একটা মানব শিশু যখন জন্ম নেয় তখন তার জন্য প্রথম ও একমাত্র খাদ্য হচ্ছে মাতৃদুগ্ধ৷ মায়ের দুধ ছাড়া শিশুর জন্য জীবনধারণের আর কোন বিকল্প পথ খোলা থাকে না। শিশু যতই বড় হউক, মায়ের এই দুধের মূল্য সে কোনভাবেই পরিশোধ করতে পারে না। বিভিন্ন সময় অনেক মায়ের ক্ষেত্রে দুধের স্বল্পতা কিংবা অপ্রাপ্যতা হেতু অন্য মায়ের থেকেও দুধপান করানোর ব্যবস্থা করা হয় শিশুকে। সেক্ষেত্রে সেই মা শিশুর জন্য হয়ে যায় দুধ মাতা অর্থাৎ জীবনরক্ষকারী দেবদূত।।
পৃথিবীতে আরেকটি প্রাণী আছে যার দুধ বিশ্বের সকল মানবের জন্য অমৃতরূপ সঞ্জিবনী পানীয়। গোদুগ্ধ হলো সেই অমৃত এবং মায়ের দুধের আপদকালীন বিকল্প হিসেবে গোদুগ্ধই মূল ভরসা। জড়বিজ্ঞানের আলোকেও গোদুগ্ধে প্রায় সব (বেশিরভাগ) উপাদানই বিদ্যমান যা একজন নবজাত শিশু ও তার বেড়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয়। যে প্রাণি বিশ্বময় সকল মানবসন্তানকে নিঃস্বার্থভাবে ভেদাভেদ না করেই দুগ্ধ দিয়ে যাচ্ছে সেই প্রাণিকে সনাতন শাস্ত্র, সংস্কৃতি ও দর্শনে গোমাতা তথা বিশ্বমাতার স্থান দেওয়া হয়েছে। সেই মাতাকে হত্যা করে তার মাংস রসনাতৃপ্তির জন্য খাওয়াকে মহাপাপ বলা হয়েছে।
পবিত্র বেদ বলা হয়েছে,
[ঋষি- জমদগ্নি ভার্গব, দেবতা- গৌঃ]
"মাতা রুদ্রাণাং দুহিতা বসূনাং স্বসাদিত্যানামমৃতস্য নাভিঃ ৷
প্র নু বোচং চিকিতুষে জনায় মা গামনাগামমদিতিং মা বধিষ্ট ৷৷"
(ঋঃ সঃ ৮৷১০১৷১৫)
এই গাভী (রুদ্রাণাং মাতা) রুদ্রগণের মাতা, (বসূনাং দুহিতা) বসুগণের দুহিতা, (আদিত্যানাং স্বসা) আদিত্যগণের ভগিনী, (অমৃতস্য নাভিঃ) অমৃতস্বরূপ দুগ্ধের আবাসস্থান ৷ তাই, আমি (চিকিতুষে জনায় নু প্রবোচং) বিবেকবান মনুষ্যের প্রতি এই উপদেশ দেই যে, (অনাগাং) নিরপরাধ (অদিতিং) অসীম গুণে সমৃদ্ধ গো দেবীকে (মা বধিষ্ট) বধ করো না ৷
অর্থাৎ গাভী হলো রুদ্রগণের মাতা, বসুগণের পুত্রী, আদিত্যগণের বোন। এই গাভীতে সকল দেবতা নিবাস করেন। গাভীর মধ্যে দুগ্ধ রূপী অমৃত রয়েছে৷ অতএব, গাভী সর্বপ্রকারে পূজ্য। এই কারণে এটি বধের যোগ্য নয়৷ যে প্রাণিসমূহের মধ্যে সবচেয়ে অধিক সরল এই গাভীকে হত্যা করে, সে পাপ করে৷ গোজাতীকে সর্বপ্রকারে রক্ষা করা উচিত।
বিশ্লেষণঃ গোহত্যা অধর্ম কারণ ইহাতে নিবাস করেন সকল দেবতারা (তেত্রিশ কোটি/প্রকার) তথা রুদ্রগণ, বসুগণ ও আদিত্যগণ। গোদুগ্ধ আমাদের জন্য অমৃতস্বরূপ জীবনরক্ষকারী পানীয়। কোন বিবেকবান মানুষ জীবের জন্য উপকারী এই অহিংস প্রাণীকে হত্যা করতে পারে না নিজ ভোগ তৃপ্তির জন্য। তাই গাভীকে হত্যা না করে কৃতজ্ঞচিত্তে পুজা করা উচিত।
সনাতন সংস্কৃতিতে কৃতজ্ঞতাবোধকে সর্বাপেক্ষা বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এজন্য প্রকৃতি থেকে আমরা যা গ্রহণ করি সেটাকেই পুজা করি যেহেতু আমরা জানি যে প্রকৃতি মূলত পরমাত্মারই অংশ।
