম গুণের প্রাবল্য বেশি বলে তারা সাত্ত্বিকভাবকেই অর্থাৎ মহাপুরুষদেরকেই চিনতে পারেনা, আর গুণাতীত ভগবানকে সাধারণ মানুষ চিনবে, এটা ভাবতেই পারা যায়না।
◾ তবুও যদি সমস্যা হয় বুঝতে তবে এই নিম্নোক্ত লিখাটা একটু পড়ার অনুরোধ রইল।
🔹গীতাপ্রেসের গীতাভাষ্যঃ
ভাবানুবাদঃ "মূর্খরা স্বীয় যোগমায়াতে সংসারের উদ্ধারের নিমিত্তে মনুষ্যরূপে বিচরণকারী আমাকে সাধারণ মানুষ মনে করে।"
এই অনুবাদের বিশ্লেষণ করলেও স্পষ্ট হয় যে যারা পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে কেবল মনুষ্য রূপধারী মনে করে তারা অবিবেকী এবং তাঁর এই দিব্যরূপ যে অবিবেকীরা বুঝতে অক্ষম সেই বিষয়ে তিনি শ্রীমদভগবদগীতার ৭/২৫ নং শ্লোকেই স্পষ্ট করেছেন।


🔶 তিনি সেখানে বলেছেন।
"আমি বুদ্ধিহীন ব্যক্তিদের কাছে কখনো প্রকাশিত হইনা। তাদের কাছে আমি আমার অন্তরঙ্গা শক্তি যোগমায়া দ্বারা আবৃত থাকি তাই এই মোহাচ্ছন্ন জগত জন্ম মৃত্যু রহিত আমার অব্যয় স্বরূপ জানতে পারে না।"
⚫ ঠিক এই মূহুর্তে অবিবেকীরা তাচ্ছিল্যের সাথে প্রশ্ন করে যে শ্লোকে ত বলা হয়েছে তিনি ত জন্ম-মৃত্যু রহিত তবে শ্রীকৃষ্ণ ত দুইদিন আগে জন্ম নিয়ে দুইদিন পর মারা গেলেন।
⚪ তাদের জবাব শ্রীমদভগবদগীতা ৪/৬ নং শ্লোকে স্পষ্ট করা আছে যেটা আবার অবিবেকীরা আংশিক প্রকাশ করে।
উক্ত শ্লোকে জগৎগুরু শঙ্করাচার্য, সাধক সঞ্জিবনী, জগদীশ চন্দ্র গীতাভাষ্য প্রায় সবখানেই একই অর্থ করা হয়েছে।
"আমি জন্মরহিত, অবিনশ্বর হয়েও এবং সমস্ত প্রাণীকুলের ঈশ্বর হওয়া সত্ত্বেও নিজ প্রকৃতিকে অধীন করে যোগমায়া দ্বারা আবির্ভূত হই।"







🟠 পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের জন্ম-মৃত্যু ও দেহ যে দিব্য এবং তিনি যে সর্বভূতের ঈশ্বর সেটা তাঁকে কাছে পেয়েও শিশুপাল, জরাসন্ধ ও কংসরা বুঝতে পারে নি সেখানে কলিযুগের পাপাচারী অবিবেকীরা কিভাবে বুঝবে!
🟡 আলোচ্য ৯/১১ শ্লোকের সর্ব প্রকার বিশ্লেষণ করলেও মূল অর্থের কোন বৈপরত্য হয় না তবে শুধুমাত্র যদি কেউ পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে কেবল সাধারণ মনুষ্য ভাবতে শুরু করে তবেই উক্ত শ্লোকের অর্থ সম্পূর্ণ বদলে যায়। যারা পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে সাধারণ মনুষ্য মনে করে তাদের জন্যই ত উক্ত শ্লোকটা তাই অবিবেকীদের আরও যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করলেও এদের মান্যতায় কোন পরিবর্তন আসবে না।
🟣 ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যে পরমেশ্বর সেটা পরম সত্য মহাভারতের বিশ্লেষণ করলেই পরিস্কার হয়।
নিচে এই বিষয়ে দুইটি লিংক দেওয়া হলো।।
🟦 এই কদাচারী সম্প্রদায় অবশ্য শ্রীমদভগবদগীতাকে কখনোই মান্য করে নি। তাদের কদাচারীর মধ্যে আছে শ্রীমদভগবদগীতায় নাকি স্ববিরোধী শ্লোক বিদ্যমান। অথচ বহু বড় বড় পন্ডিত, গবেষক ও দার্শনিকরা শ্রীমদভগবদগীতাকে অনন্য শ্রেষ্ঠ গ্রন্থের মান্যতা দিয়ে গেছেন সেখানে সংস্কারহীন কতকগুলান কদাচারী এসে শ্রীমদভগবদগীতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
◼️ তারা আরেকটা অপপ্রচার করে যে শ্রীমদভগবদগীতায় মূলত শ্লোক আছে ৭০ টি এবং গীতা প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে।
এদের এই কদাচারীর জবাব নিচের লিংকগুলোতে দেওয়া হলো।
🔘 এহেন কদাচারীদেরকে আসলে উত্তর প্রদানের কোন যৌক্তিকতা নেই। বহু কদাচারী ৫০০০ বছর আগেও ছিল যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ঈশ্বরত্ব অনুধাবনে ব্যার্থ ছিল। সেই শিশুপাল, জরাসন্ধ ও কংসদের পরম্পরাও ত হাজার বছর ধরে চলে আসছে।
পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ সকলের কল্যাণ করুক।
ওঁ শান্তি, শান্তি, শান্তিঃ
©স্টিমন অনিক।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