পুরুষসূক্ত বেদের এক বিখ্যাত সূক্ত। চার বেদেই এই সূক্তের দেখা মিলে। পুরুষসূক্তের উল্লেখ পাওয়া যায় ঋগ্বেদ (১০/৯০), অথর্ববেদ (১৯।৬), সামবেদ (৬।৪), যজুর্বেদ (বাজসনেয়ী- ৩১) ও তৈত্তিরীয় আরণ্যকে (৩।৩২-৪১)। শতপথ ব্রাহ্মণ, তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ, শ্বেতাশ্বেতর উপনিষদ্ ও মুদগল উপনিষদেও এটি আংশিক ভাবে পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণ (২।৫।৩৫ থেকে ২।৬।১-২৯) ও মহাভারতে (মোক্ষধর্মপর্ব ৩৫১ ও ৩৫২) এই শ্লোকের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পুরুষসূক্ত বেদাদি শাস্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সূক্ত। এখানে পুরুষ বলতে মূলত পরমব্রহ্ম পরমপুরুষ পরমেশ্বরকে বোঝানো হয়েছে। এখানে আদি পরম-পুরুষের থেকে কিভাবে সৃষ্টি রচিত হয় তার বিশদ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
পুরুষসূক্তের দ্রষ্টা ঋষি হচ্ছেন নারায়ণ এবং দেবতা হচ্ছেন পুরুষ।
সূক্তটির প্রথম মন্ত্র। (ঋগ্বেদ-১০/৯০/১, শুক্ল যজুর্বেদ- ৩১/১)
সহস্রশীর্ষা পুরুষঃ সহস্রাক্ষঃ
সহস্রপাৎ ।
স ভূমিং বিশ্বতো বৃত্বাত্যতিষ্ঠদ্দশাঙ্গুলম্
।।১।।
অন্বয়
সহস্র – সহস্র(অনন্ত)।
শীর্ষঃ – মস্তক ।
পুরুষঃ - পুরুষ।
সহস্র – সহস্র(অনন্ত)।
অক্ষঃ – নয়ন (চোখ)।
সহস্র – সহস্র(অনন্ত)।
পাৎ
- চরণ ।
স ভূমিং বিশ্বতঃ বৃত্বা – তিনি সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ডকে
পরিব্যাপ্ত করেন ।
দশাঙ্গুলম্ অত্যতিষ্ঠতৎ - তিনি দশ আঙ্গুল দ্বারা কৃত সকল গণনার অতীত ও সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ডকে অতিক্রম করে অবস্থান করেন ।
অনুবাদ
পরম পুরুষের সহস্র মস্তক , সহস্র নয়ন , সহস্র চরণ । তিনি এই বিশ্বব্রহ্মান্ডকে পরিব্যপ্ত করে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের অতীত ও সমগ্র গণনার অতীত হয়েও জীব হৃদয়ে অবস্থান করেন।
ব্যাখ্যা
এখানে সহস্র বলতে অনন্ত বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ সেই পরম পুরুষের অনন্ত মস্তক , নয়নও চরণ যা সাধারণ জীবের পক্ষে ধারণা করা সম্ভব নয়। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ১১/১৬ স্লোকেও অনুরূপ বর্ণনা পাওয়া যায় –
অনেকবাহূদরবক্ত্রনেত্রং
পশ্যামি ত্বাং সর্বতোনন্তরূপম্৷
নান্তং ন মধ্যং ন পুনস্তবাদিং
পশ্যামি বিশ্বেশ্বর বিশ্বরূপ৷৷১৬/১১
>>হে বিশ্বেশ্বর ! হে বিশ্বরূপ ! আমি তোমার অনেক বাহু , উদর , মুখ ,নয়ন এবং সর্বত্র অনন্ত রূপ দেখছি। আমি তোমার আদি , মধ্য ও অন্ত কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।
