ব্রহ্মজ্ঞান ও বেদ অধ্যায়ন এবং বেদচর্চায় শুদ্ধ প্রক্রিয়াহীন অসঙ্গতি।

বৈদিক যুগে গুরুকুলে শুদ্ধ প্রক্রিয়ার বেদ অধ্যায়ন ও বর্তমানের পিডিএফে বেদ অধ্যায়নে সতর্কতা।।


লক্ষনীয় ভাবে বেড়েছে বেদ অধ্যায়ন বা পিডিএফ বেদজ্ঞদের ছড়াছড়ি। গুটিকয়েক বেদের পিডিএফ পড়ে কিংবা মাস কয়েক বেদ অধ্যায়ন করে কেউ কেউ সনাতনী পরম্পরা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফেলছে। তাদের এহেন কদাচারী ও দৃষ্টতা হেতু আজকের এই লিখা, মুটেও বেদচর্চাকে নিরুৎসাহিত করতে নয়।  নিঃসন্দেহে বেদ বানী সকল বর্ণ, সকল জাতির উদ্দেশ্য দেয়া হয়েছে এবং সকলেই সেটা অর্জন করার প্রয়াস করুক। 

এখান প্রশ্ন হলো যে, আমাদের জীবনের লক্ষ্য কি মোক্ষ লাভ বা পরমপদ লাভ তথা ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন নাকি কেবল বেদ অধ্যায়ন করা?

ব্রহ্মজ্ঞানঃ

বেদ অধ্যায়ন করা ও ব্রহ্মজ্ঞান এক বিষয় নয়। এনাটমির বই পড়া ও সত্যিকার ডাক্তার হয়ে উঠা এক বিষয় নয়। শুধু বেদ অধ্যায়ন করেই কেউ ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে যাবে না।
"তত্রাপরা-ঋগ্বেদো যজুর্বেদঃ সামবেদোহথর্ববেদঃ শিক্ষা কল্লো ব্যাকারণং নিরোক্তং ছন্দো জ্যোতিষমিতি ।
অথা পরা যয়া তদক্ষরমাধিগম্যতে ।।"
(মুন্ডক ১.১.৫)
অর্থাৎ ঋগ্বদ, যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ, শিক্ষা, কল্প, ব্যাকারণ, নিরুক্ত, ছন্দ, জোতিষ- এই সকল অপরা বিদ্যা। আর যাহা দ্বারা সেই অক্ষরকে (ব্রহ্মকে ) জানা যায় তাহাই পরা বিদ্যা।
তবে ব্রহ্মকে কিভাবে জানবেন?
ব্রহ্মস্বরুপ নিয়ে সামবেদের ‘তলবকার ব্রাহ্মণ’ এর অন্তর্গত কেনোপনিষদে বলা হয়েছে,
"শ্রোত্রস্য শ্রোত্রং মনসো মনো যদ বাচো হ বাঁচস উ প্রাণস্য প্রাণ।
চক্ষুষশ্চচক্ষুরতিমুচ্য ধীরাঃ প্রেত্যাস্মাল্লোকাদমৃতা ভবন্তি ।।" (কেনো ১/২)
অর্থাৎ, যেহেতু তিনিই কর্ণেরও কর্ণ, মনেরও মন, বাক্যের বাক্য, প্রানেরও প্রাণ, চক্ষুরো চক্ষু, সুতরাং বিবেকিগণ ইন্দ্রিয়াদিতে আত্মবুদ্ধি ত্যাগ করে এই সংসার হইতে নিবৃত্ত হইয়ে অমর হয়ে থাকেন ।।
"ন তত্র চক্ষুর্গচ্ছতি ন বাগগচ্ছতি নো মনো ন বিদ্মো ন
বিজানীম যথৈতদনুশিষ্যাদন্যদেব তদ্বিতিতাদথো
অবিদিতাদধি।
ইতি শুশ্রম পূর্বেষাং যে নস্তদ ব্যাচচক্ষিরে ।।" (কেনো ১/৩ )
সেখানে চক্ষু গমন করে না, বাক্য গমন করে না, মনও গমন করে না(উক্ত ব্রহ্ম কি প্রকার তাহা) জানি না, সুতরাং ইহার সম্বন্ধে কি প্রকারে উপদেশ দেয়া হয় – তাহাও জানি না। তিনি বিদিত বস্তু হইতে অবশ্যই ভিন্ন, যাহারা আমাদিগকে নিকট উক ব্রহ্ম ব্যাখা করেছিলেন, সেই পূর্বাচার্যদের নিকট আমরা এইরুপি শুনিয়াছি ।।
"যদ্বাচানভ্যুদিতিং যেন বাগভ্যুদ্যতে।
তদেব ব্রহ্ম ত্বং বিদ্ধি নেদং যদিদমুপাসতে ।।" (কেনো ১/৪)
অর্থাৎ তিনি বাক্যের দ্বরা অপ্রকাশিত, যাদ্বারা বাক্য প্রকাশিত হয়, তুমি তাঁহাকে ব্রহ্ম বলিয়া জান; যাহাকে আপনা হইতে ভিন্ন মনে করিয়া উপাসনা করা হয় তাহা ব্রহ্ম নয় ।।
"যন্মনসা ন মনুতে যেনাহুর্মনো মতম।
তদেব ব্রহ্ম ত্বং বিদ্ধি নেদং যদিদমুপাসতে ।।"(কেনো ১/৫)
অর্থাৎ মন যাহাকে মনন করে না, যাদ্বারা মন বিষয়ীকৃত হয় বলিয়া ব্রহ্মবিদগণ বলেন, তুমি তাঁহাকে ব্রহ্ম বলিয়া জানো, যাহাকে ভেদবুদ্ধিসহ উপাসনা করা হয় তাহা ব্রহ্ম নহে ।
"যস্যামতং তস্য মতং মতং যস্য ন বেদ সঃ।
অবিজ্ঞাতং বিজানতাং বিজ্ঞাতমবিজানতাম।।"(কেনো ২/৩)
অর্থাৎ যাঁহার নিকট(ব্রহ্ম) জ্ঞেয়রুপে অজ্ঞাত তাঁহারই নিকট (তিনি) জ্ঞাত ; যাঁহার নিকট উক্তরুপে জ্ঞাত, তিনি জানেন না; (ব্রহ্ম) ভেদবুদ্ধিযুক্ত লোকের নিকট অবিদিত, ভেদবুদ্ধিশূন্য ব্যাক্তিগণের নিকট বিদিত।
"প্রতিবোধবিদিতং মতমমৃত্ত্বং হি নিন্দতে।
আত্মনা বিন্দতে বীর্যং বিদ্য্যা বিন্দতেহমৃতম ।।"(কেনো ২/৪)
অর্থাৎ প্রতি প্রত্যয়ের স্বাক্ষীরুপে ( ব্রহ্ম) যখন জ্ঞাত হন তখনই বিদিত হন, কেন না উক্ত জ্ঞানের দ্বারা অমৃত্ব লাভ হয় ; আত্মপরিচয় ঘটিলে সামর্থ্য লাভ হয় এবং আমৃতত্ব লাভ হয়।