গোমাংস নিয়ে অপপ্রচারঃ
গত ২রা মে "ফেইস দ্যা পিপল" এ এক অযাচিতডিবেটের মাধ্যেমে 'আলোচনা ও ডিবেটে'র নামে প্রহসন করে আমাদের সনাতন ধর্মকে পরিকল্পিতভাবে কলংকিত করার চেষ্টা করেছে "ফেইস দ্যা পিপল"। কোনরূপ মীমাংসক, কোনরূপ সংস্কৃতের পন্ডিত এবং সনাতনী পরম্পরার কোন মান্য আচার্য্য ছাড়াই এরকম আয়োজন নিতান্তই হাস্যকর। তারা পন্ডিত মহেন্দ্র পাল জ্বীকেও ”আলোচনা না ডিবেট!” এমন একটা ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে একটা ধূর্ততাপূর্ন গেইম খেলেছে।
একটা ডিফেন্সিভ বিষয় নিয়ে যেখানে কেবল আমাদের শাস্ত্র নিয়েই আলোচনা হবে সেটাও বিপক্ষ দলের মাঠে গিয়ে সেটা করতে ত আমরা বাধ্য নই। কিছু সস্তা প্রচারণার জন্য কেউ কেউ এই বিতর্কটাকে শুরু থেকেই হাইলাইট করে গেছে ক্রমাগত। এই অপরিনামদর্শীতার জন্য বহু সনাতনী তরুণদের বিভ্রান্ত হওয়ার পথ আরও সুগম হলো আর যবন সমাজ অপপ্রচারের কিছু রসদ পেলো।।
আমরা তীব্র নিন্দ জানাই এই বিতর্কের নামে প্রহসনকে যেখানে বিতর্কের নামে রঙ্গমঞ্চ স্থাপন করা হয়েছিল। আমরা ভ্রাদারখ্যাত রুহুলের প্রতিটা বক্তব্যের খন্ডন করব প্রমান সহ তার আগে বলে দিতে চাই বেদ হল গুরুমূখী বিদ্যা।
বেদ শিক্ষার পরপম্পরা কেমন হওয়া উচিত, রুহুল আমিনের মতো ব্যক্তি আদৌ বেদ পড়ার যোগ্যতা রাখে কিনা! সঠিক পাঠন পদ্ধতি ছাড়া বেদবাক্য বুঝতে সমর্থ হওয়া যায় কিনা!
শাস্ত্রে এই বিষয়ে কি নির্দেশনা আছে?
এখানে কেউ পিডিএফ বা বাসায় বসে কিছু বই কিনে সংস্কৃতের উপর বিদ্যান হতে পারবে না। একই সংস্কৃত শব্দের বিবিধ অর্থ আমরা নিঘুন্ট হতে পাই এবং তার মধ্যে কোনটা কোন মন্ত্রের জন্য সঠিক এর জন্য নিরুক্ত, পাণিনি ব্যাকারণসহ অন্যান্য সম্পূরক শাস্ত্রসমূহের বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়। এছাড়াও একই বেদ চারটি বাকে ভাষ্য করা যায় তার মধ্যে নিকৃষ্ট ভাষ্য বৈখারি বাকে যা সনাতন সমাজের জন্য বর্জনীয়। উদাহরণস্বরুপ একটা পবিত্র কোরানের সাথে অন্য অনেক কোরানের অনুবাদের অমিল হয়, তফসীরও আলাদা হয় মতবাদ/মাজহাব অনুসারে।
বেদেও তদ্রুপ গুরুপরম্পরা ব্যাতীত অন্য কোন ভাষ্য গ্রহনযোগ্য নয় এবং বস্তাপঁচা বাংলা অনুবাদেরও কোন মান্যতা নেই। যদি এসব বস্তাপঁচা অনুবাদের মান্যতা সনাতন সমাজে থাকতো তবে বিশ্বব্যাপী সকল বাংলাভাষী সনাতনীরা গোমাংস ভোজন করতো নিয়মিত। অন্যদিকে পশ্চিমা খ্রিস্টানদের (যাদের পরম্পরায়গত বেদচর্চা নেই) করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইংরেজিতে অনূদিত বেদও কোন সনাতনী মান্যতা নেই।
ভূমিকা আর দীর্ঘায়িত না করে চলুন একে একে আপত্তি নিরসন করা যাক,
