গ্রীক উপকথায় ভারতীয় সংস্কৃতির ছাপ কিভাবে লাগলো!! পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ হয়ে গেলেন বিখ্যাত হেরাকলেস, দেবরাজ ইন্দ্র হয়ে গেলেন জিউস।
ইদানীং অহিন্দুদের ব্যাপক অপপ্রচার দেখা যাচ্ছে যে হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি নাকি গ্রীক উপকথার গল্প নকল করে।। SPS আপনাদের সামনে তুলে ধরবে কিছু ঐতিহাসিক সত্য এবং খন্ডন করবে অহিন্দুদের মিথ্যাচার।
শুরুটা হয় জিলোম নদীর তীর অববাহিকায় অবস্থিত প্রতাপশালী পৌরব রাষ্ট্র ও তক্ষ্মশীলাকে কেন্দ্র করে যেটা এখন পাকিস্তানের অংশ।। পৌরব রাষ্ট্রের সম্রাট ছিলেন পুরুষোত্তম তথা পুরু এবং তার মা অনুসুয়া ছিলেন তক্ষশিলার রাজকুমারী।
সমগ্র পৃথিবীতে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিতে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিল তৎকালীন পৌরব রাষ্ট্র ও তক্ষ্মশিলা। পৌরব রাষ্ট্রের পুরু সর্বদা চেয়েছিলেন অখন্ড ভারত। তৎকালীন ইউনান তথা প্রাচীন গ্রীসের বিভিন্ন বনিকদের নজর ছিল এই ভারতবর্ষে তথা পৌরব রাষ্ট্রে। তাদের মাধ্যমেই ভারতের সমৃদ্ধির খবর পৌছে যায় ইউনানের একচ্ছত্র অধিপতি আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের কাছে। বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডার তার বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে আক্রমণ করে পৌরব রাষ্ট্রে।। খ্রীস্টপূর্ব ৩২৬ সালের মে মাসে যুদ্ধ সংগঠিত হয় জিলোম নদীর তীরে যেটা গ্রীক ইতিহাসে বিখ্যাত হিডেসপিসের যুদ্ধ (Battle of Hydaspes) নামে পরিচিত।
এই বিষয়ে ভারতীয় ইতিহাসবিদরা খুব একটা গবেষণা করেন নি তাই এখনও গ্রীক ইতিহাসের গল্পই আমাদেরকে হজম করতে হয় যেখানে বলা হয়েছে সেই যুদ্ধে মহারাজ পুরু হেরে যায় এবং আলেকজান্ডারের একজন সামন্ত রাজা হিসেবে পৌরব রাষ্ট্রের দায়িত্ববার পুনরায় গ্রহণ করে।
অন্যদিকে এর বিপরীত ইতিহাসও প্রচলিত আছে যেটা আমার দৃষ্টিতে বেশী গ্রহণযোগ্য এবং সেই ব্যাখ্যাও আমি দিব।
অপ্রচলিত ইতিহাসটাই আগে জানাচ্ছি। ধারণা করা হয় যে সেই বিখ্যাত যুদ্ধে মহারাজ পুরু নিহত হন সত্য তবে হেরে যান নি কারণ আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনী জিলম নদী পারি দিয়ে পৌরব রাষ্ট্রে পৌছতে পারে নি বরং আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনী ঘাটি স্থাপন করেছিলেন তক্ষ্মশীলায়। হিডাসপিসের যুদ্ধে আলেকজান্ডারের সেনাপতি ইউডিডেমাসের হাতে নিহত হন পুরু এবং তার সন্তানদের মধ্যে বেঁচে যায় কেবল মলয়কেতু এবং তিনিই পৌরব রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। মলয়কেতুই পরবর্তীতে পুরু নামে পরিচিত হন কারণ তখন রাজ্য গ্রহণের পর পিতার নামেই পুত্র পরিচিত হতেন। জেনে রাখা ভালো পৌরব সাম্রাজ্যের নাম ছিল মহানন্দা সাম্রাজ্য। অন্যদিকে ক্লান্ত আলেকজান্ডার হিডেসপিস তথা জিলোম নদী পার হতে না পেরে সেলুকাস নিকাটরকে তক্ষ্মশিলায় বসিয়ে দিয়ে ইউনানে ফিরে যান এবং সম্ভবত সেখানে পৌছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে তখন অখন্ড ভারতের স্বপ্ন দেখতেন মৌর্জ্য সাম্রাজ্যের স্থপতি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্জ্য। নন্দা ও মৌর্জ্য সাম্রাজ্যের মধ্যে বিবাদ চলমান ছিল এবং সেলুকাস নিকাটর যেকোনো মূল্যে পৌরব রাষ্ট্র দখলের পায়তারা করতে থাকে।
পরবর্তীতে খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ সালে ভারতের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক চাণক্যের মধ্যস্ততায় মলয়কেতু চন্দ্রগুপ্ত মৌর্জ্যের সাথে সমোঝতায় যায়। অখন্ড ভারতে মৌর্জ্যদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয় এবং পরবর্তীতে এক যুদ্ধে খ্রীস্টপূর্ব ৩০৬ সালে মলয়কেতু তার পিতা পুরুর হত্যাকারী ইউডেডেমাসকে হত্যা করে প্রতিশোধ সম্পন্ন করেন।
সবচেয়ে প্রচলিত গল্পটি যদিও গ্রীক ইতিহাস থেকে গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে দেখানো হয় হিডেসপিসের যুদ্ধে মহারাজ পুরু পরাজিত হন এবং আত্মসমর্পণ করেন (ভারতীয় বীরদের আত্মসমর্পণের ইতিহাস খুবই কম) এবং আলেকজান্ডার তার বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে তাকে সামান্ত রাজা হিসেবে পুনরায় পৌরব রাষ্ট্র ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ পক্ষান্তরে ৩০৬ সালে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্জ্য সম্পূর্ণ ভারতবর্ষ জয় করে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করেন।
★ আমার কাছে অপ্রচলিত কাহিনীটি কেন গ্রহণযোগ্য?
