দুর্গাপূজায় বেশ্যাদ্বারের মৃত্তিকা!!!

 


জগজ্জননী মা দুর্গার পূজায় জগতের সবকিছুরই প্রতিনিধিত্ব থাকে৷ পঞ্চশস্য, পঞ্চগব্য, নবপত্রিকা, নদীর জল থেকে শুরু করে শিশিরবিন্দু, নানান স্থানের মৃত্তিকা, নবরত্ন, অষ্টধাতু অর্থাৎ প্রকৃতির প্রায় সবকিছুর প্রয়োজন হয় জগজ্জননীর পূজায়। পশু কুলের প্রতিনিধিত্বও লক্ষ্যনীয়। বনের রাজা সিংহ থেকে শুরু করে হংস, ময়ুর, রাতজাগা পাখি পেঁচা, উভচর সর্প, পাতালবাসী ইদুর, গৃহপালিত গরু অর্থাৎ সকল প্রাণীকুলের প্রতিনিধি সমেত জগত মাতার আগমন ঘটে। এমনকি অসুরকুলের প্রতিনিধি মহিষাসুরকেও বাদ দেওয়া হয় না। 

নানাবিধ উপাদানের মধ্যে আরেকটি উপাদানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয় সেটা হলো বেশ্যাদ্বারের মৃত্তিকা৷ কিন্তু সেই বেশ্যা কি পতিতা?সেই মাটি কি যৌনপল্লীর মৃত্তিকা?

হ্যাঁএটিই মনে করেন অধিকাংশ সনাতনী। সেই অনুসারে নানান তত্ত্বও তৈরি হচ্ছে এবং বামপন্থীরাও দুর্গাপূজাকে পতিতা-দের দ্বারা প্রচলিত পূজা হিসেবে প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগে। বহু প্রাচীনকাল থেকেই মা দুর্গার পূজার প্রচলন সেটা নিয়ে পরবর্তী কোন পর্বে আলোচনা করা হবে। দুর্গা মায়ের প্রতিমা বানাতে যে পনের স্থানের মাটি প্রয়োজন হয় তার মধ্যে বেশ্যাদ্বারের মটিও আছে এবং এটা নিয়েই চলছে নানাবিধ অপপ্রচার। 

সনাতন শাস্ত্রের গূঢ়তত্ত্ব না জানা বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে শুরু করে সনাতন নামধারী স্বল্প সংখ্যক কদাচারীও  ব্যক্তিগত আক্রোশ নিজস্ব ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারের লক্ষ্যে এই না জানা তত্ত্বকে সনাতনীদের বধার্থে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে চলছে অথচ সংস্কৃত একটি শব্দকে বাংলা শব্দ মনে করে এই কদর্যের বিরোধিতা করতে অধিকাংশ সনাতনীই নিশ্চুপ। 

আসুন এই কদর্য মিথ্যাচার সমাধানের চেষ্টায় ব্রতী হই এবং দেখে নেই সনাতনী পূর্ব পরম্পরা শাস্ত্র কি বলে! পণ্ডিত ব্রাহ্মণ্যবর্গের সহচর্যে একটি তত্ত্ব পাওয়া যায়, যদিও রেফারেন্সটি সঠিকভাবে এই মুহুর্তে উপস্থাপন করা যাচ্ছে না কিন্তু বিজ্ঞ ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ যে শ্লোক বলে থাকেন সেটি সংগ্রহ করেছি। সকলের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরছি--

"কাঞ্চী দ্বারাবতীচৈব অবন্তিকাচ মথুরা,
অযোধ্যা মায়াতীর্থঞ্চ দ্বারকাতীর্থ মে বচ।
এতানি সপ্তানি সপ্তবেশ্যা প্রকীর্ত্তিতা।।"

অর্থঃ কাঞ্চী, দ্বারাবতী, অবন্তি, মথুরা, অযোধ্যা, মায়াতীর্থ, দ্বারকা এই সপ্তস্থান সপ্তবেশ্যা বলে খ্যাত।

