Avatar (অবতার) মুভির সাথে সনাতন দর্শনের সংযোগ !!


জেমস ক্যামেরনের "অবতার/Avatar" মুভিটির প্লট কি হিন্দু দর্শন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বানানো?

সম্প্রতি ফেসবুকে খুব প্রচার হচ্ছে, বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরনের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র "অবতার/Avatar" হিন্দু দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো। কিন্তু আসলেই সত্যটা কি! এটা কি সত্য প্রচার নাকি ধর্মের নামে সস্তা অপপ্রচার! এর পেছনের সত্য উদঘাটনের চেষ্টাই করেছে "SPS শাস্ত্র গবেষণা কমিটি"
প্রথমেই যে কারণে এই ধারণার জন্ম হয় যে Avatar চলচ্চিত্রটি হিন্দুদর্শন থেকে অনুপ্রানিত হয়ে বানানো সেটা হলো এই জনপ্রিয় মুভিটার নাম (অবতার/Avatar)। হিন্দুধর্মে অবতার (সংস্কৃত: अवतार; অব+তর+ষ্ণ = অবতরণ) বলতে বোঝায় ঈশ্বর যখন লোকশিক্ষা বা ধর্মপথের দিকনির্দেশনা দিতে বা অধর্মের বিনাশে জীবদেহ ধারণ পূর্বক পৃথিবীতে স্বয়ং অবতীর্ণ হোন। তাই 'অবতার' শব্দটি মূলত সনাতন শাস্ত্র ও দর্শনেই পাওয়া যায়।
প্রশ্ন হলো চলচ্চিত্রের নামের সাথে মিল ত পাওয়া গেলো কিন্তু এই চলচ্চিত্রে কি সনাতন দর্শনের পূজ্য বিভিন্ন অবতারের বা অবতারের অনুরূপ কোন চরিত্র দেখানো হয়েছে?
না, একদমই তা নয়। সনাতন শাস্ত্রে সর্বাধিক চর্চিত বিষয় হলো শ্রীবিষ্ণুর দশাবতার। এছাড়াও আরও কিছু শাস্ত্রে আরও বিশেষ বিশেষ কিছু অবতারের বর্ণনা পাওয়া যায়। যদিও এইসব কন্সেপ্টের সাথে অবতার/Avatar মুভির সরাসরি কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায় নি, তবে SPS এর অনুসন্ধানে তার চেয়েও চমৎকার কিছু বিষয় বেড়িয়ে এসেছে যা এখন আমরা যথাযথ তথ্য ও যুক্তিতে তুলে ধরবো। অতঃপর সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে গ্রহণ বা বর্জনের দায়িত্ব পাঠক-শ্রোতাদের।

