শ্রীমদভগবদগীতা কি ভীষ্মপর্বে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে?

 




দেশের ও বিদেশের অনেকই দাবী করিয়া থাকেন যে, ভগবদ্গীতা ভীষ্মপর্বে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। এ সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা একান্ত উচিত মনে করিয়া প্রক্ষিপ্তবাদী ও প্রতিবাদী উক্তি-প্রত্যুক্তিচ্ছলে তাহা এস্থলে লিপিবদ্ধ করা হইল।


প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- মহাশয়। ভগবদ্গীতাটা যে ভীষ্মপর্বে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে, তাহা জানেন?

প্রতিবাদীঃ- কি করিয়া জানিব, কাহাকেও প্রক্ষিপ্ত করিতে দেখি নাই, শুনা কথারও কোনো মূল্য নাই, প্রক্ষেপণের যুক্তিও খুঁজিয়া পাই না।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- কেন প্রক্ষেপের যুক্তি খুঁজিয়া পাইবেন না, ভীষ্মপর্বের যে স্থানে গীতা সন্নিবেশিত আছে, সে স্থানে গীতা উঠিবার কোন প্রসঙ্গই নাই। 

প্রতিবাদীঃ- প্রসঙ্গ নাই একথা আমারা স্বীকার করিতে পারি না। কারণ, কুরুপান্ডব উভয়পক্ষ যুদ্ধসজ্জায় সজ্জিত হইয়া কুরুক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়াছেন এবং ভীষ্ম কুরুপক্ষের প্রধান সেনাপতির পদ গ্রহন করিয়াছেন ইত্যাদি সমস্ত ঘটনাই ধৃতরাষ্ট্র জানেন এবং যুদ্ধের সমগ্র বৃত্তান্ত জানিয়া আসিয়া তাহা বলিবার জন্য সঞ্জয়ের উপরে আদেশও করিয়াছেন। এই অবস্থায় দশম দিনের যুদ্ধে  ভীষ্ম নিপতিত হইলে, সঞ্জয় আসিয়া ধৃতরাষ্ট্রর নিকট বলিলেন - "মহারাজ। ভীষ্ম আজ শিখন্ডীর হস্তে যুদ্ধে নিপতিত হইয়াছেন" ইহা শুনিয়া ধৃতরাষ্ট্র বহুতর বিলাপ করিয়া যুদ্ধের আদ্যন্ত বৃত্তান্ত শুনিবার ইচ্ছায় সঞ্জয়ের নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন- " আমার পুত্রেরা ও পান্ডবেরা যুদ্ধ করিবার ইচ্ছায় কুরুক্ষেত্রে সমাবেত হইয়া প্রথমে কি করিলেন?" ধৃতরাষ্ট্রের এই প্রশ্নতেই ত গীতা উঠিবার প্রসঙ্গ, এইরূপ প্রসঙ্গ লইয়াই ত মহাভারতের এবং অন্যান্য উপাখ্যানময় গ্রন্থের উপাখ্যানগুলি উঠিয়াছে।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- সে যাহা হউক, উভয়পক্ষের যোদ্ধারাই অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হইয়া আপন আপন সেনাপতির আদেশের প্রতীক্ষা করিতেছেন,  সে আদেশ হইলে যুদ্ধ আরম্ভ হয়, এমন সময়ে উভয় সৈন্যের মধ্যস্থানে থাকিয়া পান্ডবপক্ষের প্রধান সহায় কৃষ্ণ গীতা বলিতে আরম্ভ করিলেন, আর প্রধান যোদ্ধা অর্জুন তাহা শুনিতে থাকিলেন। 'ধান ভানতে মহীপালের গীত আরম্ভ হইয়া গেল' মহাযুদ্ধারম্ভে আধ্যাত্মবিষয়ে আলোচনা চলিতে থাকিল। এমন ঘটনা কি কখনও সম্ভব হইতে পারে? বক্তা ও শ্রোতা উভয়েই নিরুদ্বেগ না হইলে, গীতার মত বিষয়ের আলোচনা হইতে পারে না।