প্রথম আপত্তিঃ ভ্রাদারখ্যাত রুহুল এখানে রমেশ চন্দ্রের অনুবাদ করা ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৩-১৪ থেকে দেখিয়েছেন ইন্দ্র বৃষ বধ করেছেন।
কিন্তু বাস্তবে অনুবাদকের অজ্ঞতাবশত অনুবাদের কারনে এমন আপত্তিকর ভ্রান্তির উদয় হয় । সনাতনী পরম্পরাগত গায়েত্রী পরিবারের শ্রী রাম শর্মার অনুবাদকৃত বেদে আমরা দেখতে পাই,
"হে বৃষাকপায়ী ! (বৃষকপির মা বা স্ত্রী) আপনি ধনবতী, শ্রেষ্ঠ পুত্রবতী আর সুন্দর পুত্রবধূ যুক্ত । আপনার উক্ষাগণকে ইন্দ্রদেব শীঘ্র সেবন করক । আপনার প্রিয় এবং সুখপ্রদ হবিষান্ন তিনি সেবন করুক । ইন্দ্রদেবই বাস্তবে সর্বোত্তম।" ১৩
[উক্ষা অর্থ বৃষও হয়, কিন্তু এখানে তা যুক্তিসংগত নয়। পুষ্টিদায়ক ওষধি তথা সেচন সামর্থ্য এখানে সমীচীন হয়]
"(ইন্দ্রের কথন) আমার জন্য শচী দ্বারা প্রেরিত পনের-বিশ উক্ষা (সেচন সমর্থ, ইন্দ্রিয় তথা প্রান-উপপ্রান আদি) একসাথে পরিপক্ব হয়, তা সেবন করে আমি পুষ্ট হই । আমার দুই পার্শ্ব উহার দ্বারা ভরে যায়, বিশ্বে ইন্দ্রদেবই সর্বোপরি আছেন।" ১৪
তাই এখানে বৃষ বা গোমাংসের দাবী সম্পূর্ণ মনগড়া সেটা প্রমাণের অপেক্ষা থাকে না।
দ্বিতীয় আপত্তিঃ ঋগ্বেদ ১০/২৭/২ মন্ত্রেও রুহুল আমিন গোমাংস খুজে এনেছে। এখানেও একই রমেশ চন্দ্রের অনুবাদ করা অনুবাদে গোমাংসের গন্ধ পেয়ে গেছেন ভ্রাদারখ্যাত রুহুল। কিন্তু বাস্তবে প্লট সম্পুর্ণ ভিন্ন।
ঋষি বসক্র বলছেন,
"হে ইন্দ্র! যখন আমি দেবোপসনা রহিত ও শারিরীক সামর্থ্য দ্বারা অভিমানী (দাম্ভিক) মানুষের সাথে সংঘর্ষ করতে যাই, তখন আমি আপনাকে হব্য দ্বারা সন্তুষ্ট করি। আমি পঞ্চাদশ তিথিতে আপনাকে সোম (সোমলতার রস) সমর্পিত করি।"
অর্থাৎ এখানেও কোন গোবধের কথা নাই।
★ বৃষকপি কি?
ঋগবেদে বৃষাকপি লেখা আছে। এর অর্থ অনেকেই ষাড় তথা গরু করে ফেলে। বৃষা মানে হল মুষিকপর্ণী তথা ইদুরের কানের মত দেখতে পাতাবিশেষ যা কপি মানে কম্পিত থাকা অর্থাৎ এই ঔষধ খেলে শরীরের রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও বীর্যবৃদ্ধি করে কম্পিনশাল মানে গতিবৃদ্ধি করে ৷
কপিকচ্ছু বা বৃষাকপি একই অর্থ সমপর্যায় ৷
कापीकाचू
शुक्राणुओं की संख्या और इसकी गतिशीलता में सुधार करने में मदद करता है। यह सेलुलर ऑक्सीडेटिव तनाव को रोकने, शुक्राणु उत्पादन को बढ़ावा देने और स्वस्थ वीर्य संतुलन बनाए रख कर वीर्य की गुणवत्ता में सुधार करता है।
Cowage লিখে গুগল করলেই চলে আসবে সেই ঔষধি (বৃষাকপি/কপিগুচ্ছ) গাছের ডিটেইলস। এখন কেউ কাউ লিখে দেখেই যদি এখানে গোমাংস নিয়ে আসে তবে বলতে হবে তার সংস্কৃতজ্ঞান শূণ্যের কোঠায়।।
আবার বৃষা শব্দের অর্থ হল বর্ষতীতি বৃষা ৷ যিনি বর্ষাপ্রদান করেন তিনি বৃষা। এখানেও বৃষা শব্দের অর্থ গরু নয়।
★ সোমরস কি?
