রামায়ন নিয়ে মিথ্যাচারের (গদা, স্বয়ম্বর, মহাদেব-রাবন) প্রত্যুত্তর।। পর্ব-১।।

 



সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বামপন্থী, নাস্তিক্যমনা, অহিন্দু, অনার্য হিন্দু নামে সনাতন সংস্কৃতি ও মান্যতা বিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে। তারা বিভিন্ন মনগড়া ন্যারেটিভ ক্রিয়েট করে বাংলাদেশের সরলমনা ও সনাতন শাস্ত্র সম্পর্কে অজ্ঞ জনসাধরণের মধ্যে কৌশলে  সনাতন বিরোধী মনোভাব ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় রামায়নের কিছু প্রামাণ্য বিষয় নিয়ে অপপ্রচার করে স্টিকার আকারে সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছে। 

SPS শাস্ত্র গবেষণা কমিটি এসব অপপ্রচারের জবাব দেওয়াকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করে। 

প্রত্যুত্তরঃ

দাবী-১. মহাবলি হনুমানের গদা ছিল না এমনকি তিনি কোন অস্ত্রই ব্যাবহার করতেন না।

জবাবঃ গদা ছিল না, আর গদা ব্যবহার করেন নি – এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। হ্যাঁ, বাল্মীকি রামায়ণ, শ্রীরামচরিতমানস, আধ্যাত্ম রামায়ণ বা শ্রীমদ কম্ব রামায়ণে মহাবলী হনুমানের নিজস্ব কোনও গদা ব্যবহারের কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অস্ত্র হিসেবে উনার কাছে গদা কখনোই ছিল না। 


অগ্যস্ত মুনি রচিত “পঞ্চমুখী হনুমান কবচ” এ দেখা যায়,

খড্গং ত্রিশূলং খট্বাঙ্গং পাশমঙ্কুশপর্বতম্ ।
মুষ্টিং কৌমোদকীং বৃক্ষং ধারয়ন্তং কমণ্ডলুম্ ॥ ৯॥

অর্থাৎ, হনুমানজীর হাতে কমন্ডলু, খড়গ, ত্রিশুল, খটাঙ্গ, পাশ, অঙ্কুশ, পর্বত, গাছ, মুষ্টি ও কৌমুদকী গদা আছে। এই সেই ত্রিশুল ও গদা, যেগুলো যথাক্রমে ভগবান শিব এবং বিষ্ণুও ধারন করে থাকেন।

আবার মহাবলী হনুমানকে কখনই যে গদা হাতে যুদ্ধ করতে দেখা যায়নি, তা কিন্তু নয়। বাল্মীকি রামায়ণের সুন্দরকাণ্ডের ৪২তম সর্গে দেখা যায়,

স তৈঃ পরিবৃতঃ শূরৈঃ সর্বতঃ স মহাবলঃ।
আসসাদায়সং ভীম পরিঘ তোরণাশ্রিতম্।। ৩৯

“সেই সকল শূরবীর রাক্ষসগণের দ্বারা সবদিক থেকে পরিবৃত হয়ে শ্রীহনুমান তোরণস্থিত এক ভয়ংকর পরিঘ অর্থাৎ লৌহ গদা হাতে তুলে নিলেন।“

 স তং পরিঘমাদায় জঘান রজনীচরান।
সপন্নগমিবাদায় স্ফুরন্তং বিনতাসুতঃ৷৷ ৪০

 “যেমন করে বিনতানন্দন গরুড় চঞ্চল সর্পকুলকে নখরে ধরে বধ করে সেইরূপ শ্রীহনুমান পরিঘতুল্য লৌহ দণ্ডকে হস্তগত করে রাক্ষসগণের সংহার আরম্ভ করলেন।“

লঙ্কার যুদ্ধে সাধারণত তাঁকে গদা বা অন্য কোনও অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়না, তার কারণ হল শত্রুদের তুলনায় মহাবলী হনুমানের শারীরিক শক্তি অসীম পরিমাণ বেশি ছিল। তাঁকে যুদ্ধ করার জন্য বা যুদ্ধে জয়লাভের জন্য কোনও বিশেষ অস্ত্রেরই সাহায্য নিতে হয়নি। গাছ, পর্বতখণ্ড বা মুষ্টির সাহায্যেই তাঁকে বেশিরভাগ সময় যুদ্ধ করতে দেখা যায়। তাঁর অপরিসীম সামর্থ্যের জোরে রাবণের চোখের সামনেই তিনি গোটা লঙ্কাকে দগ্ধ করে দিয়েছিলেন। অসংখ্য রাক্ষসকে হত্যা করেছিলেন। রাবণ সেনার একটি বিশাল অংশ তাঁর একার দ্বারাই ধ্বংস হয়ে যায়। তাঁর মুষ্টি, পা এবং লেজই যে কাউকে পরাজয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। এরজন্য তাঁর গদা বা বিশেষ কোনও অস্ত্রের ব্যবহার করা আবশ্যক ছিল না, তথা তিনি “মশা মারতে কামান দাগা” আনেননি।