বেদ অধ্যায়নঃ
বিষয়টা যখন অধ্যায়ন বা শেখার প্রশ্ন আসে তখন অবশ্যই একটা কাঠামো বা প্রতিষ্ঠানের বিষয় চলে আসে। আপনি গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন, ঘরে বসে মুবাইল এপসের মাধ্যমে কিংবা নীলক্ষেতের লাইব্রেরী হতে বই কিনে ৩০ দিনে স্বঘোষিত এমবিবিএস ডাক্তার হয়ে গেলে এবং সেই ডাক্তার হতে চিকিৎসা নিলে আপনার স্থিতি কি হবে স্বয়ং বিবেচনা করুন? দেখা যাবে, ফার্মেসি বা হাতুরি চিকিৎসার মতো হিতে বিপরীত হবে এবং ফলাফল হবে ভয়াবহ।
তাহলে স্পষ্ট হলো মেডিক্যাল কিংবা প্রকৌশলি সনদ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অনাধিকারী কিংবা অযোগ্যদের হাতে উচ্চশিক্ষার মোটা মোটা বই ধরিয়ে জ্ঞানপাপী বানানোর প্রক্রিয়াকে জ্ঞানের সমবন্টন বলে না বরং ব্যবসায়িক ধান্দা অথবা চাটুকারিতা বলে। ইকুয়েলিটির কথা বলে ইকুয়েটিকে অস্বীকার করা অনুচিত।
তাহলে সমাধান কি ? আমরা কি তবে ঈশ্বরের নিশ্বাস বা বানী থেকে বিরত থাকব?