সোমলতা নামক এক ওষধি গাছের রস থেকে তৈরি হয় সোমলতার রস। বেদের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাকার ঋষি অরবিন্দের অনুবাদে বলা হয়েছে সোম হলেন আনন্দ রসের এবং অমৃত রসের অধিপতি। ঋগবেদ ৯।৮৩ সুক্তের ব্যাখ্যা করে তিনি এই সুক্তের সোম বর্ণন কে অলংকারীক বলেছেন।
According to Ayurveda, Somlata has Astringent taste and reduces vitiated Kapha and Vata doshas. The main chemical compounds present in Somlata are ephedrine, nor-ephedrine, flavonoids, catechols, and polysaccharides. It has antimicrobial, anti-asthmatic, diuretic, anti-inflammatory, and anti-aging properties.
এখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে যে সোমলতার রসের ওষধি গুণাবলি অনেক এটার এন্টি-এজিং (বার্ধক্য নিরোধক) গুণাবলির জন্য ইহা দেহকে পুষ্ট করে। সোমলতার বৈজ্ঞাণিক নাম হলো Ephedra Gerardiana. বিস্তারিত জানার জন্য গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন। খোজার সুবিধার জন্য ছবি দিয়ে দেওয়া হলো।।
সোমলতার কথা পাওয়া যায় আশ্বলায়ন শ্রৌতসূত্র ৫/১২ তে যেখানে বলা হচ্ছে সোমযাগে সোমলতা ছেঁচা হত। সোমলতা ও মদিরা ত এক হলো না। অন্যদিকে শতপথ ব্রাহ্মণ ৫।১।২ এ সরাসরিই মদ্যপান করতে নিষেধ করা হয়েছে।
তৃতীয় আপত্তি: ঋগ্বেদ ১০/২৭/১৭ এর বিকৃত ভাষ্য নিয়ে। এর সঠিক অর্থনিরোপনে গায়েত্রী পরিবারের পরম্পরাগত শ্রী রাম শর্মা লিখেছেন,
ঋগ্বেদ ১০/২৭/১৭
”বীরগণ (অঙ্গিরাগণ) বলশালী মেষকে (=স্পর্ধাকারীকে) পরিপক্ক করেছে ৷ পাশার কোটের্ ক্রীড়ার জন্য পাশা ফেলা হয়েছে ৷ (তার মধ্য হতে) দুটি বলশালী ধনুষ সহিত বৃহৎ আপঃ (মূল তত্ত্ব অথবা জল) এ বিচরণ করতে লাগে, পবিত্রতার সঞ্চার করতে লাগে।"
অর্থাৎ এখানে গরু নিয়ে কিছু বলাই হয় নাই।
লক্ষ্য করুন এখানে আমাদের নামে ছলছাতুরীর অভিযোগ আনতে পারে ভ্রাদারখ্যাত রুহুল তাই তার আগেই পূর্বপক্ষকে খন্ডন করে দিচ্ছি, বৃষভ কে বৃষ বানানোর অপচেষ্টা এখানেই থেমে যাবে।
এখানে বৃষভ অর্থ অভিষ্ঠ ফল বর্ষণ দেয়া আছে । কারণ নিরুক্ত ৪/৮ এ "বৃষভ" অর্থ করা হয়েছে 'বৃষভো বর্ষিরাপাং'।
অর্থাৎ বৃষভঃ অর্থ অপাং (জল) বর্ষণ কারী।
সবচেয়ে হাস্যকর হল, এই ভ্রাদারখ্যাত রুহুল ইংরেজী ভাষা সম্পর্কে কতটা অজ্ঞ প্রমাণ দেই।
ঋগ্বেদ ১/১৬৪/৮০ মন্ত্রের তুলসীরামের অনুবাদ ।
শ্রী তুলশীরামজি যেখানে লিখেছেন, Invioable (অঘ্ন্যা) as Mother Cow. অথচ সে বার বার অঘ্ন্যা শব্দের অর্থ গাভী করার প্রয়াস করছিল ।
সঠিক অর্থ “অঘ্ন্যা অহন্তবা” (যাস্ক নিরুক্ত ১১/৪৪)। অঘ্ন্যা শব্দের অর্থই 'ন হন্তব্য', যা হত্যার যোগ্য নয়। কাজেই গো শব্দের সঙ্গে অঘ্ন্যা যুক্ত আছে বলেই বরং গোহত্যার কথা স্বপ্নেও কল্পনায় আনা উচিত নয়।
নিঘন্টু অনুসারে 'গো' শব্দের প্রতিশব্দ যা পাওয়া যায়, অঘ্ন্যা, অদিতি, উস্ত্রা, উস্ত্রিয়া, মহী, জগতি ইত্যাদি।(২/১১)