সুতরাং,যেহেতু শাস্ত্রে স্পষ্টতই তাঁর পঞ্চমুখী দশভুজ রুপের সাথে গদার উল্লেখ আছে, তাই এই ব্যাপারে আর কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকেনা। আবার বাল্মিকী রামায়নেই তাঁকে পরিঘ বা লৌহ গদা  ব্যাবহার করতে দেখা যায়। বাল্মিকী রামায়নে মহাবলী হনুমানের কেবল শ্রীরামচন্দ্রের সাথে সময়কালের বর্ণনাই আছে। তাই তিনি এর আগে ও পরে কখনোই আর গদা বা কোন অস্ত্র ব্যাবহার করতেন না এহেন বক্তব্য বাতুলতা ছাড়া কিছুই নয়। 


দাবী-২. মাতা সীতার  কোনও স্বয়ম্বর হয়নি।

জবাবঃ  অবশ্যই স্বয়ম্বর হয়েছিলো, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এখানে বেশ কিছু আলোচনা আছে, যার কারণে এই ব্যাপারে এক লাইনে conclusion দেওয়াটা অনুচিত হবে এবং SPS শাস্ত্র কখনও এই কাজ করে না। 

প্রথমে দেখি, স্বয়ম্বর হয়েছিলো কিনা! সে বিষয়ে বাল্মীকি রামায়ণ কি বলে? বাল্মীকি রামায়ণের অযোধ্যা কাণ্ডের ১১৮ তম সর্গের নামের মধ্যেই স্বয়ংবরের কথা উল্লেখ আছে।  

অষ্টদশাধিকশততম সর্গ (১১৮)
সীতা-অনসূয়া সংলাপ। সীতাকে অনসূয়ার স্নেহোপহার দান। অনসূয়ার জিজ্ঞাসার উত্তরে সীতা কর্তৃক
স্ব-স্বয়ংবর বর্ণন”

এখানে মাতা সীতা অনসূয়ার জিজ্ঞাসায় নিজের স্বয়ংবরের বর্ণনা দিয়েছেন এবং শ্লোকে বারবার স্বয়ম্বর কথাটার উল্লেখ আছে। কিছু প্রাসঙ্গিক শ্লোক উল্লেখ করা হল।

স্বয়ংবরে কিল প্রাপ্ত ত্বমনেন যশস্বিনা।
রাঘবেণেতি মে সীতে কথা শ্রুতিমুপাগতা৷৷ ২৪

“সীতে ! রাঘব যশস্বী শ্রীরাম স্বয়ম্বরে তোমাকে পেয়েছেন বলে শুনেছি।“

তাং কথাং শ্রোতুমিচ্ছামি বিস্তরেণ চ মৈথিলি।
যথাভূতং চ কাৎস্নর্যেন তন্মে ত্বং বক্তুমর্হসি৷৷ ২৫

“মিথিলেশনন্দিনি অয়ি সীতে ! সেই স্বয়ম্বর কাহিনী বিস্তারিত ও যথাযথ শুনতে চাই ; তুমি বলো !”

এবমুক্তা তু সা সীতা তাপসীং ধর্মচারিণীম্।
শ্রূয়তামিতি চোক্তা বৈ কথয়ামাস তাং কথাম্।। ২৬

“তাপসীকর্তৃক এইরকম জিজ্ঞাসিত হয়ে, সীতা ধর্মচারিণী তাপসীকে ‘শুনুন' বলে নিজের স্বয়ম্বর কাহিনী যথাযথা বলতে শুরু করলেন”—

অযোনিজাং হি মাং জ্ঞাত্বা নাধ্যগচ্ছৎ স চিন্তয়ন্।
সদৃশং চাভিরূপং চ মহীপালঃ পতিং মম ৷৷ ৩৭

“আমি অযোনিজা। রাজা তাই অনেক চিন্তা করেও আমার যোগ্য পতির সন্ধান পেলেন না।“

তস্য বুদ্ধিরিয়ং জাতা চিন্তয়ানস্য সন্ততম্।
স্বয়ংবরং তনূজায়াঃ করিষ্যামীতি ধৰ্মতঃ ৷৷ ৩৮

“সব সময় আমার বিবাহের বিষয়ে চিন্তা করতে করতে তাঁর মনে হল, “আমি ধর্মানুসারে কন্যার স্বয়ম্বরের ব্যবস্থা করব।”