শ্রীমৎ স্বামী পরমাত্মানন্দ মহারাজের শ্রীদুর্গাতত্ত্ব-রহস্য বিষয়ক বইয়ে দেখানো হয় 'বেশ্যা' শব্দটি শাস্ত্রাদিতে পারিভাষিক অর্থে ব্যবহৃত করা হয়েছে। বেশ্যা  শব্দের বর্ণ বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়,

বেশ্যা - ব্++শ্+য্+<br>

শ্রীপঞ্চানন শাস্ত্রীর তন্ত্রাভিধানের বর্ণাভিধান অবলম্বনে বেশ্যা শব্দের অর্থে বলা হয়েছে,

ব = 'বকারো বরুণো বালো মেদঃ খড়্গীশ্বরোহজরঃ।।অর্থাৎ 'কারের অর্থ হলো নব।

= 'একারো বিজয়া শক্তির্ভগসংজ্ঞোহভিধায়কঃ। পদ্মনাভো মহেশানি! প্রোক্তো ঝিণ্টীশ-নায়কঃ।।' অর্থাৎ 'কারের অর্থ হলো শক্তি। 

= 'শকারশ্চ মহেশানি বৃষঘ্নঃ কথিতো বকঃ।' অর্থাৎ 'কারের অর্থ হলো ধর্মহানি। বৃষকে শাস্ত্রে ধর্মরূপ বলা হয়। আর 'বৃষঘ্ন' হলো ধর্মহানি।

= 'যকারঃ পবনঃ কালী পুরুষোত্তম এব চ।' অর্থাৎ 'কারের অর্থ হলো কালী।

= ' প্রতিষ্ঠা মুখং দুর্ঘং নারায়ণোহপ্যনন্তকঃ।' অর্থাৎ 'কারের অর্থ হলো প্রতিষ্ঠা।

অর্থাৎ সব মিলিয়ে দাঁড়ালো, নবজাগ্রত সাধনাশক্তি সহায়ে বৃষঘ্ন বা ধর্মহানি দূর করে কালী তত্ত্বে প্রতিষ্ঠিতা সাধিকাই বেশ্যা। বিষয়ে ভিন্ন একটি মতও প্রচলিত আছে। দ্বিতীয় মতটি এরকম, 'কার অর্থাৎ মাতা। 'কার অর্থাৎ স্বয়ং ভগবতী। 'কার অর্থাৎ বৃষঘ্ন বা ধর্মবাধা। 'কার অর্থাৎ সর্বেশ্বরী। 'কার অর্থাৎ প্রতিষ্ঠা। অর্থাৎ, মাতা ভগবতীর ইচ্ছায় ধর্মবাধা জয় করে সর্বেশ্বরীত্বে প্রতিষ্ঠিতা সাধিকাই বেশ্যা।

এবার পুরুষোত্তমদেব বিরচিত 'একাক্ষরকোষঃ' অবলম্বনে বেশ্যা শব্দের অর্থ নিরূপণ করলে হয়,

 'কারের অর্থ- বক্ষঃস্থল বা হৃদয়, 'বক্ষঃস্থলে বঃ প্রোক্তা গদায়াং সমুলাহৃতঃ।'

'কারের অর্থ- বিষ্ণু (পালনী শক্তি), 'একারঃ কথিতো বিষ্ণুঃ।'

'কারের অর্থ- শ্রেয়মার্গ, 'শ্রেয়ঃ শশ্চ শান্তা নিগদ্যতে।'

'কারের অর্থ- বাসনা মুক্তি, 'যশো যঃ কথিতঃ শিষ্টের্যো বায়ুরিতি শব্দিতঃ।। যানে যাতরি যস্ত্যাগে কথিতঃ শব্দবেদিভিঃ।'

'কারের অর্থ- ব্রহ্মা (সৃজনী শক্তি), 'আকারশ্চ পিতামহঃ।'

অর্থাৎ, সৃজনীশক্তি পালনী শক্তির সহায়তায় অর্থাৎ প্রবৃত্তিমূলক ধর্মাচরণের মাধ্যমে হৃদয়কে বাসনামুক্ত করে যিনি শ্রেয়ঃ মার্গে বিচরণ করেন তিনিই বেশ্যা।