এইবার অদিতি শব্দের মানে দেখা যাক
'নদ্যতি অখণ্ডনীয়' অর্থাৎ যার অঙ্গ কর্তন অনুচিত।
অদিতি শব্দকে ভাঙলে (অ+দিতি) অর্থ আসে অখণ্ডনীয়া।
"কেঁচো খুড়তে কেউটে" টাইপ শিশুসুলভ ভিডিও করে আরও কিছু ব্যার্থ প্রচেষ্টা করে গেছে ভ্রাদারখ্যাত রুহুল,
চতুর্থ আপত্তি: ঋগ্বেদীয় আশ্বলায়ন গৃহসূত্রে "মধুপর্ক" শব্দ থেকেও গোমাংস খুজে বের করেছে সে। বিষয়টা অনেকটা এমন যে ছাগল সবখানেই কাঠালপাতা খুজে। এদের মত শাস্ত্রজ্ঞান হীন অর্বাচীনদের জন্য একটা উদাহরণ দেই।
[একবার এক আফিম খোরের ডাক্তার হওয়ার শখ হলো অর্থাৎ রোগী দেখে ট্রিটমেন্ট করবে। তাই সে নীলখাতের বাজার থেকে একটা মেডিক্যাল সায়েন্সের বই কিনে আনলো। যেহেতু মেডিক্যাল সায়েন্সে ক্যাটাগরি ওয়াইজ বই আছে সে যে বইটা কিনে আনলো সেটা আসলে সার্জারি বিদ্যার বই। পাতা উলটে সে দেখলো এক ব্যাক্তি বুক ব্যাথার চিকিৎসা হেতু ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন। ডাক্তার তাকে বেডে শুইয়ে দিয়ে বুকের মাঝ বারাবার কাচি চালিয়ে দিলো এবং বুকের মধ্যখান থেকে হৃদপিন্ডটা বের করে আনলেন। এটা পড়ে আফিমখোর বই রেখে দিয়ে আবার আফিম খাওয়া শুরু করলো। সকালে উঠে দেখলো তার পাশের বাড়িতে একজনের বুক ব্যাথার সমস্যা। আর দেরী না করে আফিম খোর নব্য ডাক্তার ঘর থেকে রামদা নিয়ে অসুস্থ ব্যাক্তির বুকে দা চালিয়ে দিলো। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আফিমখোর নব্য ডাক্তারের হাতে খুন হলো রোগী। এরপর প্রচার হইলো যে নীলক্ষেতে এমন এক বই বিক্রি হচ্ছে যেখানে মানুষ হত্যা করার কৌশল শেখানো হয়।
প্রশ্ন এখানে যে এই আফিমখোর যদি সঠিক পদ্ধতিতে যথাপোযুক্ত স্থান হতে এই বইটি অধ্যয়ন করতো তবে সে বুঝতে পারতো যে উক্ত স্থানে 'ওপেন হার্ট সার্জারি'র কৌশল শেখানো হয়েছে, মানুষ হত্যার নয়৷ অনাধিকারি ও অযোগ্য ব্যক্তির পক্ষে সনাতন শাস্ত্রের গভীর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ অনুধাবন করা সম্ভব নয়।]
মধুপর্কঃ
প্রথমেই বলা আবশ্যক যে, মধুপর্ক শব্দটি সমগ্র বৈদিক সাহিত্যের মধ্যে কেবলমাত্র অথর্ববেদেই পাওয়া যায় এবং তাহাও মাত্র একবার ৷ যেস্থলে মধুপর্ক শব্দটি পাওয়া যায় সেই মন্ত্রটি হইল—
“যথা যশঃ সোমপীথে মধুপর্কে যথা যশঃ।”
(অথর্ব সং ১০/৩/২১)
ইহার অর্থ— সোমপানে এবং মধুপর্কে যে যশ, আমিও যেন তাহা প্রাপ্ত হই। এই মন্ত্র হইতে গোমাংসের দ্বারা মধুপর্ক রচনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।
ঠিক মধুপর্ক শব্দটি না থাকিলেও অন্য আর এক স্থলে ‘মধুপেয়’ শব্দ পাওয়া যায়। সেই মন্ত্রটি নিম্নরূপ—
"বৃষাঽসি দিবো বৃষভঃ পৃথিব্যা বৃষা সিন্ধুনাং বৃষভস্তিয়ানাম
বৃষ্ণে ত ইন্দুবৃর্ষভ পীপায় স্বাদু রসো মধুপেয়ো বরায়।।"
(ঋক্ সং ৬/৪৪/২১)