প্রতিবাদীঃ- মহাশয়। এই ভীষ্মপর্বেরই প্রথম অধ্যায় আলোচনা করিলে বোধ হয় আপনি এরূপ অসামঞ্জস্য  অবতারণা করিতেন না। উভয়পক্ষ মিলিত হইয়া যুদ্ধের প্রারম্ভে যে সকল নিয়ম করিয়াছিলেন, তাহা ভীষ্মপর্বের প্রথম অধ্যায়ে লিখিত আছে, তাহার মধ্যে এই কথাটুকু আছে যে, " সমাভাষ্য প্রহর্ত্তব্যং ন বিশ্বস্তে ন বিহ্বলে" অর্থাৎ "আমারা বলিয়া কহিয়া বিপক্ষের উপরে প্রহার করিব এবং কোনো বিপক্ষ বিশ্বস্ত বা বিহ্বল থাকিলে, তাহার উপরে প্রহার করিব না", সুতরাং কৃষ্ণ ও অর্জুন উভয়েই তখনও নিরুদ্বেগ ছিলেন বলিয়া তাঁহাদের আধ্যাত্মবিষয়ে আলোচনাও সম্ভবপর হইয়াছিল।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- মহাশয়। আসামীপক্ষের অনেক উকীলেরই মনে মনে এমন প্রতিজ্ঞা থাকে যে, 'আমার মক্কেল দোষীই হউন আর নির্দোষই হউন, আমি তাঁহাকে নির্দোষ বলিয়াই প্রতিপন্ন করিব' আপনারাও যদি সেইরূপই প্রতিজ্ঞা থাকে যে, আমি গীতাকে মূলগ্রন্থ বলিয়াই প্রতিপন্ন করিব, তাহা হইলে আমার আর আলোচনার প্রয়োজন নাই।

প্রতিবাদীঃ-  'গ্রন্থকার জীবিত নাই বা উপস্থিত নাই, গ্রন্থ নিজেও অচেতন পদার্থ বলিয়া কোনো প্রতিবাদ করিতে পারিবে না, সুতরাং এই সুযোগে গবেষকনাম বাহির করিয়া লই' এইরূপ ইচ্ছার বশবর্তী হইয়া আপনারাও যদি মূলগ্রন্থ গীতাকে প্রক্ষিপ্ত বলিতে চান, তাহা হইলে আমারও বিবাদের প্রয়োজন নাই। তবে, সর্বপ্রযত্নে গীতাকে মূলগ্রন্থ বলিয়াই প্রতিপন্ন করিতে হইবে, এরূপ কোনো প্রতিজ্ঞা আমার নাই বা সেরূপ ইচ্ছাও নাই। 

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- তাহা হইলে বলুন দেখি দুর্যোধনেরা বাল্যকাল হইতেই বিদ্বেষের বশবর্তী হইয়া পান্ডবদিগকে বিষপ্রয়োগ, জলে নিক্ষেপ এবং অগ্নিতে দগ্ধ করিয়া মারিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিয়াছে, সেই দূর্যোধনপ্রভৃতিরই "সমাভাষ্য প্রহর্ত্তব্যং ন বিশ্বস্তে ন বিহ্বলে" এই কথাটুকুর উপরে বিশ্বাস করিয়া ঐরূপ সময়ে কৃষ্ণ ও অর্জুনের মত লোকচরিত্রাভিজ্ঞ বুদ্ধিমান লোকদের অন্যমনস্ক হওয়া কি সম্ভবপর হয়?

প্রতিবাদীঃ-  অবশ্যই হয়। কেন না, সে সময়ে অসাধারণ ভীষ্ম কৌরবপক্ষের প্রধান সপনাপতি ছিলেন এবং তিনিও সেই নিয়মপ্রবর্তকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, সুতরাং তাঁহার আদেশ ব্যতীত কৌরবপক্ষের কাহারও কিছু করিবার ক্ষমতা ছিল না। তা'র পর কৃষ্ণ ও অর্জুনও কচি খোকা ছিলেন না। উভয়েই অতিরথ অদ্বিতীয় মহাবীর ছিলেন, একথা সকলেই জানিত। অতএব দৌড়াইয়া যাইয়া তাহদিগকে সংহার করিবার সাহস বা তীর ছুটাইয়া মারিয়া ফেলিবার ভরসা কাহারও হয় নাই, কিংবা তাঁহারাও সেরূপ আশঙ্কা করেন নাই। তাই তাঁহাদের গীতার আলোচনায় অন্যমনস্ক হওয়া অসম্ভব হয় নাই। 

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- আচ্ছা যাউক। পুরাণরচয়িতা বেদব্যাস চিরকালই সাপের গল্প ও ব্যাঙের গল্প প্রভৃতিই লিখিয়া আসিয়াছেন, এ অবস্থায় তিনি যে গীতার মত সমস্ত সম্প্রদায়ের  উপযোগী মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করিতে পারিয়াছিলেন ইহাা কি করিয়া বিশ্বাস করিতে পারি? 

প্রতিবাদীঃ- এইবার আধুনিক রুচির অনুরূপ কথাই বলিয়া ফেলিয়াছেন।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- আপনার সেকেলে ধরণের কথা শুনিব বলিয়া।

প্রতিবাদীঃ- মহাশয়। সে কাল যে হিন্দুর স্বর্ণযুগ ছিল, তা জানেন? সে যাহা হউক, বেদব্যাস কেবল পুরাণ রচনা করিয়া যান নাই, তিনি আধ্যাত্মিকবিষয়ের চরম গ্রন্থ বেদান্তদর্শন এবং পাতঞ্জলভাষ্য প্রভৃতি লিখিয়া গিয়াছেন।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- তবে কি আপনি মনে করেন যে,  বেদব্যাস একজনই ছিলেন? 