তিনি এই বিশ্বব্রহ্মান্ডকে পরিব্যপ্ত করেন এবং তা অতিক্রম করেও অবস্থান করেন। এমন ধারনা আসতে পারে যে, ঈশ্বর তো সর্বত্র বিদ্যমান , তবে জগৎ সমষ্টিই কি ঈশ্বর ? এর উত্তরে বলা হচ্ছে , না বিশ্বের সমষ্টিই ঈশ্বর নয় । তিনি তার থেকেও অধিক । জগৎ ঈশ্বরের ক্ষুদ্রাংশ মাত্র , এই জগৎ তাতেই অবস্থিত আর তিনি এই জগৎ অতিক্রান্ত হয়ে অবস্থান করেন। তিনি দশ আঙ্গুল অতিক্রম করে অবস্থান করেন। এখানে দশ আঙ্গুল বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ ,দশ আঙ্গুল দ্বারা এখানে বোঝানো হচ্ছে তিনি সকল জাগতিক গণনার অতীত হয়ে এবং জগতের অতীত হয়ে অবস্থান করছেন । আবার দেহে নাভি থেকে দশ আঙ্গুল ওপরে অর্থাৎ দশ আঙ্গুল অতিক্রান্ত হয়ে হৃদয় অবস্থিত , সেই পরমপুরুষ সেই হৃদদেশে অবস্থান করছেন। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায়ও ১৫/১৫ স্লোকে বলা আছে ভগবান সকলের হৃদয়ে অবস্থান করছেন।
বিভিন্ন অনুবাদক, টীকাকার, ভাষ্যকারদের প্রথম মন্ত্রের অনুবাদ,
অর্থাৎ ইহা স্বয়ং পুরুষেরই রূপ, কাল্পনিক বা রূপক জাতীয় কিছু না। কারণ উক্ত মন্ত্রে স্পষ্ট বলা হয়েছে পুরুষ সহস্র মস্তক, নয়ন, হস্ত, চরণ যুক্ত। গীতায় অর্জুন স্পষ্টভাবেই পুরুষের সেই রূপ দেখেছিলেন, তার বিস্তারিত গীতার ১১ অধ্যায়ে আছে এবং উপরোক্ত ১১/১৬ স্লোকে স্পষ্ট করেই বলা আছে অর্জুন কি কি দেখছে।
অনেকে উদ্ভট দাবী করে বসেন পুরুষের এই বর্ণনা দ্বারা পুরুষের সর্বব্যাপীতা বোঝানো হয়েছে এবং পুরুষের এই হাত, পা, চোখ, মাথা মূলত প্রাণী সকলের চোখ, মাথাদি বোঝানো হয়েছে পরম পুরুষ পরমেশ্বর মূলত নিরাকার,
প্রথমত, হ্যাঁ, পুরুষের এই রূপ দিয়ে পুরুষের সর্বব্যাপীতা বোঝানো হয়েছে। হ্যাঁ, তিনি সর্বব্যাপী, এই বিরাট পুরুষরূপে তিনি সর্বব্যাপী হয়ে আছেন। সকল কিছু তারই বিভুতি তিনি ব্যাতীত অতিরিক্ত কিছু নাই, তার থেকেই এই জগতের উৎপত্তি। তিনিই জগতের উপাদান ও নিমিত্ত কারণ। এই কথাই বলা আছে পুরুষসূক্তের ২-৩ নং মন্ত্রে। জগতের সকল কিছুই পুরুষের অপার বিভুতির এক চতুর্থাংশ মাত্র।
পুরুষ এবেদং সর্বং যদ্ভূতং যচ্চ
ভব্যং ।
উতামৃতত্বস্যেশানো যদন্নেনাতিরোহতি
।। ২।।
অন্বয়
যৎ ভূতম্ - পূর্বে বা অতীতে যা ছিল ।
যচ্চ ভাব্যং – যা ভবিষ্যতে থাকবে ।
ইদং – যা বর্তমানে আছে ।
সর্বং পুরুষ এব চ – এই সকল কিছুই প্রকৃতপক্ষে পরম
পুরুষই ।
উতা – উপরন্তু ।
অমৃতত্বস্য – অমৃতত্বের ।
ঈশানো – ঈশ্বর (পরম পুরুষ অমৃতত্বের
ঈশ্বর) ।
যৎ অন্নেনা তিরোহতি – তিনি অন্নের দ্বারা বর্ধমান সত্তার অর্থাৎ
জীবকূলেরও অধীশ্বর ।
অনুবাদ
অতীতে যা ছিল , বর্তমানে যা আছে , ভবিষ্যতে যা থাকবে তা সকল মূলত সেই পরমপুরুষই, তাঁর অতিরিক্ত কিছু নাই । তিনি অমৃতত্বের অর্থাৎ মোক্ষের অধীশ্বর এবং অন্ন অর্থাৎ খাদ্যের উপর নির্ভরশীল জীবেরও অধীশ্বর ।
এতাবানস্য মহিমাতো জ্যাযাংশ্চ পুরুষঃ
।
পাদোঅস্য বিশ্বা ভূতানি ত্রিপাদস্যামৃতং
দিবি ।। ৩।।
অন্বয়
এতাবান – জগতের সবকিছু ।
অস্য মহিমা – তার মহিমা বা বিভূতি ।
অস্য পুরুষশ্চ জ্যাযাং – পুরুষের চার ভাগের এক ভাগ ।
বিশ্বা ভূতানি অস্য পাদঃ – এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সকল কিছু
তার এক-চতুর্থাংশ মাত্র ।
অস্য ত্রিপাদ অমৃতম্ দিবি – তাঁর তিন চতুর্থাংশ অমৃতময় বা
নিত্য দিব্যধামে (দিবি)
অবস্থিত ।
অনুবাদ