১/ গ্রীক অধিপতি আলেকজান্ডার ছিলেন একজন যুদ্ধবাজ তিনি কোন যুদ্ধে জয়লাভ করে সে রাজ্য ও রাজাকে কখনো ছাড় দেন নি।
২/ আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনী জিলোম (হিডেসপিস) নদী পার হয়ে পৌরব রাষ্ট্রে পৌছেছেন এমন কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
৩/ আলেকজান্ডার পাশাপাশি দুই রাজ্য পৌরব রাষ্ট্র ও তক্ষশিলায় দুইজন আলাদা সামন্ত রাজা দিয়ে গেলেন অথচ দুই রাজ্যই স্বতন্ত্র ছিল এবং স্যাকুলাস নিকাটর সর্বদাই মহানন্দা দখলের পায়তারা করে যেত।
৪/ ইতিহাস বলছে ভারতবর্ষ থেকে ফিরে যাওয়ার সময় ইউনানে পৌছার আগেই আলেকজান্ডারের মৃত্যু হয় অর্থাৎ হিডেসপিসের যুদ্ধে আলেকজান্ডারের ভালোই শারীরিক ক্ষতি হয়েছিল।
[ 1/ https://nationalviews.com/king-porus-history-family...
2/ https://www.quora.com/Who-ruled-Paurav-Rashtra-after-the...]
★ ভারতবর্ষের ইতিহাস কিভাবে গ্রীক উপকথার অংশ হলো?
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্জ্য যখন অখন্ড ভারতের শাসক তখন ইউনানের বিখ্যাত পর্যটক ও লেখক মেগাসস্থেনিস আসেন ভারত ভ্রমণে। ইতোমধ্যে ইউনানের প্রতিনিধি হিসেবে তক্ষশিলার শাসক সেলুকাস নিকাটরের শাসনামলেই ভারতের উন্নত সংস্কৃতি ও মহারাজ পুরুর বীরত্বগাথা ইউনানে ব্যপক প্রচলিত হয়। সেই আগ্রহ থেকেই মেগাসস্থেনিস ভারত ভ্রমনে আসেন। মেগাসস্থেনিস ভারতের পাটালিপুত্র (বর্তমান পাটনা) অঞ্চলে আসেন। মেগাসস্থেনিস ভারত ভ্রমন করে লোকেদের সাথে কথা বলে ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তর ধারণা গ্রহণ করেন এবং ইউনানে ফিরে গিয়ে জন্ম দেন গ্রীক উপকথার বিখ্যাত চরিত্র "হেরাকলেস"।। রোমান উপকথায় সেই হেরাকলেসই হয়ে উঠেন বিখ্যাত চরিত্র হারকিউলিস।।★ কে এই হেরাকলেস?
