শ্রীমদভগবদগীতায় বিবর্তনের সূত্র?

 


শ্রীমদভগবদগীতায় বিবর্তনের সূত্র?

সাম্প্রতিক সময়ে বিবর্তনবাদ নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। কেউ এর পক্ষে বলছে আবার কেউ এর বিপক্ষে; কেউ আবার না বুঝেই  পক্ষে এবং কেউ না বুঝেই বিপক্ষে। আজকের লেখাটা তাই বিবর্তনবাদ নিয়ে। বিবর্তনবাদকে যথাযথভাবে তুলে ধরার প্রয়াস থাকবে এই লেখায়। আমার এই বিশ্লেষণটি গ্রহণ  আর সে লেখার সূত্র আমি খুঁজে নিয়েছি শ্রীমদভগবদগীতায়। শ্রীমদভগবদগীতায় বিবর্তনবাদ? বিষয়টা হাস্যকর লাগতে পারে, কিন্তু কেন? রবার্ট ওপেনহেইমারও ত নিউক (নিউক্লিয়ার বোমা) আবিস্কারের পর রীতিমতো সংবাদমাধ্যমে এসে বলেছিলেন যে এই সূত্র বা অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছিলেন শ্রীমদভগবদগীতার দু'টো শ্লোক থেকে। দর্শন শাস্ত্র থেকে বিজ্ঞানের সূত্র খুঁজে নেওয়া অন্যায় ত নয়, আমিও তাই বিবর্তনবাদের সমাধান খুজেছি শ্রীমদভগবদগীতায়। ভূমিকা আর বড় না করে মূল লেখায় প্রবেশ করবো, আপনারাও একটু ধৈর্য্য নিয়ে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়বেন আশা রাখি। 

প্রথমে জেনে নেই বিবর্তনবাদ কি! 

বিবর্তনঃ বিবর্তন (Evolution) বা অভিব্যক্তি হলো এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরির্তনকে বুঝায়। 

অর্থাৎ একটি Common Species থেকে ক্রমে ক্রমে জীবের গাঠনিক (শারীরিক) ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের (জেনেটিক) পরিবর্তন হয়ে একাধিক নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হওয়া; একটি নদী থেকে যেমন অসংখ্য নদীর জন্ম হয়। বানর বা শিম্পাঞ্জির সাথে মানুষের বিবর্তন জড়িত অর্থ এই নয় যে, বানর বা শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষ এসেছে বরং বিবর্তনবাদ বলছে যে এই তিনটি প্রজাতিই একটি কমন স্পেসিস থেকে এসেছে মাত্র। 

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদভগবদগীতার বিভূতি যোগ (১০/৩১) অধ্যায়ে বলেছেন, 

"ঋষাণাং মকরশ্চাস্মি......." অর্থাৎ মৎস বা জলচরদের মধ্যে আমি 'মকর'। 

এই শ্লোকে বিবর্তনবাদের কি সূত্র রয়েছে? শ্রীমদভগবদগীতার বিভূতি যোগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজের স্বরূপ বা বিভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে এই জগতের বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্র, মানুষ, প্রাণী, ঋষিগণের মধ্যে একটি করে উত্তম প্রতিনিধির উল্লেখ করছেন যেমন একটি শ্লোকে (১০/২৬) তিনি বলছেন, "অশ্বত্থঃ সর্ববৃক্ষাণাং......." অর্থাৎ সকল বৃক্ষের মধ্যে আমি অশ্বত্থ। একই অধ্যায় ভগবান বলছেন সকল জলচর বা মাছের মধ্যে তিনি মকর। মকর এমন একটি জলচর যার গঠন ও বৈশিষ্ট্য জলচর ও স্থলচরের মাঝামাঝি কিন্তু উভচরের ঠিক আগের ধাপ। মকর মাছের দেহ মাছের (পূর্ণ জলচর) মতো হলেও মস্তক ও মুখ কুমিরের (পূর্ণ উভচর) মতো। মকর মাছের ফুসফুস গঠিত হয় বলে সে জলের বাইরেও বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। মকর মাছ একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীও। অর্থাৎ সকল গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আলোকে মকর মাছ জলচরদের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত ধাপের প্রাণী । মাছের বিবর্তনের একটা ধাপে যখন উভচর প্রাণীর জন্ম হয় তার ঠিক আগের ধাপের উন্নত জলচর প্রাণী হলো মকর মাছ। মকর মাছ যদিও বহু হাজার বা লক্ষ বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে কিন্তু তাদের প্রতিনিধি এখনও রয়েছে যা আমি এই লেখার শেষাংশে তুলে ধরবো।