প্রতিবাদীঃ- বেদব্যাস একজন বা অনেক জন ছিলেন, এবিষয় লইয়া আলোচনা করা এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নহে, তবে এইমাত্র বলিতে পারি যে, মহাভারতেরই উদ্যোগপর্বে 'সানৎসুজাত'- নামে যে অধ্যাত্মশাস্ত্র দেখিতে পাই, তাহা যদি বেদব্যাস রচনা করিতে পারিয়া থাকেন, তবে এই গীতাও যে তিনি রচনা করিতে পারিয়াছিলেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই, বেদব্যাসের মত জ্ঞানী লেখক যে ভারতবর্ষে আর কেহ জন্মিয়াছিলেন বলিয়াও মনে হয় না। 

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- সে যাহা হউক। শুনিতে পাই- জাভাদ্বীপের মহাভারতে নাকি ভগবদ্গীতা নাই, সুতরাং ভগবদ্গীতা যদি মহাভারতের মোলিক অংশই হইত, তবে জাভাদ্বীপের মহাভারতেও তাহা অবশ্যই থাকিত। 

প্রতিবাদীঃ- অবশ্যই থাকিত একথা বলিতে পারা যায় না। কারণ, জাভাদ্বীপবাসীরা প্রথমে হিন্দু ছিল, তখন তাহাদের মহাভারতে ভগবদ্গীতা ছিল বলিয়াই মনে করা যাইতে পারে, তা'র পর,  তাহারা যখন বৌদ্ধ এবং মুসলমান হইয়াছিল, সম্ভবতঃ তখন তাহাদের মহাভারত হইতে গীতা এবং ঐরূপ ঈশ্বরের মূর্ত্তিবোধক অংশগুলি নিষ্কাশিত হইয়াছিল। কেন না, বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মতে ঈশ্বরের মূর্তি নাই, অথচ ভগবদ্গীতার বক্তা কৃষ্ণ আপনাকে বহু স্থানে ঈশ্বর বলিয়া প্রকাশ করিয়াছিলেন এবং অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাইয়া তাহা প্রমাণিতও করিয়াছেন, আবার পার্থসারথিমূর্তিতে সকলের দৃষ্টিগোচরও হইয়াছেন। এক্ষেত্রে বৌদ্ধ ও মুসলমানদের ঐ গীতা যে বিরক্তিকর  হইবে, তাহাতে আর সন্দেহ কি? আর এক কথা,  জাভাদ্বীপের ভাষায় সে দেশের মহাভারতের যখন অনুবাদ হইয়াছিল, তদবধি তাহদের মহাভারতে বহু উপাখ্যান নূতন প্রবেশ করিয়াছে, অনেক বিষয় নিষ্কাশিত হইয়াছে এবং বহু স্থান অত্যন্ত বিকৃত হইয়াছে। এ অবস্থায় সে দেশের মহাভারতে গীতা না থাকিলেও তাহা গীতার অমৌলিকতা প্রমাণিত করিতে পারে না। 

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- ভাল, গীতার মৌলিকতাসম্বন্ধে আপনি কোনে নির্দোষ যুক্তি দেখাইতে পারেন কি?

প্রতিবাদীঃ- অবশ্যই পারি। মহাভারতের পূর্বাপর স্থানগুলি পর্যালোচনা করিয়া দেখিলে দেখা যাইবে যে, অন্যান্য স্থানে যেরূপ ভাষা, যেমন ভাব, যে প্রকার ছন্দ এবং যে জাতীয় অপাণিনীয় (আর্ষ) প্রয়োগ আছে, গীতাতেও সেইরূপেই সে সমস্ত আছে।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- এ সকল বিষয়ে যথেষ্ট মতভেদও আছে।