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসে ২০০৭ সালের জুন মাসে এডওয়িন এফ. ব্রিয়ান্টের একটি গবেষণাধর্মী বই প্রকাশ হয় যার নাম “কৃষ্ণা- এ সোর্সবুক”। সেই বইয়ে তিনি বিখ্যাত আরিয়ান, ডিওডরাস ও স্ট্রাবোর বরাত দিয়ে মেগাসস্থেনিসের রচিত হেরাকলেসের ইতিহাস তুলে ধরেন। মেগাসস্থেনিসের বর্ণনা হতে জানা যায় ভারতে সৌরাসেনই নামে আদিবাসী ছিল যারা নিজেদের ভূমিতে হেরাকলেসের পুজো করত এবং এই ভূমিতে দুইটি শহর ছিল মেথুরা এবং ক্লেইসোবোরা। এই দুই শহরে প্রবাহিত এক নদী জোবারস। প্রাচীন গ্রীসে তথা ইউনানে একটা সাধারণ প্রথা ছিল যে অন্যদেশের ঈশ্বর ও ইতিহাসকে তারা নিজেদের নামে ও গল্পে প্রকাশ করত। মেগাসস্থেনিস যে সৌরাসেনাই আদিবাসীদের কথা বলেছিলেন তারা আসলে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের যদুবংশের পরবর্তী প্রতিনিধি সুরাসেনার বংশধর। হেরাকেলস নামকরণ করা হয় হরি-কৃষ্ণ থেকে। মেথুরা নামকরণ করা হয় মথুরা, ক্লেইসোবরা নামকরণ করা হয় কৃষ্ণপুরা (দ্বারকা) থেকে এবং যোবারস নামকরণ করা হয় যমুনা নদী থেকে। মেগাসস্থেনিস আরও বর্ণনা করেন যে মহারাজার পুরুর সৈন্যরা আলেকজান্ডারের সাথে যুদ্ধের সময় হেরাকেলস তথা হরি-কৃষ্ণের (শ্রীকৃষ্ণ) ছবি বহন করেছিলেন। মেগাসস্থেনিস এসব গল্প লিখে গিয়েছিলেন ইন্ডিকা নামক গ্রন্থে যেটা পরবর্তীতে হয়ে উঠে গ্রীক উপকথার মূলকেন্দ্র।
[1/ https://ramanisblog.in/.../lord-krishna-was-also-a-greek.../
2/ https://global.oup.com/ushe/product/krishna-9780195148923
3/ http://ritsin.com/shri-krishna-and-hercules-indian-and-greek-mythology.html/]
উল্লেখ্য যে গ্রীক দার্শনিক মেগাসস্থেনিস যে “ইন্ডিকা” নামক গ্রন্থটি রচনা করেন বাস্তবে সেই গ্রন্থের কোন পান্ডুলিপি পাওয়া যায় নি। তবে মেগাসস্থেনিস রচিত ইন্ডিকা গ্রন্থের উপর ভিত্তি করে ইউনান তথা গ্রীক উপকথার মহানায়ক হয়ে উঠেন হেরাকলেস।
পরবর্তীতে আরেকজন গ্রীক ইতিহাসবিদ আরিয়ান (৮৬-১৬০ খ্রিস্টাব্দ) মেগাসস্থেনিসের ইন্ডিকা নামক গ্রন্থ ও তৎকালীন গ্রীক উপকথার উপর ভিত্তি করে আরেকটি গ্রন্থ রচনা করেন এবং সেটারও নাম দেন “ইন্ডিকা”। সেই গ্রন্থে হেরাকেলসকে নিয়ে উপরে উল্লেখিত ঘটনাবলী স্থান পায় এবং আরও উল্লেখ পাওয়া যায় যে হেরাকেলসের অনেক পুত্রের সাথে পান্ডিয়া নামে একজন কন্যাও ছিল।
অন্যদিকে ভারতীয় ইতিহাসে শ্রীকৃষ্ণের কোন কন্যা ছিল না। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামত এই যে মহাভারতে উল্লেখিত পান্ডব ভ্রাতাদেরকে মেগাসস্থেনিস পান্ডিয়া নামকরণ করেন। ধারণা করা যায় যে পরবর্তীতে তথ্য বিকৃত হয়ে সে পান্ডিয়া শব্দটিই গ্রীক উপকথায় হেরাকেলসের মেয়ের স্থান পায়।
আরেকজন গ্রীক ইতিহাসবিদ ডিওডেরাস সিকুলাস খ্রীস্টপূর্ব ৫০ সালে মেগাসস্থেনিস রচিত ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে "বাইবলিওথেকা হিস্টোরিকা" নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। সেখানে তিনি হেরাকলেসকে শ্রীকৃষ্ণ নয় বরং শ্রীকৃষ্ণের জেষ্ঠ্য ভ্রাতা বলরাম রূপে দেখান।। ডিওডেরাস রচিত হেরাকলেসকে একজন শক্তিশালী মল্লযোদ্ধা হিসেবে দেখানো হয় যেখানে হেরাকলেসের বাহুতে অতিমানবীয় শক্তি আছে এবং হাতে সবসময় গদা ধারণ করে থাকে।
[https://www.myindiamyglory.com/.../hercules-and-balarama.../]
★ হেরাকেলসের সাথে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের সাদৃশ্য কি কি?