ইদং চ ধনুরুদ্যম্য সজ্যং যঃ কুরুতে নরঃ।
তস্য মে দুহিতা ভার্যা ভবিষ্যতি ন সংশয়ঃ ৷৷ ৪২

“যে সজ্জন এই ধনু তুলে তাতে 'জ্যা' আরোপ করতে সমর্থ হবে, আমার কন্যা সীতা তাঁরই পত্নী হবে, সে বিষয়ে কোনও সংশয় নেই।”

তচ্চ দৃষ্টা ধনুঃশ্রেষ্ঠং গৌরবাদ্ গিরিসন্নিভম্।
অভিবাদ্য নৃপা জগ্মুরশক্তাস্তস্য তোলনে৷৷ ৪৩

রাজারা পর্বতসদৃশ গুরুভার সেই ধনুকটি তুলতেই অসমর্থ হয়ে, তাকে প্রণাম করে চলে গেলেন।“

নিমেষান্তরমাত্রেণ তদানম্য মহাবলঃ।
জ্যাং সমারোপ্য ঝটিতি পূরয়ামাস বীর্যবান্ ॥ ৪৮

মহাবলী শ্রীরাম নিমেষের মধ্যে সেই ধনুতে জ্যা আরোপ (গুণ যোজন) করে আকর্ষণ করলেন।

তেনাপূরয়তা বেগান্মধ্যে ভগ্নং দ্বিধা ধনুঃ।
তস্য শব্দোঽভবদ্ ভীমঃ পতিতস্যাশনের্যথা।। ৪৯

“সবেগে আকর্ষণ করায় বজ্রপাতের মতো ভীষণ শব্দে সেই ধনু মধ্যভাগ থেকে দ্বিখণ্ডিত হয়ে ভেঙে গেল।“

ততোহহং তত্র রামায় পিত্রা সত্যাভিসন্ধিনা। ৫০
উদ্যতা দাতুমুদ্যম্য জলভাজনমুত্তমম্৷৷

“তখন আমার সত্যসন্ধ পিতা উত্তম জলপাত্র নিয়ে শ্রীরামের হাতে আমাকে সমর্পণ করার জন্য উদ্যত হলেন।“

এবং দত্তাস্মি রামায় তথা তস্মিন্ স্বয়ংবরে।
অনুরক্তাস্মি ধর্মেণ পতিং বীর্যবতাং বরম্।। ৫৪

“এইভাবে স্বয়ম্বরে আমি পিতা কর্তৃক শ্রীরামের হস্তে সমর্পিতা হলাম। তাই বীরশ্রেষ্ঠ পতির প্রতি ধর্মানুসারে আমি অনুরক্তা হয়ে আছি।“

ক্রিটিক্যাল এডিশান অনুসারে,

Ayodhya Kanda
Chapter- 2(110) 

“O Sita! I have heard the story that you were obtained by the illustrious Raghava in an act
of svayamvara.
O Maithilee! I wish to hear that account in detail.”

“In this way, I was bestowed on Rama in that svayamvara. Following dharma, I am devoted to my husband.”

সুতরাং, বাল্মীকি রামায়ণে যে স্বয়ম্বরের উল্লেখ আছে, সেটা পরিস্কার হলো।

কিন্তু কতদিন ধরে চলেছিল এই স্বয়ম্বরের? বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে স্বয়ম্বরের ঘটনা বেশ কিছুদিন ধরে চলেছিল। শ্রীরামের পূর্বেও অনেক রাজারা এসে ধনুক উত্তোলনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন (আদিকাণ্ড, ৬৬সর্গ)

ততঃ সর্বে নৃপতয়ঃ বীর্য সমেত্য মুনিপুঙ্গব ৷৷ ১৭
মিথিলামপ্যুপাগম্য বীর্যং জিজ্ঞাসবস্তদা। 

“হে মুনিশ্রেষ্ঠ ! তখন বিভিন্নদেশের রাজারা সকলে সমবেত হয়ে মিথিলায় এসে বীর্যবত্তা প্রদর্শনের উপায় জিজ্ঞাসা করলেন।“

তেষাং জিজ্ঞাসমানানাং শৈবং ধনুরুপাহৃতম্।। ১৮
ন শেকুর্গ্রহণে তস্য ধনুষস্তোলনেঽপি বা।
 

“তাঁরা জিজ্ঞাসা করায় তাঁদের সম্মুখে শিবের ধনুটি আনয়ন করা হল (নিয়ে আসা হল) । তাঁরা কিন্তু কেউই সেই ধনুটি ধারণ করতে বা উত্তোলন করতে (তুলতে) সমর্থ হলেন না।“