এই মন্ত্রটিতে ‘বৃষা’ ও ‘বৃষভ’ শব্দ দেখিয়া অনেকে মধুপেয় বা মধুপর্কের মধ্যে গোমাংসের অস্তিত্ব অনুমান করেন। বস্তুতঃ এই মন্ত্রের অন্তর্গত বৃষা ও বৃষভ শব্দের অর্থ অন্যপ্রকার। সায়ণাচার্য তাঁহার ভাষ্যে লিখেছেন,
“হে ইন্দ্ৰ, ত্বং দিবো দুলোকস্য বৃষাষি হবির্ভিঃ সেক্তা ভবসি, পৃথিব্যা ভূমৈশ্চ বৃষভঃ কামনাং বর্ষিতা...বৃষা বর্ষেণ পুরয়িতা...বৃষভ কামানাং বর্ষিতা...।”
সায়ণাচার্য বৃষা বা বৃষভ শব্দের কোনো স্থলেই ষাঁড় এইরূপ অর্থ করেন নাই। সুতরাং মধুপর্কে গোমাংস দেওয়ার কথা বেদ হইতে প্রমাণিত হয় না।প্রাচীনকালে অতিথি, ব্রাহ্মণ, রাজা প্রভৃতি গৃহে আসিলে মধুপর্ক দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। মনুসংহিতায় আছে—
"রাজত্বিক্ স্নাতকগুরূন্ প্রিয়শ্বশুরমাতুলান্।
অর্হয়েন্মধুপর্কেণ পরিসংবৎসরাৎ পুনঃ।।
রাজা চ শ্রৌত্রিয়শ্চৈব যজ্ঞকর্মণ্যুপস্থিতে।
মধুপর্কেণ সংপূজ্যৌ ন ত্বযজ্ঞ ইতি স্থিতিঃ।।"
(মনু সংহিতা ৩/১২০)
“দধি সর্পিঃ পয়ঃ ক্ষৌদ্রং সিতা চৈতৈশ্চ পঞ্চভিঃ প্রেচ্যতে মধুপর্কঃ” ইহা একটি মত। অর্থাৎ দধি, ঘৃত, দুগ্ধ, মধু ও মিছিরি— এই পাঁচটি লইয়া মধুপর্ক হইয়া থাকে।
কাত্যায়ন স্মৃতিতে মধুপর্কের সম্বন্ধে বলা হইয়াছে—
"সাক্ষতং সুমনোযুক্তমুদকং দধিসংযুতম্।
অর্ঘ্যং দধিমধুভ্যাঞ্চ মধুপর্কো বিধীষতে।।"
(কাত্যায়নস্মৃতি ২৯/১৮)
অর্থাৎ আতপ চাল, ফুল, জল, দধি ও মধু এই কথাটির দ্বারা মধুপর্ক রচনার কথা বলা হইয়াছে।
এবার সেই মূর্খের আপত্তির নিষ্পত্তি করব, "নামাংসী মধুপর্কো ভবতি " অর্থাৎ মধুপর্ক মাংস শূন্য হবে না।
এখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসবে কি এই মাংস ?
যদি মাংস শব্দ বিবেচনা করা হয় তাহলে মাংস শব্দের অর্থ যে শুধুমাত্র পশুর মাংস হবে তা কিন্তু নয়। কেননা বৈদিক অভিধান নিরুক্ত অনুযায়ী মাংস শব্দ ভিন্ন অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে। নিরুক্ত ৪/৩ এ বলা হয়েছে- " মাংসং মাননং বা মানসং বা মনোঽস্মিন্ত্সীদতীতি বা।" অর্থাৎ যা মানের যোগ্য কিংবা যা দ্বারা মনের রুচি বৃদ্ধি পায়। মাংস দিয়ে শুধু পশুর মাংস(meat) বুঝাবে তা নয়, মাংস দিয়ে ফলের নরম অংশ তথা শাঁসকে (flesh)ও বুঝানো হয়।
বাস্তবে এখানে অনুবাদকের ভুল বিদ্যমান। মধুপর্ক দেওয়া অতিথিকে সমৃদ্ধ ভোজন করান ইত্যাদির অর্থ অতিথির পরিতুষ্টি বিধান। যখন বলা হইয়াছে যে, তৃণ, ভূমি, জল, সত্য ও প্রিয় বাক্য দ্বারাই অতিথিকে সন্তুষ্ট করা যাইতে পারে তখন স্পষ্টই বুঝা যায় যে, অতিথির সন্তুষ্টি বিধানই প্রধান লক্ষ্য। মনুসংহিতায় আছে—
”তৃণানি ভূমিরুদকং বাক্ চতুর্থী চ সূনৃতা।
এতান্যপি সতাং গেহে নোচ্ছিদ্যন্তেকদাচন।।”
(মনু সংহিতা ৩/১০১)
[গোদানের পুণ্য আছে। আমি যখন যজ্ঞীয় দেবতার উদ্দেশ্যে গরু নিবেদন করছি, তখন প্রার্থনা করছি যাতে আমার সব পাপ ধ্বংস হয়। এবং জপ করছি গরু রুদ্রজননী... ( ঋগ্বেদ ৮/১০১/১৫ এর রেফারেন্স দেয়া হয়, যার ব্যখা ভূমিকায় বলা হয়)এর মানে এটি প্রমাণিত