উত্তর হবে অবশ্যই না। একজন ডাক্তার যেমন যোগ্যতা বলে মেডিকেল কলেজে চান্স পান, সেই য্যোগ্যতা অর্জন করুন।
আশ্রমে বা বিদ্যায়তনে থেকে ব্রহ্মচারী বা অধ্যায়নরত শিষ্য গুরুকে কি দৃষ্টিতে দেখবে, তার সংগে শিষ্যের আচরণ কেমন হবে, গুরুপুত্র বা গুরুপত্নীর সাথে আচরণ কেমন হবে মহর্ষি ব্যাস দেব তাঁর ব্যাসগীতায় এ বিষয়ে বলছেন,
এবং দন্ডাদিভির্যুক্তঃ শৌচাচারসমন্বিতঃ ।
আহূতহধ্য্যনং কূর্যাদ্বীক্ষমাণো গুরুর্মুখম ।। ১
নিত্যমুদ্যতপাণিঃ সাৎ সন্ধাচারসমন্বিতঃ ।
আস্যতামিতি চোক্তঃ সন্ন্যাসীতাভিমূখং গুরোঃ ।। ২
প্রতিশ্রবণ সম্ভাষে শয়ানে ন তিষ্ঠনি ন সমেচরেয়ৎ ।
নাসিনো ন চ ভুঞ্জনো ন তিষ্ঠন পরাংমুখঃ ।। ৩
নীচং শয্যাসনঞ্চাস্য সর্বদা গুরুসন্নিধৌ ।
গুরোশ্চ চক্ষুর্বিষয়ে ন যথেষ্ঠাসনো ভবেৎ ।। ৪
নোদাহরেদস্য নাম পরোক্ষমপি কেবলম ।
ন চৈবাস্যনুকুর্বীত গতি-ভাষিত চেষ্টিতম ।। ৫
গুরোর্যত্র প্রতীবাদো নিন্দা চাপি প্রবর্ততে ।
কণৌ তত্র পিধাতবৌ গন্তব্যং বা ততোহন্যত ।। ৬
অর্থাৎ বেদ ব্যাস বললেন, শৌচাচার বিধানবিধিবিধান যথাযথ মেনেযে ব্রহ্মচারী ( ব্রহ্মচর্য পালনে রত) গুরু তাকে আহব্বান জানালে তবে সে গুরুমুখ নিরিক্ষণ করে অধ্যায়ণ করবে । ব্রহ্মচারী সর্বদাই সন্ধ্যা উপসনা এবং সদাচারের মধ্যে থাকবে এবং গুরু তার ডান হাত তিলে তাকে বসতে বললে , সে গুরুর মুখের দিকে তাকিয়ে বসবে। শুয়ে, বসে, খেতে খেতে, দূরে দাঁড়িয়ে বা অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে গুরুর আজ্ঞা কখনো শুনবে না, ঐ অবস্থায় সম্ভাষণও করবে না। গুরুর কাছে শিষ্যের আসন বা বিছানা অবশ্যই উচু থাকবে থাকবে গুরু চলার সময়, কথা বলার বা কাজের ধরণ তরল বুদ্ধি নিয়ে অনুকরণ করবে না । যেখানে গুরু সমন্ধে বিরুপ মন্তব্য হয় গুরু নিন্দা হয়, সেখানে দু হাত দিয়ে ঢাকবে বা সে স্থান ত্যাগ করবে ।
অনেকে হয়ত প্রশ্ন করবে এই যুগে এমন গুরুকূল বা বিদ্যাপীঠ আছে না কি?

হ্যা, হয়তো আপনার আশে পাশে নাই। তাই বলে ভারতবর্ষে গুরুকূল বা পরম্পরাগত বেদ শিক্ষা এখন সচল আছে যা একটু গুগল করলেই জানা যায়। যেকোন সিদ্ধ পুরুষের জীবনী দেখুন, কতটা ত্যাগ ছিল সিদ্ধি লাভের পিছনে? আর আপনি যদি ভেবে থাকেন সেই গূঢ়তত্ত্ব বাসায় এসির নিচে বসে দু’পাতা পিডিএফ পড়েই পাবেন তাহলে ভুল করছেন এবং আপনার সংকল্প ও ডেডিকেশন নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।
এখন কদাচারীরা যদি বলে যে, তখন আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না বলেই গুরুকুলের আবশ্যকতা ছিল তবে তারাই কিভাবে প্রশ্ন তুলে বৈদিক যুগে প্রতিমা পুজা ছিল না তাই এখন করা যাবে না!