তেষাং বীর্যবতাং বীর্যমল্পং জ্ঞাত্বা মহামুনে।। ১৯
প্রত্যাখ্যাতা নৃপতয়স্তন্নিবোধ তপোধন।
 

“হে মহর্ষে! সেই বীরদের বীরত্ব অতি অল্পই ; এই বিষয় জানতে (বুঝতে) পেরে, সেই রাজাদের প্রত্যাখ্যান করা হল। হে তপঃশ্রেষ্ঠ! তখন কী হল, তা জানুন।“

ততঃ পরমকোপেন রাজানো মুনিপুঙ্গৰ ৷৷ ২০
অরুদ্ধন্ মিথিলাং সর্বে বির্যসন্দেহমাগতাঃ।
 

“হে মুনিপ্রবর ! তখন নিজেদের বীরত্ব সম্বন্ধে সন্দিগ্ধ রাজারা সকলে অত্যন্ত ক্রদ্ধ হয়ে মিথিলা নগরীকে অবরোধ করলেন।“

ক্রিটিক্যাল এডিশানেও এই বিবরণ পাওয়া যায়।

Adi Kanda
Chapter-1(65)

“O bull among sages! That is the reason all these kings have assembled here. They have arrived in Mithila to test their valour. Their valour will be tested by their ability to raise the bow. However, none of them have been able to grasp the bow or raise it. O great sage! I got to know that those valiant ones possess little valour. O store of austerities! Listen. I therefore refused all those kings. O bull among sages! At this, the kings were extremely enraged. Since their valour was being doubted, all of them laid siege to Mithila.”

অর্থাৎ, বাল্মীকি রামায়ণ এবং ক্রিটিক্যাল এডিশান অনুসারে মাতা সীতার স্বয়ম্বরের কার্যক্রম অনেকদিন ধরে চলেছিল এবং শ্রীরামই একমাত্র সেই স্বয়ম্বরের শর্ত পুরণে সমর্থ হন।

তবে এখানে যেই বিষয়টা লক্ষ্যনীয়, তা হল, রামায়ণে রাজা জনক মাতা সীতাকে বীর্যশুল্কা করেছেন বলে উল্লিখিত হয়েছে। (আদিকাণ্ড,৬৬তম সর্গ)

বীর্যশুক্লেতি মে কন্যা স্থাপিতেযমযোনিজা।
ভূতলাদুত্থিতাং তাং তু বর্ধমানাং মমত্বজাম্ ।। ১৫
বরয়ামাসুরাগত্য রাজানো মুনিপুঙ্গব।

“হে মুনিশ্রেষ্ঠ । অযোনিসম্ভবা আমার এই কন্যাকে বীর্যশুল্কা করলাম। পৃথ্বীতল থেকে উত্থিতা আমার এই কন্যা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকলে বিভিন্ন দেশের রাজারা এসে তাকে বিবাহ করতে উৎসুক হলেন।“ 

তেষাং বরয়তো কন্যাং সর্বেষাং পৃথিবীক্ষিতাম্ ॥ ১৬
বীর্যশুক্লেতি ভগবন্ ন দদামি সুতামহম্।
 

“হে মহাত্মন্ ! বিভিন্ন রাজারা সেই কন্যাকে বরণ করতে চাইলেও বীর্যশুল্কা বলে আমি কাউকেই কন্যা দান করিনি।“

Critical Ed., Adi Kanda
Chapter-1(65) 

“She was not born from a womb and this maiden will be bestowed as viryashulka. Having been raised from the surface of the ground, she has grown up as my daughter. O bull among sages! These kings have come to seek her hand. O illustrious one! I have not bestowed my daughter on
any of the kings who have come. I will bestow my daughter through the mode of viryashulka.”

বীর্যশুল্কা এবং সাধারণ স্বয়ম্বরের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। সাধারণ স্বয়ম্বরের সভাগুলো মুলত একদিনেই অনুষ্ঠিত হয় যেখানে কন্যা উপস্থিত পাত্রদের মাঝে থেকে তার পছন্দ মত একজনকে স্বামী হিসেবে বেঁচে নেয়। কিন্তু বীর্যশুল্কার অর্থ যেকোনো পাত্র নিজের বীর্য তথা সামর্থ্য প্রদর্শন করে তার বিনিময়ে কন্যাকে পত্নী রুপে লাভ করবে। “বীর্য” অর্থ “সামর্থ্য” বা “বীরত্ব”। “শুল্ক” অর্থ “মুল্য”। নিজের বীরত্বের মুল্য দ্বারা যেই কন্যাকে লাভ করা হয়, সেই বীর্যশুল্কা। রাজা জনক হরধনুতে জ্যা পরানোকে মাতা সীতার মুল্য হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন, অর্থাৎ, যে এই ধনুকে জ্যা পরাতে পারবেন, তাঁকেই মাতা সীতা স্বামী হিসেবে গ্রহণ করবেন। সেই কারণে যতদিন পর্যন্ত না কোনও উপযুক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন পাত্র আসে, ততদিন পর্যন্ত এই স্বয়ংবর সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল।