২০১৫ সালে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের "পৃথিবীর ইতিহাস" নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। সেখানে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পাওয়া যায় যা ME Guyer এর "Animal Biology" এর বিবর্তন বিষয়ক ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে। কি সে তথ্য! ১৯৫২ সালের মে মাসের কথা। আফ্রিকার মাদাগাস্কার দ্বীপের উপকূলে একটি মাছের জীবন্ত ফসিল পাওয়া যায়, মাছটির নাম 'সিলাকান্থ'। পরবর্তীতে সে ফসিলটি আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার রোডস বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই প্রজাতির আরেকটি ফসিল ১৯৩৮ সালে পাওয়াছিলো যা প্রায় ৭০ মিলিয়ন বছর প্রাচীন। 



গবেষণা করে দেখা যায় এই মাছ তো আজ থেকে প্রায় ৫ কোটি বছর আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত! তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এই মাছটির ফুসফুস আছে। 

Living Fossil of Coelacanth

আমরা জানি মাছের কোন ফুসফুস থাকে না। অন্যদিকে স্থলজ প্রাণীদের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে যে বাতাস বুকে যায় সেই বাতাস থেকে অক্সিজেন ছেঁকে আলাদা করাই ফুসফুসের প্রধান কাজ। জলে মাছের জন্য ফুসফুসের কাজটা করে মাছের কানকো (Gill)। জলজ প্রাণী যেমন মাছ তার মুখ দিয়ে জল ঢুকিয়ে নেয় এবং কানকো দিয়ে সে জল বেড়িয়ে যাওয়ার সময় জলে থাকা অক্সিজেন ছেঁকে আলাদা হয়ে দেহে থেকে যায়। 



সাধারণত মাছের পাখনার নিচে কোন হাড় থাকে না। কিন্তু মাদাগাস্কারে প্রাপ্ত জীবন্ত ফসিলের হাড় রয়েছে। বিস্তর গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা মত দিলেন; এই সিলাকান্থ এমন এক প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রাণীদের বংশধর যে যুগ থেকে পৃথিবীতে আশ্চর্য্যজনক কিছু পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছিল। গবেষকদের মতে এই পৃথবী একসময় (কোটি বছর পূর্বে) শুধু জলচর প্রাণীদের আবাসভূমি ছিলো। তখন না ছিলো স্থলচর এবং উভচর, এমনকি কোন উদ্ভিদও ছিলো না।

কয়েক কোটি বছর আগের সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে জলচর প্রাণীদের মধ্যে একরকম জীবনসঙ্কট শুরু হয় এবং তখন জলজ প্রাণীদের মধ্যে স্থলভাগে উঠে আসার একটি প্রবণতা সৃষ্টি হয়। নতুন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে তাদের দেহে 'ফুসফুস' নামে নতুন এক অঙ্গের আবির্ভাব শুরু হতে থাকে। পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও জেনেটিক কিছু পরিবর্তনও হতে শুরু করে। জলচর প্রাণী হয়ে উঠতে শুরু করে উভচর এবং স্তন্যপায়ী। জল ও স্থলে উভয় স্থানে তাদের বিচরণ।

কিন্তু জল ছেড়ে স্থলে আসতে হলে শুধু ফুসফুস দিয়ে ত হবে না, তার সাথে লাগবে হাত-পা। ধীরে ধীরে মাছের পেটের দিকের পাখনা বদলে হলো 'পা' এবং মাছের পিঠের দিকের পাখনা বদলে হলো 'হাত' বা 'ডানা'



এই যে বিবর্তন তা কিন্তু  কয়েক বছরের নয়, এমনকি শত বা হাজারও নয় বরং লক্ষ-কোটি বছর ধরে বংশের পর বংশ উত্তীর্ণ হয়ে সেই জলচর আদিম মাছ শরীর বদলাতে বদলাতে উভচর, স্থলচর জন্তু-জানোয়ার হলো যাদের দেহে আর কানকো নাই, আছে ফুসফুস।

বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রাণী সিলাকান্থ ছিলো জলচর প্রাণীর বিবর্তনের মধ্য দিয়ে উভচর হয়ে উঠার আগের ধাপ যখন তার মধ্যে কানকোর বদলে গঠিত হয়েছিলো ফুসফুস। সিলাকান্থ যদিও বিলুপ্ত হয়েছে বহু বছর আগে কিন্তু তাদের অনুরূপ বৈশিষ্ট্য আজও বর্তমান তিমি বা ডলফিনের মধ্যে। তিমি ও ডলফিন উভচর নয় কিন্তু জলচর হয়েও তাদের কানকোর বদলে রয়েছে ফুসফুস এবং এরা স্তন্যপায়ী। ডলফিনকে তাই বলা হয় জলচরদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। বুদ্ধিবৃত্তিক প্যারামিটারেই কিন্তু প্রাণীর শ্রেষ্ঠত্ত্ব বিচার হয়, এমনকি মানুষের ক্ষেত্রেও। ডলফিন বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপে নিজেদেরকে পরিণত করেছে এবং জলচরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠেছে। 


এই যে জলবায়ু বা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি প্রজাতির মধ্যে বিবর্তন ঘটিয়ে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয় তা খুব চমৎকারভাবে বুঝা যায় ডারউইনের "Finch Bird" থিওরী থেকে। সেখানে চার্লস ডারউইন দেখানোর চেষ্টা করে কিভাবে খাদ্যসঙ্কটে ভুগে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে একদল পাখি (Finch Bird) দ্বীপান্তরিত হয়ে অন্য দ্বীপে গিয়ে নিজেদের ঠুটের বিবর্তন ঘটায়৷ একই বিষয় দেখা যায় মাছের কানকো থেকে ফুসফুসের বিবর্তনে মাছ থেকে ডলফিন হয়ে উঠা। এই যে প্রাণীর টিকে থাকার লড়াইয়ে বিবর্তনের একটি চমৎকার নাম দেয় ব্রিটিশ দার্শনিক ও বায়োলজিস্ট হারবার্ট স্পেন্সার। তিনি ডারউইনের Origin of Species বইটা পড়ে বিবর্তনকে সহজভাবে বুঝানোর জন্য এর নাম দেন "Survival of the fittest"। 


কিন্তু এর সাথে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের "জলচর বা মাছের মধ্যে আমি মকর" বলার সম্পর্ক কি? 

সম্পর্ক রয়েছে এবং সেই সম্পর্কের মধ্যেই লুকিয়ে আছে জলচর প্রাণী তথা মাছের বিবর্তনের সূত্র। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদভগবদগীতার বিভূতিযোগে নিজের বিভূতি বর্ণনায় এই জগতে যা-কিছু শ্রেষ্ঠ তার সাথেই নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি জলচরদের মধ্যে এমন এক প্রাণী হবেন যে জলচরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং সে প্রাণীটি হলো "মকর"। মকর বলতে আজকাল কুমিরকেও বোঝায় এবং অনেকে মা গঙ্গার বাহনরূপে কুমিরকেই বিবেচনা করে। কিন্তু কুমির ত উভচর, অথচ মকরকে হতে হবে জলচর। তাহলে মকর হয়তো ছিলো উপরে আলোচিত সিলাকান্থ প্রজাতির কোন প্রাণী যা বিবর্তনের  ধারায় কুমিরের (উভচর) ঠিক পূর্ব ধাপের সর্বশেষ জলচর। হয়তো লক্ষ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই মকর। যেহেতু মকরের ঠিক পরের ধাপই কুমির তাই শারিরীক ও জেনেটিক গঠনের মিলের কারণে কুমিরকেই এখন ক্ষেত্রবিশেষে মকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এমনকি ভারতে কুমিরকে এখনও মগরমাছ/मगरमच्छ (>মকরমাছ) বলা হয়।


কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুমির নয় বরং মকরের কথাই বলেছেন যা হয়ত সিলাকান্থ যুগের বা ঐ প্রজাতির কোন জলচর ছিলো। এর ইংগিত পাওয়া যায় বায়ু পুরাণ, ৬৯ অধ্যায়, ২৮৫-২৮৮ শ্লোকে। ওখানে দেখা যায় বিভিন্ন জলজ প্রানীর মধ্যে সহস্রদন্তা (হাঙর), মকর, পাধীন, তিমি ও রোহিত (রুই) মাছ মীনা নামক ঋষাকন্যা থেকে উৎপন্ন। এরা ভিন্ন ভিন্ন গাঠনিক ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলেও, প্রত্যেকে একটি কমন (মীনা) উৎস থেকে উৎপন্ন হয়েছে তাই এদেরকে মীন বা মৎস বলা হয়।  


মকর অবশ্যই জলচরদের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত প্রাণী ছিলো যা বিবর্তনের ধারায় নিজেকে উন্নত ও পূর্ণ করেছিলো অনেকটা ডলফিনের মতো। তাহলে কি বিবর্তনের একটি ধাপে এসে মকর মাছ হারিয়ে গেছে নাকি রেখে গেছে কোন প্রতিনিধি যা হয়তো গঠন ও চরিত্রে ডলফিনের মতোই?