এরপর যজ্ঞীয় দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত গরু ব্রাহ্মণকে দান করে দিচ্ছি।]
বৃহৎপরাশর স্মৃতিতে বলা হইয়াছে—
গরুর শরীরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দেবতা বিদ্যমান আছেন। ইহাতে এইরূপ বলা হইয়াছে—
”স্পৃষ্টাশ্চ গাবঃ শশময়ন্তি পাপং
সংসেবিতাশ্চোপয়নয়ন্তি বিত্তম্।
তা এব দত্তাস্ত্রিদিবং নয়ন্তি
গোভির্ন তুল্যং ধনমন্সিত কিঞ্চিৎ।। ”(১/১০)
অর্থাৎ— গরুকে স্পর্শ করিয়া পাপ দূর হয়, গরুর সেবা করিলে বিত্তলাভ হয়, গোদান করিলে স্বর্গলাভ হয়। গরুর তুল্য আর কোনো ধন নাই।
”যস্যাঃ শিরসি ব্রহ্মাহস্তে স্বন্ধদেশে শিবঃ স্থিতঃ।
পৃষ্ঠে নারায়ণস্তস্থৌ শ্রুতয়শ্চরণেষু চ।।
যা অন্যা দেবতাঃ কাশ্চিত্তস্যা লোমসু তা স্থিতাঃ।
সর্বদেবময়া গাবস্তুষ্যেত্তভক্তিতো হরিঃ।।”
(বৃহৎপরাশরস্মৃতি ৪/১১-১২)
অর্থাৎ ‘গরুর মস্তকে ব্রহ্মা অবস্থান করেন, স্কন্ধদেশে শিব বাস করেন, পৃষ্ঠে নারায়ণ এবং বেদসমূহ চরণে অবস্থিত আছেন। গাভীর লোমে অনান্য দেবতারা অবস্থান করেন। গরু সর্বদেবময় এবং গরুর প্রতি ভক্তি করিলে হরি তুষ্ট হন।'
বেদের শতাধিক স্থলে বৃষকে অঘ্ন্য ও গাভীকে অঘ্ন্যা বলার পর, গোজাতির উপর অসাধারণ ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার পর প্রতিদিন গোমাংস দ্বারা মধুপর্কের আয়োজন করার কি কোনো সামঞ্জস্য থাকিতে পারে?
৫ম আপত্তি: ভ্রাদারখ্যাত রুহুল শতপথ ব্রাহ্মণ থেকে গরু খাওয়া নিয়ে এলো,
শতপথ ব্রাহ্মণের ৩/১/২/২১ এ স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে গরু বা বলদের মাংস খেতে পারবে না। এমনকি তার পিছনে উক্ত মন্ত্রে কারণও দেখানে হচ্ছে।
কারণ গুলো হচ্ছেঃ
*এটা নিষিদ্ধ আচার।
*গরু মানুষের কল্যাণ করে।
*দুগ্ধবতী গাভী দুধ দেয়, যা সর্বজনের উপাদেয়।
*ষাঁড় গরু দিয়ে জমি চাষ করা হয়।
*গো হত্যা স্ত্রী গর্ভে ভ্রুণ হত্যার সমতুল্য।
এই পয়েন্ট গুলো এখানে স্পষ্ট ভাবে সুন্দর করে উল্লেখ করা আছে। এরপরও যদি কেউ বলে যে, "উক্ত মন্ত্রে গো বধ বা গো মাংস ভক্ষণের কথা আছে" তাহলে তাকে অন্ধ, মূর্খ ও পাখন্ডি বলা ব্যাতীত আর কিছুই বলার থাকে না।
পরের আপত্তি পূর্বপক্ষ মিথ্যাবাদী রুহুলের ঐতরেয় ব্রাহ্মণ- ১ম অধ্যায় ৩য় ব্রাহ্মণ ৪র্থ শ্লোক।
কিন্তু বাস্তবে এমন কোন মন্ত্রই সারা তৃতীয় খন্ডেই পাওয়া যায় নি যা এই রুপ গো হত্যা সমর্থন করে। প্রমান সাপেক্ষে নিচে সেই শ্লোক উল্লেখ করা হল,
বিভিন্ন দ্রব্যাদী অর্পণ। আজ্য দেবতাগণকে অর্পণ। সুরভী ঘী মনুষ্যকে, আয়ুত পিতৃগণকে, ননী গর্ভে ভ্রুণ গণের উদ্দেশ্যে। এখানে মূলত দেবতা, পিতৃ পুরুষ, নিজ পরিবার ও গর্ভস্থ শিশুর উদ্দেশ্যে ঘৃত ননী আদি দুগ্ধ জাত দ্রব্য আহুতির কথা বলা হয়েছে। যারা দুগ্ধজাত দ্রব্যকে গো মাংস মনে করে তারা মূর্খ বৈ আর কি হতে পারে?