আরেকটি প্রশ্ন আসে রাবণের বিষয়ে। রাবণ মাতা সীতার স্বয়ম্বরে এসেছিলেন কিনা এই ব্যাপারে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

তবে এখানেও একটি সুক্ষ্ম আলোচনা আসছে। রাবণ স্বয়ংবরে এসেছিলেন কিনা আর রাবণ হরধনু তোলার চেষ্টা করেছিলেন কিনা, দুইটা কিন্তু আলাদা প্রসঙ্গ।

রামচরিতমানস (রামচরিতমানস, বালকান্ড, দোহাঃ ২৫০, চৌপাইঃ ১) অনুসারে রাবণ মাতা সীতার স্বয়ংবরে আসেননি। কিন্তু তিনি স্বয়ম্বরের পূর্বে একবার ধনুক উত্তোলন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। তবে সেটা সরাসরি উল্লেখ নেই। রাজা জনক যখন স্বয়ম্বরের সভায় বন্দকদের (যারা বন্দনা করে) বললেন তাঁর প্রতিজ্ঞার কথা সকলকে জানাতে, তখন বন্দকরা রাবণের কথা উল্লেখ করে।

বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারেও রাবণ স্বয়ম্বরে আসেননি এবং শূর্পনখা না জানানো পর্যন্ত তিনি মাতা সীতার ব্যাপারে জানতেনও না।

সুতরাং, যদি আমরা রামায়ণে উল্লিখিত ঘটনা এবং দেবী ভাগবতে রাবণের বক্তব্য মিলিয়ে চিন্তা করি, তাহলে বলা যায়, রাবণ মাতা সীতার স্বয়ম্বরে আসেননি।

তবে একমাত্র সন্ত একনাথ মহারাজ রচিত “ভাবার্থ রামায়ণ” -য়ে রাবণের উপস্থিতি দেখা যায় স্বয়ম্বরে। 

Shri Bhavartha Ramayan
Chapter 18
Verses 117 - 132

“The bow was not turning despite Ravana’s efforts. He was trying to catch the bow with his twenty hands, but it was not getting caught. Even while being pushed by his twenty Hands, it wasn’t getting pushed. Then the bow crashed against his chest and he fell down (with the bow on him). His fall made even Patala tremor. When his minister came to help, Ravana’s bones got further crushed by the bow. He said to Janaka, “Even if I die because of this bow, Indrajit and Kumbhakarna will destroy your lineage. This bow has humbled by arrogance. Do what you think fit.” Then Janaka rushes to help Ravana and along with many people lift the bow off Ravana. They sprinkled water on him and made him sit on his seat. He sat there waiting to see the person who would lift the bow so that he could kill that person.”

কিন্তু যেহেতু আর কোথাও এই ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়না, তাই ধারণা করা হয় এটা রচয়িতার নিজস্ব সংযোজন। 

তবে রাবণ না এলেও মাতা সীতার স্বয়ম্বর হয় নি এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট বক্তব্য। 


দাবী-৩. রাবণ শিবের উপাসক ছিলেন না।

জবাবঃ  

“রুদ্রদেব আমার ইষ্টদেব বলিয়া, তাহার ধনু ভগ্ন করিতে ভীত হইয়াই তোমার স্বয়ম্বর সভায় উপস্থিত হই নাই।“ (দেবী ভাগবত, তৃতীয় স্কন্ধ, অধ্যায়ঃ ২৯, শ্লোকঃ ৬৭-৬৮)

এবার বাল্মীকি রামায়ণ থেকে দেখা যাক। উত্তরকাণ্ডের ১৬তম সর্গে রাবণের হাত কৈলাস পর্বতের নিচে চাপা পড়ার ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়এরপর রাবণ কর্তৃক মহাদেবের স্তব স্তুতি এবং মহাদেবের নিকট বর প্রার্থনার ঘটনা দেখা যায়,  

এবমুক্তস্তদামাত্যৈস্তুষ্টাব বৃষভধ্বজম্।
সামভির্বিবিধৈঃ স্তোত্রৈঃ প্রণম্য স দশাননঃ ।
সংবৎসরসহস্রং তু রুদতো রক্ষসো গতম্৷৷ ৩৪