প্রতিবাদীঃ- থা'ক, শঙ্করাচার্য,  রামানুজাচার্য, মধ্বাচার্য, নিম্বার্কাচার্য, শ্রীধরস্বামী ও মধুসূদনসরস্বতীপ্রভৃতি যোগী মহাপুরুষগণ নিঃশঙ্কচিত্তেই এই গীতার ভাষ্য ও টীকা রচনা করিয়া গিয়াছেন, ইহাতেও গীতার মৌলিকতাই প্রমাণিত হয়।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- গীতা প্রক্ষিপ্ত বা মৌলিকগ্রন্থ - এ বিষয়ে শঙ্করপ্রভৃতি কোন অনুসন্ধান  করিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয় না। কারণ, তাহা করিয়া থাকিলে, শ্রীধরস্বামী যেমন শ্রীমদ্ভাগবতের প্রথমে তাহার মহাপুরাণত্ব স্থাপনের চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন, সেইরূপ গীতার প্রারম্ভেও শঙ্কর প্রভৃতির - অন্ততঃ শ্রীধরস্বামীর কিছু লেখা থাকিত, সুতরাং উহাদের ভাষ্য ও টীকা থাকায় এইমাত্র প্রমাণিত হয় যে, উহাদের সময়ে মহাভারতে গীতা ছিল। 

প্রতিবাদীঃ- তা'র পর, গীতায় যে সকল আধ্যাত্মিক শ্লোক আছে, তাহার প্রায় শ্লোকেই মহাভারতের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রসঙ্গে উল্লেখিত রহিয়াছে।

প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- ভাল, তাহা হইলে অবশ্যই একথা বলা যায় যে, মহাভারতরচনার পরে কোন বিশিষ্ট বিদ্বান লোক মহাভারতের সেই সকল স্থান হইতে আধ্যাত্মিক শ্লোকগুলিকে একত্র করিয়া, মধ্যে নিজেও কিছু কিছু লিখিয়া 'ভগবদ্গীতা'- নাম দিয়া ভীষ্মপর্বের সন্নিবেশিত করিয়া গিয়াছেন। 

প্রতিবাদীঃ- তাহাও হইতে পারে না। কারণ, মহাভারতের আদিপর্বের দ্বিতীয় অধ্যায়টির নাম- 'পর্বসংগ্রহ অধ্যায়'। তাহাতে - কোন পর্বে কতগুলি অধ্যায়, কতগুলি শ্লোক, কতগুলি উপপর্ব এবং কি কি বৃত্তান্ত আছে, তাহা মহর্ষি বেদব্যাস নিজেই সূচীপত্র ভাবে লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছেন, তাহাতে দেখিতে পাই ----

" পর্বোক্তং ভগবদ্গীতা পর্ব ভীষ্মবধস্ততঃ" (৭০/২/১- মহাভারত)

>> তাহারপর ভগবদগীতাউপপর্ব, তৎপরে ভীষ্মবধ। 

ইহার পর আবার লেখা আছে----

"কশ্মলং যত্র পার্থস্য বাসুদেবো মহামতিঃ।

মোহজং নাশায়মাস হেতু ভির্মোক্ষদর্শিভিঃ।।" (২৪৮-২৪৯/২/১ -মহাভারত)

>>যে পর্বে মমতানিবন্ধন অর্জুনের অবসাদ উপস্থিত হয়; তাহা দেখিয়া যুধিষ্ঠিরের স্থিতে নিরত সাক্ষাৎ নারায়ণ মহামতি শ্রীকৃষ্ণ মুক্তির উপযোগী যুক্তির দ্বারা সত্বরই অর্জুনের সেই অবসাদ দূরীভূত করেন। 

সারথ্যমর্জুনস্যাজৌ কুর্ব্বন গীতামৃতং দদৌ ৷
লোকত্রয়োপকারায় তস্মৈ ব্রহ্মাত্মনে নমঃ ৷৷
“যিনি যুদ্ধে অর্জুনের সারথ্য করিতে প্রবৃত্ত হইয়া, ত্রিভূবনের উপকার করিবার জন্য অর্জুনকে গীতামৃত দান করিয়াছেন সেই পরমব্রহ্মরূপী কৃষ্ণকে নমষ্কার করি।”
(মহাভারত, শান্তিপর্ব ৪৬/১০৬)

অতএব আদিপর্বে ভগবদগীতাকে একটি উপপর্ব বলা হইয়াছে, সেইখানে কি লইয়া  আলোচনা করা হইয়াছে  তাহাও  সংকেত করা হইয়াছে এমন কি অন্যান্য পর্বেও এই বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় কোনোমতেই  ভগবদগীতাকে সংগ্রহগ্রন্থ কিংবা প্রক্ষিপ্ত বলা যায় না। 


প্রক্ষিপ্তবাদীঃ- (ঈষৎ হাস্য করিয়া) যদি সেই অংশ গুলিকেও প্রক্ষিপ্ত বলি?

প্রতিবাদীঃ- তাহা হইলে, সম্পূর্ণ মাহাভারতটাকেই কিংবা নিজেকে প্রক্ষিপ্ত বলিয়া আমাকে নিষ্কৃতি দিয়া যান। 


-------- শ্রীমদ্ হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ ভট্টাচার্যের ভারতকৌমুদী অবলম্বনে,  শ্রী প্রান্ত সাহা। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