পরম পুরুষের মহিমা বা বিভূতি এতোই বিশাল যে, সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তার বিভূতির এক-চতুর্থাংশ মাত্র (কিন্তু নশ্বর বা অনিত্য) । তাঁর বিভূতির অপর তিন-চতুর্থাংশ অমৃতময় বা নিত্য দিব্যধামে প্রকাশিত । অথচ পুরুষ স্বয়ং এই সমস্ত বিভূতি অপেক্ষাও মহান ।
দ্বিতীয়ত, এখানে উক্ত হাত, পা, মস্তক, চোখ স্বয়ং পুরুষেরই অন্য প্রাণীগণের নয়। কারণ -
১. উক্ত সূক্তের প্রথম মন্ত্রে বলা আছে পুরুষ সহস্র শীর্ষা। অথাৎ শীর্ষ বা মাথা আছে যার তিনিই শীর্ষা। তদ্রূপ হাত, পা, চক্ষুও তার নিজস্বই। উক্ত প্রথম মন্ত্রের কোথায় বলা নাই যে, "তস্য হস্তপদং সর্বপ্রাণীস্য হস্তপদম্ ৷" ( তার হাত পা মূলত প্রাণী সকলের হাত পা।)
২. গীতায় ১১ অধ্যায়ে ও বিশেষ করে ১১/১৬ স্লোকে স্পষ্ট করে বলা আছে অর্জুন সেই রূপ স্বচক্ষে দেখেছে, অর্থাৎ অর্জুন প্রত্যক্ষদর্শী হেতু এখানে পুরুষের বিরাট রূপের সত্যতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ সাধিত হয়।
৩. এই পুরুষসূক্তটিতে সৃষ্টিতত্ত্বের বিশদ বর্ণনা করা আছে। এখানে বলা আছে সেই বিরাট পুরুষ থেকে কিভাবে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হলো। সূক্তটির ৮ ও ১০ (ঋগ্বেদ ১০/৯০/৮,১০) নং মন্ত্রে স্পষ্ট বর্ণনা করা আছে বিশ্বসৃষ্টিরূপ যজ্ঞ থেকে পশুপাখি সকল প্রাণী সৃষ্টি হলো,
তস্মাদ্ যজ্ঞাৎ সর্বহুতঃ সংভৃতং পৃষদাজ্যং।
পশূংস্তাংশ্চক্রে বায়ব্যানারণ্যান্ গ্রাম্যাশ্চ যে।।৮।।
>> সেই যজ্ঞ হতে দধি ঘৃত আদি ভোগ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়েছে । বায়ু দ্বারা জীবিত পশু, জঙ্গলের সিংহ আদি ও গ্রামের গো অশ্ব আদি উৎপন্ন হয়েছে।
তস্মাদশ্বা অজায়ন্তু যে কে চোভয়াদতঃ।
গাবো হ যজ্ঞিরে তস্মাৎ তস্মাজ্জাতা অজাবয়ঃ।। ১০।।
>> তাঁর থেকে অশ্বসকল, উভয় দন্তপংক্তিবিশিষ্ট প্রাণী সকল, গো সকল , অজা ও পক্ষী সকল সমুৎপন্ন হয়েছে।
সুতরাং এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় পুরুষের বর্ণিত হস্তপদাদি কখনোই প্রাণী সকলের হস্তপদাদি নয় ,তা তার নিজস্ব রূপের অন্তর্গত। কারণ প্রাণী সকলের সৃষ্টি প্রক্রিয়া অনেক পরের বিষয়(৮,১০ নং মন্ত্রাদিতে), আর প্রাণীগণ কখনোই পরম পুরুষ পরমেশ্বরের পূর্ববর্তী নয়। তাই এখানে পরম পুরুষের রূপের কথা বলা হয়েছে , পশুপাখির হাতপায়ের কথা বলা হয় নাই। তাই এখানে পুরুষের হস্তপদাদিকে প্রাণী সকলের হস্তপদাদি বলে উল্লেখ করা মূঢ়তা ব্যাতীত আর কিছুই নয়।
তৃতীয়ত, নিরাকার বলতে বোঝায় যার রূপের সীমারেখা টানা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট আকারে ফেলা যায় না। ঠিক যেমনটা বলা হয়েছে গীতার ১১/১৬ তে অর্জুন তাঁর সেই বিরাট রূপ দেখলেও সেই পুরুষের আদি অন্ত মধ্য কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না। এই হচ্ছে নিরাকারের ব্যাখ্যা, নিরাকার বলতে প্রতিবন্ধীর মত "কিছুই নাই" এরূপ বোঝায় না। পুরুষ সূক্তের পুরুষ তাঁর আদি অন্ত মধ্য হীনতার দরুণ নিরাকার। কোনো কিছুই নাই এরূপ শূণ্যতা অর্থে কখনোই নিরাকারীতা প্রকাশ পায় না; কেননা সেটা মূলত শূণ্যতা , নিরাকারীতা নয়।