“মন্ত্রীগণ এই কথা বলায় দশানন রাবণ ভগবান বৃষধ্বজকে প্রণাম করে নানাপ্রকার স্তোত্র এবং সামবেদের মন্ত্র দ্বারা তাঁর স্তব করলেন। এইভাবে হাতে ব্যাথায় ক্রন্দন করতে এবং স্তুতি করতে করতে সেই রাক্ষসের এক হাজার বছর পার হল।“

 ততঃ প্রীতো মহাদেবঃ শৈলাগ্রে বিষ্ঠিতঃ প্রভুঃ।
মুত্ত্বা চাস্য ভুজান্ রাম প্রাহ বাক্যং দশাননম্ ॥ ৩৫

“শ্রীরাম! তখন সেই পর্বতশিখরে অবস্থানরত ভগবান মহাদেব প্রসন্ন হলেন। তিনি সেই সঙ্কট থেকে দশগ্রীবের বাহুগুলি মুক্ত করে তাঁকে বললেন”

প্রীতোহস্মি তব বীরস্য শৌটীর্যাচ্চ দশানন।
শৈলাক্রান্তেন যো মুক্তস্ত্বয়া রাবঃ সুদারুণঃ ৷৷ ৩৬
যস্মাল্লোকত্ৰয়ং চৈতদ্ রাবিতং ভয়মাগতম্।
তস্মাৎ ত্বং রাবণো নাম নাম্না রাজন ভবিষ্যসি ৷৷ ৩৭

“দশানন ! তুমি বীর। তোমার পরাক্রমে আমি অত্যন্ত প্রসন্ন। তুমি পর্বতে আটকে যাওয়াতে যে ভাবে ভয়ংকর আর্তনাদ করেছিলে, তাতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ত্রিলোকের প্রাণী ক্রন্দন করে উঠেছিল, সেইজন্য রাক্ষসরাজ ! এবার থেকে তুমি রাবণ নামে প্রসিদ্ধ হবে।“

এবমুক্তস্তু লঙ্কেশঃ শম্ভুনা স্বয়মব্রবীৎ।
প্রীতো যদি মহাদেব বরং মে দেহি যাচতঃ৷৷ ৪০ 

“ভগবান শংকর এই কথা বলায় লঙ্কেশ্বর বললেন ‘মহাদেব ! আপনি যদি প্রসন্ন হয়ে থাকেন, তাহলে আমাকে বর দিন। আমি আপনার কাছে বর প্রার্থনা করছি।“

আবার, উত্তরকাণ্ডের ৩১তম সর্গে রাবণ তার রাক্ষস সেনাদের বলছে,

অস্যাং স্নাত্বা মহানদ্যাং পাপমনো বিপ্রমোক্ষ্যথ।
অহমপ্যদ্য পুলিনে শরদিন্দুসমপ্রভে ৷৷ ৩৩
পুষ্পোপহারং শনকৈঃ করিষ্যামি কপর্দিনঃ।
 

“এই মহানদীতে স্নান করলে তোমরা পাপ-তাপ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। আমিও আজ শরৎ-ঋতুর চন্দ্রের ন্যায় উজ্জ্বল নর্মদার তীরে জটাজুটধারী মহাদেবকে ধীরে সুস্থে ফুল সমর্পণ করব।“

রাবণেনৈবমুক্তাস্তু প্রহস্তশুকসারণাঃ ।। ৩৪
সমহোদরধূম্রাক্ষা নর্মদাং বিজগাহিরে।

“রাবণ এই কথা বলায় প্রহস্ত, শুক, সারণ, মহোদর এবং ধূম্রাক্ষ নর্মদা নদীতে স্নান করলেন।“

ততস্তে রাক্ষসাঃ স্নাত্বা নর্মদায়াং মহাবলাঃ ৷৷ ৩৬
উত্তীর্য পুষ্পাণ্যাজহ্রূর্বল্যর্থং রাবণস্য তু।

“তারপর মহাবলী রাক্ষসেরা গঙ্গাস্নান করে বেরিয়ে এলেন এবং রাবণের শিবপূজার জন্য ফুল সংগ্রহ করতে লাগলেন।“

ততঃ ক্লিন্নাম্বরং ত্যক্তা শুক্লবস্ত্ৰসমাবৃতঃ ।। ৪০
রাবণং প্রাঞ্জলিং যান্তমন্বয়ুঃ সর্বরাক্ষসাঃ।
তদগতীবশমাপন্না মূর্তিমন্ত ইবাচলাঃ৷৷ ৪১

“তিনি ভিজে কাপড় ছেড়ে শ্বেত বস্ত্র পরলেন। তারপর হাত জোড় করে মহাদেবের পূজা করতে এগোলেন। তখন সমস্ত রাক্ষসও তাঁর পিছু ধরলেন, যেন মূর্তিমান পর্বত নিজের গতির অধীন করে সবাইকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