ষষ্ঠ আপত্তি:
সুশ্রুত সংহিতা থেকে অপপ্রচারঃ
রুহুল আমিন সুশ্রুত সংহিতার ১/৪৬/৯০ শ্লোকের এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে সেখানে নাকি গোমাংস ভক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
প্রথমে জানতে হবে সুশ্রুত সংহিতা কি?
মহর্ষি সুশ্রুত কর্তৃক রচিত সুশ্রুত সংহিতা বিশ্বের ইতিহাসে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা শাস্ত্র। একটি আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের যেমন চরিত্র হওয়া উচিত মহর্ষি সুশ্রুত হাজার বছর আগেই তেমন একটি শাস্ত্র রচনা করে গেছেন।
সুশ্রুত সংহিতার প্রথম খন্ড হলো সূত্রস্থান এবং সেখানে ৪৬ টি অধ্যায়ে বিভিন্ন বস্তু ও উপাদানের গুণাবলি প্রকাশ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কোন বস্তু বা উপাদানের কি কি উপকারিতা সেটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে তুলে ধরেছেন।।
ভ্রাদারখ্যাত রুহুল আমিন স্পেসিফিক যে শ্লোকটা তুলে ধরেছে তার তাৎপর্য্য বুঝতে হলে আগে তাকে প্রকরণ বুঝতে হবে।। উল্লেখিত শ্লোকের পূর্ববর্তী শ্লোকগুলো বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয় যে সেখানে মাংস প্রকরণের আলোচনা হয়েছে। কোন কোন মাংসের কি কি গুণাবলি আছে সেটাই সরাসরি তুলে ধরা হয়েছে এই অধ্যায়ের কিছু ধারাবাহিক শ্লোকে। ওখানে ইঁদুরের মাংস থেকে শুরু করে অজগর সাপের মাংস এমনকি কেউটের মাংসের উপকারীতাও বর্ণনা করা হয়েছে।। স্বাভাবিকভাবেই গোমাংসের চিকিৎসা উপকারিতা হিসেবে বিষম জ্বর নিবারণের বিষয়টা চলে এসেছে। এর অর্থ কি গোমাংস খাওয়ার কথা বলেছে? চিকিৎসা বিজ্ঞানে এলকোহলের উপকারী দিকও বলা হয়ে থাকে তাই বলে কাউকে নিত্য এলকোহল সেবনে উৎসাহিত করা হয় না। উক্ত বর্ণন দিয়ে মূল শাস্ত্রে যাহা বর্জনীয় সেটা গ্রহণ করতে পরামর্শ দেওয়া হয় নি। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বিষম জ্বরের চিকিৎসা হিসেবে অন্যান্য আরও অনেক ভেষজ উদ্ভিদের উল্লেখ আছে সুশ্রুত ও চড়ক সংহিতায়।
যেহেতু সনাতন সকল শাস্ত্রে গোমাংস ভক্ষণ করতে নিষেধ করা হয়েছে তাই সনাতন সমাজ উক্ত রোগের চিকিৎসা হেতু ভেষজ উদ্ভিজ্জ উপাদান যেমন হলুদ, আমালকি, তুলসী, আদা, রসুন, দারুচিনি, গোলমরিচ গ্রহণ করবে গোমাংস নয়।
এই পর্বে বৈদিক গ্রন্থের সকল আপত্তি নিষ্পত্তি হল। পরবর্তী পর্বে অবশিষ্ট আপত্তি গুলোর (রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ, শ্রীল প্রভুপাদের শ্রীমদভগবদগীতা যথাযথ, স্বামী বিবেকানন্দের বানী ও রচনা, জগদগুরু শঙ্করাচার্য) খন্ডন দেওয়া হবে। সনাতন শাস্ত্র নিয়ে ঘরে-বাইরে যেকোনো কদাচারীদের যথাযথ জবাব দিতে SPS পরিবার বদ্ধপরিকর।।
প্রচারেঃ SPS পরিবার
সনাতনী ঐক্য, প্রচার ও কল্যাণে অবিচল।
2 মন্তব্যসমূহ
অসাধারণ, এভাবেই প্রচার হলে আমরা নিজেদেরকে অসুরদের হাত থেকে সনাতন ধর্মকে বাঁচাতে পারবো।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ , শেয়ার করে সনাতনী বন্ধুদের জানিয়ে দিবেন ।
মুছুন