উপরের আলোচনায় যতটুকু ধারণা পাওয়া যায় সেই হিসেবে মকর মাছ কুমিরের কোন পূর্ব ধাপ যা বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে কুমিরের খুব কাছাকাছি। মকর মাছের বৈশিষ্ট্যের খুব কাছাকাছি আরেকটি প্রাণী যা আজও পাওয়া যায় তা হলো শুশুক। শুশুক কিন্তু ডলফিন প্রজাতিরই তবে গাঙ্গেয় শুশুক ডলফিন প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে আলাদা। শুশুকের মুখ ডলফিনের চেয়ে ভিন্ন কিন্তু কুমিরের কাছাকাছি। এটি কেবলমাত্র গঙ্গা নদীতেই দেখা যায় তাই এদের নাম গাঙ্গেয় শুশুক, এটাই সম্ভবত মকরের রেখে যাওয়া একটি প্রতিনিধি বা মকরেরই আধুনিক নাম। এই শুশুকই গঙ্গার বাহন, কুমির নয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতার যে শ্লোকে "জলচরদের মধ্যে আমি মকর" বলেছেন সেই একই শ্লোকে (১০/৩১) বলছেন, "স্রোতসামস্মি জাহ্নবী......"  অর্থাৎ, নদীদের মধ্যে আমি গঙ্গা। তাই গঙ্গার শুশুকই যে মকর বা মকরের প্রতিনিধি তা প্রায় নিশ্চিত।

                                                                     গাঙ্গেয় শুশুক

গাঙ্গেয় শুশুক জলচরদের মধ্যে উত্তম বলেই হয়তো ভারত সরকার একে জাতীয় জলচর প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

পরিশেষে আমরা বলতে পারি বিবর্তন অথবা Survival of the fittest এর যে সূত্র তা নিহীত রয়েছে শ্রীমদভগবদগীতার (১০/২১) একটি শ্লোকে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণও সেই ইংগিতই দিয়েছিলেন। তিনি সর্বজ্ঞ তাই তিনি জানতেন জলচরদের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত প্রাণী মকর। পুরাণাদি শাস্ত্রেও দেখা যায় ব্রহ্মা মানুষ সৃষ্টির আগেই নিম্ন শ্রেণীর জীব, গাছপালা, পশুপাখি সব কিছুই সৃষ্টি করেন এবং নিম্মশ্রেনীর জীব থেকে ক্রমান্বয়ে উচ্চশ্রেনীর জীব সৃষ্টি হয় যেখানে মানুষ হলো ব্রহ্মার নবম সৃষ্টি। এখানে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট যে জীবের বিবর্তন হয় অত্যন্ত ধীরে ধীরে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুব সামান্যই বিবর্তন হয় যা কেবলমাত্র জীবের টীকে থাকার জন্য। যেমন মকর মাছ বা ডলফিনের ক্ষেত্রে দুইটি বড় বিবর্তন লক্ষণীয়। প্রথমত জলের উপরে শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য তাদের দেহে ফুসফুস গঠিত হয় এবং খাদ্যগ্রহনের জন্য মুখের বিবর্তন হয়েছে। বিবর্তন অত্যন্ত সত্য একটি ঘটনা এবং বিবর্তন নিয়ে ভ্রান্তিও অনেক। আশাকরি আমাদের আগামী পর্বগুলোতে বিবর্তন নিয়ে আরও বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

বিঃদ্রঃ উপরের প্রতিটি রঙিন লেখার উপর ক্লিক করলে সেই বিষয়ে তথ্যসূত্র পেয়ে যাবেন।

© SPS শাস্ত্র গবেষণা কমিটি।
🖋️ শ্রী অনিক কুমার সাহা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. অনেক কিছু জানতে পারলাম।
    সনাতন ধর্ম ও তার মাধুর্য বুঝতে হলে জানতে হবে প্রচুর।
    হুটহাট করে দুকলম পড়ে পন্ডিতি করলে হবে ন।

    উত্তরমুছুন