যত্র যত্র চ যাতি স্ম রাবণো রাক্ষসেশ্বরঃ।
জাম্বূনদময়ং লিঙ্গং তত্র তত্র স্ম নীয়তে ৷৷ ৪২

“রাক্ষসরাজ রাবণ যেখানেই যেতেন, সেখানেই এক সুবর্ণময় শিবলিঙ্গ সঙ্গে নিয়ে যেতেন।“

বালুকাবেদিমধ্যে তল্লিঙ্গং স্থাপ্য রাবণঃ ।
অৰ্চয়ামাস গন্ধৈশ্চ পুষ্পৈশ্চামৃতগন্ধিভিঃ৷৷ ৪৩

“বালির বেদীতে সেই শিবলিঙ্গ স্থাপন করে তিনি চন্দন ও অমৃতসম সুগন্ধ পুষ্প দ্বারা তাঁর পূজা করলেন।“

সুতরাং, বাল্মীকি রামায়ণে উল্লেখ আছে রাবণের মহাদেবের উপাসনার কথা এবং শুধু একবার নয়, রাবণ যেখানেই যেতেন, সাথে করে শিবলিঙ্গ নিয়ে যেতেন বলেও উল্লিখিত হয়েছে।

অনেকে উত্তরকান্ডের মান্যতা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন এবং সবকিছুকে প্রক্ষিপ্ত বা “পরে সংযোজন করা হয়েছে” বলে প্রচার করতে পারেন। কিন্তু এমন ধারণা অমূলক, কারণ ক্রিটিক্যাল এডিশানেও এই কথা গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

Critical Ed., Uttara Kanda
Chapter- 7 (31)

“Having bathed, Ravana emerged from the waters of the Narmada. He followed the rituals and chanted excellent hymns. As Ravana joined his hands in salutation and advanced, those seven rakshasas612 followed Ravana, the lord of the rakshasas, wherever he went. They carried a golden linga613 everywhere. Ravana set up that linga in the middle of an altar made out of sand and worshipped it with fragrant flowers and immortal scents.”

(612 Maricha, Shuka, Sarana, Mahodara and Dhumraksha are obviously five of these. The other two are probably Mahaparshva and Prahasta.. 613 Shiva linga.)

সুতরাং, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই যে, বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে রাবণ মহাদেবের উপাসক ছিলেন। 

এবার শিব পুরাণে দেখা যাক। কোটিরুদ্রসংহিতার অধ্যায় ২৭-২৮ এ বৈদ্যনাথেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের প্রাকট্য ও মহিমা জানা যায়।