বৈষ্ণবাচার্য শ্রীমন্মধ্ববিরচিত একটি মাতৃকা-নিঘন্টু বইতে, তিনি বেশ্যা শব্দের নিরুপণ করে বলছেন,

'কারের অর্থ হলো, পুরুষোত্তম। 'পৃষ্ঠবংশো গণেশশ্ছগলল্ডো পুরুষোত্তমঃ। বলবান্ বজ্রমুষ্টিশ্চ সুরসো বার্ণকঃ স্মৃতঃ।।'

'কারের অর্থ হলো, দামোদর। 'ঊর্ধ্বহস্তো গজজ্যোতির্দামোদরস্ত্রিকোণকঃ। ধিণ্টীশঃ কামরূপশ্চ শক্তিরেকারকঃ স্মৃতঃ।।'

'কারের অর্থ হলো, লক্ষ্মীশ। 'অস্থি ধাতুর্বরাশ্চ লক্ষ্মীশঃ শঙ্কু-কর্ণিকে। তথা নয়ঃ সমিধশ্চ সাম্বকঃ শার্ণকঃ স্মৃতঃ।।'

'কারের অর্থ হলো, বাগীশ। 'যমো বরুণ-বাগীশৌ স্বশনো যামুনেয়কঃ। মৃগেন্দ্রো বায়ুসংজ্ঞশ্চ বচনং যার্ণকঃ স্মৃতঃ।।'

'কারের অর্থ হলো, বাসুদেব। 'হৃৎ তারকো গুরুর্দীর্ঘো নারায়ণচতুর্মুখৌ। অনন্তো বাসুদেবশ্চ বেদান্তঃ কারকঃ স্মৃতঃ।।'

অর্থাৎ, ভগবান মহিমময় পুরুষোত্তমরূপে, দর্পহারী দামোদররূপে, ধনৈশ্বর্য্যদায়ী লক্ষ্মীশরূপে, জ্ঞানৈশ্বর্য্যদায়ী বাগীশরূপে এবং পরম প্রেমময় বাসুদেবরূপে যাঁর হৃদয়কন্দরে সতত বিরাজমান তিনিই প্রকৃত বেশ্যা। অর্থাৎ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আমরা বেশ্যা শব্দের যে অর্থ বুঝি 'পতিতা' বা 'গণিকা' সেটা নয় বরং শাস্ত্র ঠিক বিপরীত অর্থ করছে। অর্থাৎ বেশ্যা হলো উচ্চকোটির সাধিকা।

রুদ্রযামলতন্ত্রে বেশ্যা’ অর্থে বলা হয়েছে, 'কারের অর্থ হলো ভয়া (ভয়াত্মক বাসনা) 'কারের অর্থ হলো শক্তি। 'কারের অর্থ হলো মৃত্যুরূপ। 'কারের অর্থ হলো হৃদগত। 'কারের অর্থ হলো গুরু। অর্থাৎ, গুরুর কৃপাশক্তিতে যাঁর হৃদগত মৃত্যুরূপ ভয়াত্মক বাসনা দূর হয়েছে তিনিই বেশ্যা।

ভিক্ষাকর বংশজ তারাশঙ্কর রচিত 'বর্ণ-বীজাভিধান' থেকে পাওয়া যায়, 'কার হলো অভয়া স্বরূপ। 'কার হলো জ্ঞানশক্তি। 'কার হলো শ্রেয়ঃ মার্গ। 'কার হলো স্থিরাত্মা। 'কার হলো রজোগুণ বিদূরিতকারিণী। অর্থাৎ, বেশ্যা শব্দের অর্থ হলো, অভয়া জ্ঞানশক্তির দ্বারা রজোগুণ বিদূরিত করে যে স্থিরাত্মা (স্ত্রী সাধিকার করাই বলা হয়েছে) শ্রেয়ঃ পথ অবলম্বন করেছেন তিনিই বেশ্যা।