নিরাকার সাকার নিয়ে বিস্তারিত জানতেক্লিক করুন
এরপর অনেকে আবার আসে শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ৩/১৯ নং মন্ত্র নিয়ে, যেখানে পরমেশ্বরকে হস্তপদাদি বর্জিত বলা হয়েছে। এখানে আপাত দৃষ্টিতে শ্রুতিবিরোধ বোধ হয়। এক জায়গায় সহস্র হস্তপদ যুক্ত বলা হয়েছে অপর জায়গায় হাস্তপদ হীন। ভালো ভাবে ব্যাপার গুলো বুঝতে পারলে শ্রুতি বিরোধ হয় না। উক্ত শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের মন্ত্র হস্ত পদ দিয়ে বোঝানো হয়েছে জীবের মত পরমেশ্বরের প্রাকৃত বা রক্ত মাংসের শরীর নাই বা জীবের ন্যায় জীবদেহের ন্যায় তাঁর প্রাকৃত হস্তপদাদি নাই।
এজন্য কঠোপনিষদের ১/২/২২ এ বলা হয়েছে "অশরীরং" অর্থাৎ তিনি রক্ত মাংসের শরীর রহিত।
শরীর আর স্বরূপের মধ্যে পার্থক্য আছে। পুরুষসূক্তে বর্ণিত সহস্র হস্তপদাদি যুক্ত পুরুষ হচ্ছে পুরুষের স্বরূপ। যখন শরীর বলা হবে তখন জড়তা ভাব এসে পড়বে তখনই জীবের মত শরীর ধারণের বিষয়টি এসে পড়বে, যা জীবাত্মা হতে পৃথক ও জড়। যা মূলত জীবাত্মার স্বরূপ নয়, জীবাত্মার উপর আবরণ। তাই পুরুষের উহা শরীর বা কায়া নয় উহাকে বলতে হবে তার স্বরূপ।
আবার শরীর ধারণ হয় কর্মফল অনুসারে। কর্মচক্রে আবদ্ধ জীব কর্মফল অনুসারে শরীর ধারণ করে। কিন্তু জীব স্বরূপত সেই দেহ বা শরীরটি নয় জীব হচ্ছে সেই জীবাত্মাটা, সেই জীবাত্মাই তার স্বরূপ। পরমেশ্বর পরমপুরুষ জীবের ন্যায় কর্মচক্রে আবদ্ধ নয় যে তাকে জড় শরীর ধারণ করতে হবে। শরীর ধারণ মূলত কর্মফল হেতু। তাই পরমেশ্বরের ঐরূপ জড় শরীর নাই তবে রূপ আছে যা পুরুষসূক্তে প্রতিভাত হয়, তিনি স্বরূপত ঐরূপ; উহা তাঁর শরীর নয়, উহা তাঁর স্বরূপ।
এবার আসি পুরুষের হস্তপদাদি নিয়ে অপপ্রচারকারীদের বিষয়ে। এই অপপ্রচারকারীরা এতোটাই কপট যে তারা বেদের একমাত্র সংহিতাকেই অপৌরুষেয় মানে; ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদের অপৌরুষেয়তা এরা মানে না। তারচেয়ে বড় কথা হলো এরা যজুর্বেদ বলতে শুধুমাত্র শুক্ল যজুর্বেদকেই বোঝায় এরা কৃষ্ণযজুর্বেদ বা তৈত্তিরীয় সংহিতা মানে না। অথচ কৃষ্ণ যজুর্বেদীয় শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের মন্ত্রের সাহায্য দিয়ে ঋগ্বেদাদি সংহিতার পুরুষসূক্তের পুরুষের রূপকে নিরাকার (মূলত তা শূন্যতা নিরাকারীতা নয়) প্রতিপাদন করতে চায়। এদের কপটতা ও শঠতার লেভেলটা একবার চিন্তা করুন। কপট গুলো নিজ স্বার্থে শাস্ত্র ব্যবহার করে। কি হাস্যকর ও সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার!
অপপ্রচারকারী শঠ ও কপটগণ পুরুষসূক্তের আজগুবি ব্যাখ্যা দিয়ে পুরুষের রূপকে নিরাকার বানানোর যে অপপ্রচেষ্টা করে এতোদিন যে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেন আশা করি এর পর থেকে তা আর তুলবেন না।
------------ শ্রী প্রান্ত সাহা
0 মন্তব্যসমূহ