“সূতদেব বললেন- আমি এবার বৈদ্যনাথের জ্যোতির্লিঙ্গের পাপহারী মাহাত্ম্য বলব। শোনো ! রাক্ষসরাজ রাবণ, যিনি অত্যন্ত অভিমানী এবং সর্বদাই নিজের অহংকার প্রকাশ করতেন, উত্তম কৈলাস পর্বতে ভক্তিভাবসহ ভগবান শিবের আরাধনা করছিলেন। কিছু কাল ধরে আরাধনা করার পর মহাদেব যখন প্রসন্ন হলেন না, তখন তিনি শিবের প্রসন্নতার জন্য অন্য তপস্যা করতে থাকেন। পুলস্তাকুলনন্দন শ্রীমান রাবণ সিদ্ধির স্থানভূত হিমালয় পর্বত থেকে দক্ষিণে বৃক্ষ পরিবৃত বনে পৃথিবীতে এক মস্ত বড় গহ্বর খনন করে তাতে অগ্নি স্থাপন করেন এবং তার কাছেই ভগবান শিবকে স্থাপন করে হোম করতে শুর করেন। গ্রীষ্ম কালে তিনি পঞ্চ- অগ্নির মধ্যে বসতেন, বর্ষায় উন্মুক্ত ময়দানে চাতালে শুতেন এবং শীতের সময় জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এইভাবে তিন প্রকারে তাঁর তপস্যা হতে লাগল। এইভাবে রাবণ দীর্ঘ তপস্যা করলেও, দুরাত্মাদের জন্য যাঁকে সন্তুষ্ট করা কঠিন, সেই পরমাত্মা মহেশ্বর তাঁর ওপর প্রসন্ন হলেন না। মহামনস্বী দৈত্যরাজ তখন নিজ মস্তক কেটে শংকরের পূজা আরম্ভ করলেন। বিধিপূর্বক শিবের পূজা করে তিনি তাঁর এক একটি মস্তক ছেদন করতেন এবং ভগবানে সমর্পণ করতেন। এইভাবে তিনি ক্রমশঃ তাঁর নটি মস্তক কেটে ফেলেন। যখন একটি মাত্র মস্তক অবশিষ্ট ছিল, তখন ভক্তবৎসল ভগবান শংকর সন্তুষ্ট ও প্রসন্ন হয়ে তাঁর সামনে প্রকটিত হলেন। ভগবান শিব তাঁর সকল মস্তক আগের মতো নীরোগ করে তাঁর ইচ্ছানুসারে অনুপম উত্তম বল প্রদান করেন। ভগবান শিবের কৃপাপ্রসাদ লাভ করে রাক্ষস রাবণ নতমস্তকে হাতজোড় করে তাঁকে বললেনদেবেশ্বর ! প্রসন্ন হোন। আমি আপনাকে লঙ্কায় নিয়ে যাব। আপনি আমার এই ইচ্ছা সফল করুন। আমি আপনার শরণাগত।' রাবণের কথায় ভগবান শংকর উভয় সংকটে পড়লেন। তিনি আনমনা হয়ে বললেন – 'রাক্ষসরাজ ! আমার সারগর্ভ কথা শোনো। তুমি আমার এই উত্তম লিঙ্গ ভক্তিভাবে নিজ গৃহে নিয়ে যাও। কিন্তু তুমি যখন একে কোথাও মাটিতে রাখবে, তবে এটি সেখানেই সুস্থির থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন তোমার বা ইচ্ছা, তাই করো।' সূতদেব বললেন-ব্রাহ্মণগণ ! ভগবান শংকর এই কথা বলায় রাক্ষসরাজ রাবণ 'ঠিক আছে' বলে শিবলিঙ্গ নিয়ে লঙ্কা অভিমুখে চললেন। কিন্তু পথে ভগবান শিবের মায়ায় তাঁর মূত্রত্যাগের প্রয়োজন হল। পুলস্ত্যনন্দন সামর্থ্যবান হয়েও মূত্রের বেগ ধারণ করতে অপারগ হলেন। সেই সময় কাছেই এক গোয়ালাকে দেখে তিনি প্রার্থনাপূর্বক তাঁর হাতে শিবলিঙ্গ গচ্ছিত করে মূত্রত্যাগ করতে বসলেন। এক মুহূর্ত পার হতে না হতেই সেই গোয়ালা শিবলিঙ্গের ভারে পীড়িত হয়ে ব্যাকুল হয়ে উঠলেন। তিনি তখন সেই শিবলিঙ্গ মাটিতে নামিয়ে রাখলেন। তখনই সেই হীরকময় শিবলিঙ্গ সেখানেই স্থিত হল। সেই শিবলিঙ্গ দর্শনমাত্রে সমস্ত অভীষ্ট প্রদান করেন এবং পাপরাশি হরণ করেন। মুনে এই শিবলিঙ্গ ত্রিলোকে বৈদ্যনাথেশ্বর নামে প্রসিদ্ধ। ইনি সৎপুরুষদের ভোগ ও মোক্ষপ্রদানকারী। এই দিব্য উত্তম এবং শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন ও পূজনেও সমস্ত পাপরাশি হরণ করেন এবং মোক্ষ প্রাপ্তি করান। এই শিবলিঙ্গ যখন সমস্ত জগতের হিতার্থে ঐস্থানেই স্থিত হয়ে যান, তখন রাবণ ভগবান শিবের পরম উত্তম বর লাভ করে নিজ গৃহে চলে যান।“


স্কন্ধ পুরাণের প্রভাস খণ্ডের ১২৩তম অধ্যায়েও রাবণের মহাদেবকে উপসনার কথা পাওয়া যায়। 

আমরা ৪ টি পয়েন্টের উপর একেবারে নির্মোহ আলোচনা ও সত্য উপস্থাপন করলাম, বাকি বিবেচনা পাঠকদের উপর।
আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ এসব বামপন্থী অনার্যদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবার আগে নিজেরা অন্তত যাচাই করে নিবেন অথবা যেকোনো বিষয়ে শাস্ত্রীয় ও নির্মোহ বিশ্লেষণ জানতে চাইলে SPS এর অফিশিয়াল গ্রুপে পোস্ট করতে পারবেন। SPS এর সততা ও নিজ সংস্কৃতির প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা দেখেই SPS শাস্ত্র গবেষণা কমিটিতে আমার যুক্ত হওয়া।
ধন্যবাদ 🙏

© SPS শাস্ত্র গবেষণা কমিটি

সনাতন শাস্ত্র  দর্শন প্রচারে বদ্ধপরিকর।।
Sanatan Philosophy and Scripture (SPS)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