বহু তন্ত্রের প্রতিষ্ঠাপ্রকরণে বাস্তুগৃহে প্রবেশের পূর্বে সাধক, ব্রাহ্মণ, গুরুর সঙ্গে বেশ্যাদেরও আশীর্বাদ গ্রহণের নির্দেশ আছে। দেবতা প্রতিষ্ঠাতে বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা প্রয়োজন হয়। 

গুপ্তসাধনতন্ত্রে সদাশিব বেশ্যার লক্ষণ নির্দেশ করে পরিশেষে বলেছেন

'এবংবিধা ভবেদ্বেশ্যা বেশ্যা কুলটা প্রিয়ে।
কুলটাসঙ্গমাদ্দেবি রৌরবং নরকং ব্রজেৎ।।'

অর্থাৎ, পূর্ণাভিষিক্তা সাধিকাকেই বেশ্যা বলা হয়। ব্যাভিচারিণী গণিকা 'বেশ্যা' পদবাচ্য নয়, তাদের সঙ্গে সঙ্গম করলে মানুষ রৌরব নামক নরকে পতিত হয়।

তন্ত্রে কালী, তারা, ত্রিপুরা প্রভৃতি দশমহাবিদ্যা এবং তাদের আবরণদেবতাকে বেশ্যা বলা হয়। মহাকালসংহিতার কালীখণ্ডে 'কালীককারাদি-সহস্রনামস্তোত্রম্'- কালীকে সর্ব জ্যেষ্ঠা বেশ্যা বলে অভিহিত করা হয়েছে 'তস্মাদ্ বেশ্যা বরা মতা।

তন্ত্রে সাতপ্রকারের বেশ্যার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ উচ্চমার্গের সাধিকার কথা বলা হয়েছে। এনারা হলেন- গুপ্তবেশ্যা, মহাবেশ্যা, কুলবেশ্যা, মহোদয়া, রাজবেশ্যা, দেববেশ্যা, ব্রহ্মবেশ্যা।

'বেশ্যা' শব্দের বর্ণাদিগত অর্থ, তন্ত্রে বেশ্যা শব্দের পারিভাষিক অর্থ, বিভিন্ন প্রকার বেশ্যার বর্ণনা প্রভৃতি থেকে এতটুকু পরিস্কার যে শাস্ত্রে বেশ্যা অর্থে কখনই কুলটা বা গণিকা নয়। বেশ্যা অর্থে পূর্ণাভিষিক্তা। আর বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা ওই সাধিকার দ্বারমৃত্তিকাকেই বোঝানো হয়েছে। 

আমরা লোকপ্রচলিত কাব্যার্থকেই শাস্ত্রীয় কর্মে প্রামাণ্য রূপে গ্রহণ করায় বেশ্যাদ্বারমৃত্তিকার অর্থ গণিকালয়ের মৃত্তিকা হয়ে গেছে। অবশ্য এর সপক্ষে কোনও কোনও পণ্ডিত বলছেন যে, বেশ্যাদ্বার পুণ্যশোষী। যে পুরুষ বেশ্যালয়ে প্রবেশ করে তার সমস্ত পুণ্যবল ওই বেশ্যাদ্বার শোষণ করে নেয়। বেশ্যাগামী পুরুষ পুণ্যরিক্ত হয়ে ওই পাপগৃহে প্রবিষ্ট হয়। যেহেতু বেশ্যাদ্বার সকল পুরুষের পুণ্যশোষণ করে, তাই ওই দ্বার সংলগ্ন মৃত্তিকা পবিত্র। এই ব্যাখ্যাটি সুখকর হলেও এটি শাস্ত্রসম্মত নয়। পুণ্যবান মানুষের পূণ্য কখনও শোষণ করা যায় না। ইহা কোনো তরল পদার্থ নয়। আর মানুষের পাপ-পূণ্য কখনো কাটাকুটি করা যায় না। ইহা জন্মাজন্মার্জিত সূক্ষ্ম সংস্কার। সেটি কখনও শোষণ করা যায় না। বরং সেটা সেই পুরুষের পাপের পরিমাণকে বৃদ্ধি করতে পারে। অতএব এই যুক্তিটি সনাতন শাস্ত্র দর্শনে সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক ভ্রান্ত। অজ্ঞানতা নিবন্ধন আমরা দেবীদুর্গার মহাস্নানে কুলটার দ্বারমৃত্তিকা ব্যবহার করি। কিন্তু এই আলোচনা শাস্ত্রপ্রমাণ সহায়ে আমরা এটুকু বুঝলাম পূর্ণাভিষিক্তা সাধিকার দ্বারমৃত্তিকা 'বেশ্যাদ্বারমৃত্তিকা' রূপে ব্যবহৃত হওয়া উচিৎ। অর্থাৎ, পূর্ণাভিষিক্তা সাধিকা যে গৃহে সাধন-ভজন সহ তন্ত্রক্ত কার্য করেন, সেই গৃহের মৃত্তিকা বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা হিসাবে ব্যবহৃত হবে। অথবা কালি-তারা দশমহাবিদ্যা মন্দিরের দ্বারমৃত্তিকাও বেশ্যাদ্বারমৃত্তিকারূপে আহৃত হতে পারে।