তবে কারা বেদ পাঠের যোগ্য?
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ণ বেদ ব্যাস দেব এ সম্পর্কে ব্যাসগীতায় স্পষ্টত বলছেন,
কামং লোভং ভয়ং নিদ্রাং গীত বাদিত্র- বর্তনম । দ্যূত জজনপরীবাদং স্ত্রীপেক্ষালম্ভানং তথা । পরোপঘাতং পৈণ্ডন্যং প্রযন্তেন বিবর্জয়েৎ ।।১৭
অর্থাৎ তারা কাম, ক্রোধ, লোভ, ভয়, ঘুম(অতি নিদ্রা), গান-বাজনা শোনা, আচ দেখা, দ্যূত ক্রিয়া (জুয়া খেলা), পরনিন্দা, স্ত্রী লোকেরপ্রতি কটাক্ষ বা তাদের আলিঙ্গনে আবদ্ধ করা, কারো অনিষ্ঠ করা, পৈন্ডণ (পরোক্ষে কুৎসা রটনা) - যাবতীয় কিছু যত্নের সাথে পরিহার করবে ।
.....................
এমচারসম্পন্নমাত্নবতত্মবন্তুমদিকাদ্ভিকম । বেদমধ্যায়পয়েদ ধর্মং পুরাণঙ্গানি নিত্যসগঃ ।। ৩৭
অর্থাৎ যে শিষ্য এইরকম আচার সম্পন্ন হবে, অদাম্ভিক এবং আত্মজ্ঞানে জ্ঞানী হবে সেই শিষ্যকে গুরু বেদ, ধর্মশাস্ত্র, পুরাণ, বেদান্ত প্রতিদিন অধ্যায়ন করাবেন।
আচার্যপুত্রঃ শুশ্রষ্রুর্জ্ঞানদো ধার্মিকঃ শুচিঃ । সূক্তার্থদোহরসঃ সাধুঃ স্বাধ্যায়া দশ ধর্মতঃ ।।৩৯
কৃতজ্ঞশ্চ তথাদ্রোহী মেধাবী তৃপকৃন্নরঃ আপ্ত প্রীয়োহথ বিধিবৎ ষড়ধ্যাপ্যা দ্বিজাতয়ঃ ।। ৪০
এতেষু ব্রহ্মণো দানমন্যত্র চ যথোদিতান । আচম্য সনযতো নিত্যমধীয়ীত হ্যুদংমুখঃ ।। ৪১
উপসংগৃহ্য তৎপাদৌ বীক্ষমাণো গুরুর্মুখম । অধীষ্ব ভো ইতি ব্রুয়াদ্বিরামোহস্তিতি চারমেৎ ।। ৪২
অর্থাৎ ধর্মানুসারে গুরু এই দশজনকে অধ্যায়ন করাবেন- আচার্যের পুত্র, পুত্রাদি, সেবা-শুশূষা পরিচর্্যায় রত, জ্ঞানী ,ধার্মিক শূচি যা পাঠ দেয়া হবে তা শোনা এবং মনে রাখার সমর্থ ধনদাতা, সাধু এবং আত্মীয় । দ্বিজাতির মধ্যে মধ্যে এই ছয় জন অধ্যাপনা যোগ্যপাত্র – কৃতজ্ঞ, দ্বেষ-হিংসাহীন ,মেধাবী , উপকারী, বিশ্বস্ত এবং প্রিয় । আগে যে দশজনের কথা বলা হল, তাদের মধ্যে যারা এই ছয় গুণে গুণি, তাদেরই বেদ অধ্যায়ন করা উচিত আর সকলে সাধারণ শাস্ত্রগুলি অধ্যায়ন করবে। গুরুর মুখ নিরীক্ষণ করে উত্তর মুখে বসে অধ্যায়ন করবে এবং বসার আগে প্রত্যহ সংযত চিত্তে আচমন করে গুরুর পাদবন্দনা করে নেবে । গুরু যখন অধ্যায়নের আদেশ দিয়ে বলবেন “অধ্যায়ন কর” তখনই অধ্যায়ণ শুরু করবে যখন তিনি বলবেন “এ পর্যন্ত থাক” তখনই শেষ করবে ।
এখন উপরোক্ত আলোচনা হতে যা স্পষ্ট হলো এবং তার সাথে সাম্প্রতিক সময়ে স্বঘোষিত বেদজ্ঞদের আচরণ ও তাদের বেদচর্চা পদ্ধতি মিলিয়ে নিয়ে স্বয়ং বিবেচনা করুন।
স্পষ্টত এখানে বেদ অধ্যায়নের যে অধিকারী হওয়া প্রয়োজন তা বুঝা যায়। কারণ এর মর্মার্থ কেবল পরম্পরাগত গুরুমুখেই সঠিক জানা যায়, অনুবাদের ক্ষেত্রে অনেক অনুবাদক বেদ যে বিকৃত করেছেন বা কোন বাকে ভাষ্য করা হয়েছে তা দেখে আরো স্পষ্ট হয়।
উল্লেখ্য যে, সঠিক পদ্ধতিতে বেদ অধ্যায়ন বলতে বেদ বানী থেকে মানব জাতিকে দূরে রাখা হয়নি বা অনুৎসাহী করা হয় নি। বরং তা গ্রহনের সময় বা বোধগম্যের ক্ষেত্রে নিয়মাবলি এবং পারিপার্শ্চিক অবস্থা মাথায় রাখতে বলা হয়েছে যাতে কেউ পরমেশ্বরের বাণী ভুল বুঝিয়ে অপপ্রচার করতে না পারে ।
© শ্রী রবিন দে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