প্রথম সাদৃশ্যঃ জন্মের পর থেকেই শ্রীকৃষ্ণকে হত্যা করার জন্য একের পর এক পরিকল্পনা করে মামা কংস আর এদিকে হেরাকেলসকে হত্যা করার জন্য একের পর এক পরিকল্পনা করে সৎমা হেরা। শ্রীকৃষ্ণের পালক মাতা ছিলেন মা যশোধা আর হেরাকেলসের সৎমাতা হেরা।
দ্বিতীয় সাদৃশ্যঃ পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ বহু মস্তক বিশিষ্ট কালিয়া নামক সাপকে দমন করেন এবং হেরাকেলসও হাইড্রা নামক বহু মস্তক বিশিষ্ট সাপকে দমন করেন।
তৃতীয় সাদৃশ্যঃ পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ কেসি নামক এক দৈত্যকে দমন করেছিলেন অন্যদিকে হেরাকেলস হত্যা করেন ডিওডেনাস নামক দৈত্যকে এবং উভয়ই ছিল অশ্বরূপী।
[https://youtu.be/HkZn2IOfgvQ]
পরবর্তী অংশ দ্বিতীয় খন্ডে।।
তবুও যদি কেউ বলে গ্রীক উপকথার হেরাকেলসের চরিত্র থেকে ভারতের শ্রীকৃষ্ণ চরিত্র নকল করে নেওয়া তাদের জেনে রাখা উচিত মহাভারতের সময়কাল গ্রীক উপকথার রচনাকাল হতে ঢের পূর্বে।।
তবুও সংশয় দূর করতে চাইলে এই জার্নালটা পড়ুন।
[Horacio Francisco
Arganissays:
January 28, 2016 at
2:01 AM
With all respect. But
had been a very funny tentative to comparations. But there are aviable
historical evidence that, according to scholars, Hercules lived around to 8 BC.
And Sri Vásudeva Krishna is more more early. Check please the follow paper:
(http://www.journalacademicmarketingmysticismonline.net/...)
May be, the greeks
borrow for his legends from India hagiographical works of Krishna…
With my best wishes
Horacio F. Arganis Ph
D.]
★ ইজিপ্টের আমুন-রা কি পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ?
ইজিপ্টের আমুন-রা নীল দেহের ছিলেন, মাথায় থাকত পালক এবং ইগলের মস্তকবিশিষ্ট হোরাস দেবতার পিঠে চরত। বাসুদেবা শ্রীকৃষ্ণও নীলমাধব, মাথায় ময়ুরের পালক রয়েছে এবং শ্রীবিষ্ণুর বাহন হচ্ছে গরুড় (ইগল বিশেষ) পাখি।।
এই বিষয়ে পরবর্তী লিখায় বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
★গ্রীক উপকথার চরিত্রগুলো ভারতের ইতিহাসের সাথে হুবহু মিলছে না কেন? ঘটনাবলীতে কিছু কিছু তারতম্য কেন দেখা যায়?
খুব যৌক্তিকভাবেই এর ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। ভারত অতীতকাল হতেই বহু সংস্কৃতি ও বহু ভাষাবাসীর দেশ। অনেকক্ষেত্রে এক অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মান্যতা অন্য অঞ্চলের সাথে মেলে না।। গ্রীক ইতিহাসবিদ মেগাসস্থেনিস ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ ছিলেন। তিনি কোন ইতিহাস গ্রন্থ নয় বরং ভারতের পাটালিপুত্র (বর্তমান পাটনা) অঞ্চলের মানুষের সাথে ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে লোকমুখে শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে জেনেছেন এবং ইউনানে গিয়ে হরি-কৃষ্ণকে হেরাকেলস নাম দিয়ে গ্রীক উপকথার মহানায়ক বানিয়ে দেন। দুইটা কারণে গ্রীক হেরাকেলসের সাথে ভারতের শ্রীকৃষ্ণের শতভাগ মিল পাওয়া যায় না।
১/ এমনও হতে পারে যে মেগাসস্থেনিস ইচ্ছে করে কিছু অংশে সংযোজন বিয়োজন করে হেরাকেলসকে একটা নতুন চরিত্র দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
২/ ভাষাগত সীমাবদ্ধতা ও ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতার কারণে মেগাসস্থেনিস শ্রীকৃষ্ণের প্রকৃতি ইতিহাস সম্পর্কে শতভাগ সঠিক তথ্য গ্রহণ করতে পারে নি।
গ্রীক উপকথা নিয়ে পরবর্তী লিখা শীঘ্রই আসছে.....
© স্টিমন অনিক
0 মন্তব্যসমূহ