তন্ত্রোক্ত মহানির্বান তন্ত্রের আলোকে

"অভিষিক্তা ভবেদ্বেশ্যা বেশ্যা কুলটা প্রিয়ে,
রৌববং নরকং  ব্রজেৎ।।"

এখানে বেশ্যা শব্দটি কুলটা নয়, কুলটা বেশ্যা রৌবব নরকে গমন করে। দশমহাবিদ্যায় পূর্ণাভিষিক্ত ব্রহ্মবাদিনী নারীকেই এখানে বেশ্যা বলা হচ্ছে।

"বেশ্যা তু পতিতায়াং,
বশ্যং ত্রিলোকং ততৌ বেশ্যা।।"

এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে বেশ্যা মানে পতিতা নয়। ত্রিলোক যার বশে তিনিই বেশ্যা। তন্ত্র অভিষিক্ত ব্রহ্মবাদিনী নারীর দেহে দশমহাবিদ্যা অবস্থান করেন। সেই নারীর সাধনস্থলের মৃত্তিকার কথা বলা হয়েছে।

অর্থাৎ সেই নারীর গৃহের মৃত্তিকা যিনি যথাযথ সংসার ধর্ম পালন করেন তন্ত্র সাধনায় দশমহাবিদ্যার উপাসনার মাধ্যমে ব্রহ্মবাদীনি হয়ে ওঠে।

সনাতন শাস্ত্রে সংস্কৃত শব্দের নানাবিধ অর্থ হয় এবং সেটা বাক্য প্রকরণ মন্ত্র প্রকরণের উপরও নির্ভর করে। কোন শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ করার সময় অবশ্যই শব্দের প্রায়োগিক দিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া আবশ্যক। সেটা না করে একদল স্থুল মস্তিষ্কের কদাচারী শাস্ত্রোক্ত শব্দসকলের যথেচ্ছা অর্থ করতে গিয়ে অনর্থ করে বসে থাকে এবং সেগুলোর সুযোগ নিয়ে ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন আমাদের শাস্ত্রকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। আশাকরি উপরোক্ত আলোচনায় "বেশাদ্বারের মৃত্তিকা" বিষয়ক সংশয়ের অবসান হবে এবং এর পেছনে লুকিয়ে থাকা অসাধারণ গূঢ়তত্ত্বটি সকলের কাছে পরিস্কার হবে।

বিঃদ্রঃ বিভিন্ন সাইট, গ্রন্থ হতে তথ্য সংগ্রহ, পরিবর্তন, পরিমার্জন সংযোজন করে বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে SPS শাস্ত্র গবেষণা কমিটি।। 

প্রচারেঃ
Sanatan Philosophy and Scripture - SPS 
সনাতনী ঐক্য, প্রচার কল্যাণে অবিচল।।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