পর্যবেক্ষণঃ
SPS এর অনুসন্ধানে প্রথম যে বিষয়গুলো দৃষ্টিগোচর হয়েছে তা হলো অবতার/Avatar মুভির প্রধান যে চরিত্রগুলো (না'বি) তাদের গায়ের রঙ, কপালের তিলক চিহ্ন, কালো চুল, নাক-কানের গঠন। তাছাড়া প্যান্ডোরার বিশাল বৃক্ষ, না'বিদের কন্ঠমালা, অবতার/Incarnation ইত্যাদি।
এই বিষয়গুলো তুলে ধরার আগে একটু জেনে নেই যে অবতার/Avatar মুভির উপর সনাতন দর্শনের প্রভাব নিয়ে স্বয়ং জেমস ক্যামেরন কি বলেছেন?
জেমস ক্যামেরন ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ Reuters কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন,
"ভারতীয় হিন্দু দর্শনের সাথে Avatar মুভির কানেকশন Subconsciously রিলেটেড কিন্তু আমি মনে করি এমন কেউ করে থাকলে এতে বিক্ষুব্ধ হওয়ার কিছু নেই। হিন্দু মিথলজি, বিভিন্ন দেবদেবীর কন্সেপ্ট অত্যন্ত উন্নত ও প্রাণবন্ত।"
২০১০ সালের একই মাসে (মার্চ) The Times of India কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন বলেন,
"হিন্দুধর্মের অনেক বিশ্বাসের সাথে আমি অত্যন্ত পরিচিত এবং আমি দেখেছি এগুলো অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক।"
তাহলে জেমস ক্যামেরন যে দাবী করলেন Avatar মুভির কন্সেপ্ট হিন্দু দর্শনের সাথে সরাসরি নয় বরং Subconsciously রিলেটেড সেটা কি আদৌ সত্য?
না, কারণ ২০০৯ সালে তার এই মুভি রিলিজের দুই বছর আগেই অর্থাৎ ২০০৭ সালে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনকে (Time Magazine) দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরিই বলেছিলেন,
"এই মুভিটি একজন হিন্দু ভগবানের দেহধারণ (Flesh Body) করে অবতীর্ণ হওয়ার সাথে সম্পর্কিত। এই মুভিতে আমি এমনটা দেখিয়েছি যে ভবিষ্যতে এমন টেকনোলজি আসবে যেখানে একজনের চৈতন্য বা কন্সিয়াসনেসকে একটি রিমোট অঞ্চলের ভিন্ন দেহে প্রবেশ করানো যাবে যা হবে একটি বায়োলজিক্যাল শরীর।"
এই বক্তব্যে কিন্তু স্পষ্ট হয়ে গেলো যে মুভিটার যে প্রধান কন্সেপ্ট সেটা তিনি হিন্দু দর্শনের অবতারতত্ত্ব থেকে নিয়েছেন। তবে তিনি কিন্তু Times of India এর সাথে সাক্ষাৎকারে এটাও দাবী করেছেন যে, যদিও তিনি সনাতন দর্শনের অতারের আলোকে প্লট সাজিয়েছেন কিন্তু মুভির চরিত্রগুলো দৈব নয়। তাই এখানে Avatar মুভির কোন চরিত্রের সাথে সনাতন দর্শনের কোন দৈব সত্ত্বার সাদৃশ্য নেই।
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচকরা কি বলেছিলেন অবতার/Avatar মুভিটি নিয়ে?
বিশ্বব্যাপী যখন কোন বড় বাজেটের মুভি রিলিজ হয় তখন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচকরা সেটা নিয়ে সমালোচনা বা ক্রিটিকস করবেন এটাই চলচ্চিত্র জগতের ট্রেন্ড। সমালোচনা অর্থ কিন্ত কেবল নেগেটিভ আলোচনা নয় বরং পজিটিভ ও নেগেটিভ আলোচনার সমন্বয়েই সমালোচনা বা ক্রিটকস। Avatar মুভিটি রিলিজ হওয়ার পরও তেমন অনেক ক্রিটিকস হয়েছে মুভিটির নাম ও প্লট নিয়ে।
আমেরিকার বিখ্যাত নিউজপেপার Houston Chronicle-এ ২০০৯ সালের ৯ ডিসেম্বরে একটি আর্টিক্যাল ছাপা হয় 'New movie Avatar shines light on Hindu word'.. সেই নিবন্ধে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয় চলচ্চিত্রটি (Avatar) প্রাচীন হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত ও রামায়ণের সাথে সম্পর্কিত। চলচ্চিত্রর মুখ্য চরিত্রগুলো (Na'vi) রাম এবং কৃষ্ণের মতো দেখতে। একইরকম গায়ের রঙ, মাথার চুল এবং কপালের তিলক চিহ্ন।
এই যে না'বিদের (Na'vi) গায়ের রঙ নীল এর কারণ কিন্তু জেমস ক্যামেরনও ব্যাখ্যা করেছিলেন। " 'Avatar'- 11 burning questions" নামক একটি সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন বলেন, "I just like blue. It's a good color.. and there is a connection to the hindu deities, which I like conceptually." এই একই বক্তব্য তিনি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন The New Yorker- এর সাথে সাক্ষাৎকারেও দেন।
২০১০ সালের মার্চে Irish Times-এ "An irishwoman's Diary" নামক নিবন্ধে একটি চমৎকার বিষয় উঠে আসে। সেখানে লেখা হয় যে এই মুভিটির প্লট হিন্দুদর্শনের এমন কিছু ধারণা ও শিক্ষা থেকে নেওয়া হয়েছে যেখানে রয়েছে আত্মার পুনঃজন্ম, প্রকৃতির প্রতি বিশেষ নিবেদন এবং আরাধ্যের পৃথিবীতে অবতীর্ণ হওয়া। সেসময় Irish Times এর একজন রিভিউয়ার দাবী করেন এই মুভিটা বিষ্ণুর দশবতারের কন্সেপ্ট থেকে নেওয়া যা মুভির সংস্কৃত নাম থেকেই স্পষ্ট।

অবতার/Avatar মুভিতে একটি বিশেষ চরিত্র রয়েছে মনুষ্যবাহী পাখি (Gigantic Raptor).. এর সাথে বিষ্ণুর বাহন গরুড় পাখির সাদৃশ্য দেখা যায়। এটা কিন্তু আমাদের দাবী নয়। ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক একটি নিউজপেপার San Francisco Examiner এর একটি নিবন্ধ "Avatar, the prequel, at the Asian Art Museum"-এ এই বিষয়টিকে উপস্থাপন করা হয়।



আমেরিকার একটি জনপ্রিয় নিউজ ওয়েবসাইট The Daily Beast এর ২০১০ সালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে কিউ. নোমানি লেখেন যে না'বি ও তার সঙ্গী নেইতিরির যে রূপ তা যেন শিব ও দুর্গার রূপ।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত The Sydney Morning Herald এর একটি নিবন্ধে রাশিয়ান লেখক ম্যাক্সিম ওসিপভ লেখেন, "Film's philosophical message was consistent overall with the Bhagavad Gita, in defining what constitutes real culture and civilization."
Irish Times এর একটি নিবন্ধে লেখা হয় "Hindu connection between the film's story and the vedic teaching of reverence for the whole universe, as well as yogic practice of inhabiting a distant body by one's consciousness."
আইরিশ টাইমসের নিবন্ধের এই অবজারভেশনে এটা স্পষ্ট হয় যে আদিগুরু শঙ্করাচার্য একবার যোগপ্রভাবে নিজ শরীর জঙ্গলে রেখে এক মৃত রাজার শরীরে প্রবেশ করেছিলেন। পক্ষান্তরে এই একই চিত্রই কিন্তু অঙ্কিত হয়েছে Avatar মুভিতে মুভিটির প্রধান চরিত্র জ্যাক যেভাবে প্যান্ডোরাতে গিয়ে সেখানকার জনজাতির একজন না'বির দেহে প্রবেশ করেন।

না'বিদের যে ঈশ্বর বা আরাধ্যা দেবী আইভা তাঁর সাথে বেদান্তের ব্রহ্মকে তুলনা করে " 'Avatar, blue skin and the ground of being" নামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয় NoozHawk Newsletter এ। সেখানে লেখা হয় যে না'বিরা যেভাবে তাদের ঈশ্বর এইভার সাথে যুক্ত হয় সেটা হিন্দুধর্মের বেদান্তে বর্ণিত আত্মাকে উপলব্ধি করে ব্রহ্মের সাথে যুক্ত হওয়ার মতোই।

এছাড়াও চলচ্চিত্রটিতে দেখা যায় এইভা হলেন প্রকৃতির সর্বেশ্বরী এবং তিনি গাছপালা, পশুপাখি, না'বি জনজাতি সকলের সাথেই যুক্ত এবং সবকিছু ধ্বংসের পর আবার তাঁর কাছেই ফিরে যায়। এই কন্সেপ্ট শুধুমাত্র সনাতনের বেদান্তদর্শনের সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাছাড়া সনাতন দর্শনে প্রকৃতিকে ব্রহ্মময়ীও বলা হয় এবং সকল জীব মৃত্যুর পর প্রকৃতিতেই ফিরে যায় তথা পঞ্চভূতে মিলিয়ে যায়।

উপরে এতোক্ষণ যা আলোচনা করা হলো তা সম্পূর্ণ তথ্যভিত্তিক আলোচনা এবং সেগুলো সরাসরি Avatar মুভির পরিচালক জেমস ক্যামেরন ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র সমালোচকদের মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণ থেকে সরাসরি নেওয়া হয়েছে। তাই এখানে এতোটুকু ত স্পষ্ট যে জেমস ক্যামেরন তার এই Avatar চলচ্চিত্রে সনাতন দর্শনের কোন বিষয়কে সরাসরি ব্যবহার না করলেও সনাতন দর্শনের মূল বিষয়গুলোকে তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সে উপলব্ধির উপর দাঁড়িয়ে চলচ্চিত্রটির প্লট সাজিয়েছেন।
SPS এর আরও কিছু পর্যবেক্ষণ যুক্ত করা হচ্ছে এই আলোচনায়। আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো নিজস্ব হলেও এগুলো কিন্তু উপরের আলোচনার ভিত্তিতেই করা হয়েছে তাই এগুলো গ্রহণ বা বর্জন সম্পূর্ণভাবে পাঠক-শ্রোতাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
SPS-এর পর্যবেক্ষণসমূহঃ
🔸 তিলক চিহ্নঃ উপরের আলোচনায় একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় যে Avatar চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র না'বিদের গায়ের রঙ শ্রীবিষ্ণু ও তাঁর দুই মনুষ্য অবতার শ্রীরামচন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নীল রঙের করা হয়েছে। তবে আরেকটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে শ্রীবিষ্ণু ও তাঁর অবতারদের এবং বিষ্ণুভক্তদের কপালে একটি বিশেষ তিলক চিহ্ন রয়েছে যাকে উর্ধপুণ্ড্র (ऊर्ध्वपुण्ड्र) বলে। Avatar মুভিতেও না'বিদের কপালে হুবহু একই তিলকচিহ্ন (উর্ধপুণ্ড্র) একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে মাত্র।



🔸 কন্ঠমালাঃ শ্রীবিষ্ণুর অনুসারীরা তথা বৈষ্ণবরা গলায় একটি কন্ঠমালা (গলার মালা নয় কিন্তু) ব্যবহার করেন। তাঁদের বিশ্বাস এই কন্ঠমালা বিষ্ণুর সাথে তাদের সংযোগ স্থাপন করে। একইধরনের কন্ঠমালা আমরা দেখতে পাই Avatar মুভিতে না'বিদের কন্ঠে।


🔸 কান ও নাকের গঠনঃ Avatar মুভিতে না'বিদের কান ও নাকের গঠন নির্বাচনে জেমস ক্যামেরন বিষ্ণুর ৩য় অবতার বরাহ অবতারকে বেশি পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে মনে হয়। কানের গঠন হুবুহুই বরাহ অবতারের অনুরূপ এবং নাকের গঠন অনেকটাই বরাহের আকৃতি থেকে নেওয়া।


🔸 তীর-ধনুকঃ যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে তীর ধনুকের ব্যবহার বাস্তবে বা বিভিন্ন মুভিতেও বহুলাংশে লক্ষণীয়। তবে সনাতন ধর্মের ইতিহাস বিবেচনা করলে তীর ধনুক নিয়ে যুদ্ধের আলোচনায় সর্বপ্রথম যেই নামটি আসে, তা হলো ভগবান শ্রীরাম। রামায়ণে বহু বর্ণনা পাওয়া যায় ভূমি ও আকাশ মার্গে তীর ধনুক নিয়ে যুদ্ধের। তাই মুভিতে তীর ধনুক নিয়ে যুদ্ধের বিষয়টা সরাসরি রামায়ণ থেকে অনুপ্রাণিত কিনা তা নিশ্চিতরূপে বলা না গেলেও দুটি বিষয়ের মধ্যে যে স্পষ্ট সামঞ্জস্য বিদ্যমান, তা অনস্বীকার্য।



🔸 বিশাল বৃক্ষঃ Avatar মুভিতে যে বিশাল বৃক্ষ দেখানো হয়েছে তা সনাতন দর্শনের কল্পতরু ও অশ্বত্থ বৃক্ষের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

পরিশেষে বলবো যে Avatar মুভিতে সনাতন দর্শনের ব্যবহার নিয়ে আমরা যে উচ্ছ্বসিত তা নয় কিংবা এতে আমাদের সনাতন দর্শন মহিমান্বিত হয়েছে সেটাও আমাদের দাবী নয়। কিন্তু সনাতনের দর্শনের (অবতারতত্ত্ব, পুনঃজন্ম, প্রকৃতিতত্ত্ব) গভীরতা যে কতটা বিশাল তা এখানে সুস্পষ্ট এবং সনাতন দর্শনের এই গভীর সমুদ্র হতে জেমস ক্যামেরন সামান্য কিছু অমৃত উত্তলন করেছেন মাত্র। তবে Avatar মুভিতে জেমস ক্যামেরনের নিজস্ব গঠনশৈলী ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়োগকে শতভাগ শ্রদ্ধা জানাই SPS শাস্ত্র গবেষণা কমিটির পক্ষ থেকে।

বিঃদ্রঃ উপরের প্রতিটি রঙিন লেখার উপর ক্লিক করলে সেই বিষয়ে তথ্যসূত্র পেয়ে যাবেন।

© SPS শাস্ত্র গবেষণা কমিটি।
সনাতনী শাস্ত্র ও দর্শন প্রচারে বদ্ধপরিকর।।
Sanatan Philosophy and Scripture (SPS)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. অনেক সুন্দর লেখেছেন।আপনাদের প্রচেষ্টা কে সাধুবাদ জানাই।

    উত্তরমুছুন